আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুধুমাত্র সংসদ সদস্যপদ বাঁচাতে বিএনপি আজকে সংসদে গেছেঃ এহেন উদ্দেশ্যমূলক অগণতান্ত্রিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি

ক্ষমতার রাজনীতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কখনোই করেনি, সামনেও করবে না। তারা সবসময়ই রাজনীতি করেছে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। এরকম একটি আদর্শবান দলের নামে এরকম উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপি আজকে কেন সংসদে যোগদান করেছে বুঝতে হলে আপনাকে এই মূহুর্তে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আওয়ামী দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট দেশের মানুষ যে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকেই তাদের ত্রাতা হিসেবে বিবেচনা করে নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী করবে তা বিএনপি নেতৃবৃন্দ খুব ভালভাবেই জানে।

এই পরিস্থিতিতে সামান্য সংসদ সদস্যপদ বাঁচাতে সংসদে গিয়ে জনগণের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে, এতটা বোকা বিএনপি কখনোই ছিলনা। তারা আজকেও সংসদে গিয়েছে শুধুমাত্র দেশের কথা চিন্তা করে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির (অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সর্বোপরি ক্রীড়াক্ষেত্র) উন্নতিকল্পেই বিএনপির আজকে সংসদে যোগদান। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, যেহেতু আজকে পাকিস্তান ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ অনেকাংশে বেড়ে যাবে, শুধুমাত্র এই বিষয়টির উপর জোর দিয়েই গত পরশুদিন বাংলাদেশের খেলার পর রাতে এক গোপন বৈঠকে দলটির নেতৃবৃন্দ আজ সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। ওইদিন রাতেই অতি গোপন এক সূত্রের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথেও তারা এক গোপন চুক্তি করেন (মতান্তরে বাজী ধরেন) যে ১৮তারিখের পাক-ভারত ম্যাচে পাকিস্তান ভারতকে হারিয়ে দিবে।

জামাত-বিএনপি জোটের সবসময়ের প্রিয় পাকিস্তান দল জিতলে আওয়ামীলীগ বাধ্য থাকবে বিএনপির নামে গত কয়দিনে আইএসআই কাছ থেকে ৫০কোটি রুপী লেনদেনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং আপোষ করতে। পক্ষান্তরে ভারত জিতলে বিএনপি বাধ্য থাকবে সেই ৫০কোটি রুপী লীগের তহবিলে জমা করতে। এরকম রাজনৈতিক কূটচাল দেশের আর কয়টা দল দেখাতে পারবে? পাকিরা জিতলে তো লাভ, ভারত জিতলেও বিএনপির লাভ। গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকা ৫০কোটি রুপীর বোঝা ঘাড় থেকে নামানো যাবে। এরূপ পরিস্থিতিতে আরো শুনা যাচ্ছে, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে তথা পাকি দলকে জিতানোর জন্য বিএনপির দলীয় তহবিল থেকে গতকাল রাতেই ১০লাখ রূপী ভারতীয় বোলারদের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে(যার ফল আজকের পাকি ইনিংসেই পরিষ্কার, কোন ভারতীয় বোলারেরই ইকোনমি রেট সাড়ে ৫এর নিচে নাই)।

অন্যদিকে সরকারও লোটাস কামালের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে মিরপুরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটকে আরো ব্যাটিং সহায়ক বানানোর কাজ শেষ করে ভারতীয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটিং লাইনআপের কথা মাথায় রেখে (নাহলে যেই পাকিরা বাংলাদেশের বোলিং এর সামনেই ৩০০ করতে পারেনা, তারা কিভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোলিং এর বিপক্ষে ৩০০ পার করে?!?)। এরপরও সরকার যাতে খেলোয়াড়দের আর কোনভাবে প্রভাবিত করতে না পারে, তা খেয়াল রাখার জন্যই আজ বিএনপি সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্ত ফাইনাল করে। এতে করে প্রতিটি সরকারদলীয় সাংসদকেও নজরে রাখা যাবে, এবং মাঝখানের বিরতিতে দুই দলের এমপিরা একসাথে খোশগল্প করে আয়েশি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে খেলা উপভোগ করা যাবে। গতকাল এজন্য সংসদের সামনে জায়ান্টস্ক্রীন বসানোর আবেদনও করা হয়, কিন্তু সরকার বরাবরের মতই ফ্যাসিস্ট মনোভাব প্রদর্শন করে এবং নির্মমভাবে এই দাবী প্রত্যাখ্যান করে দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে জবাব দেয়, "এইসব চুদুর-বুদুর ছইলত না"। বিএনপি দেশের জন্য কি না করছে? নিজেদের পকেটের ১০লাখ রুপী ভারতীয়দের হাতে তুলে দিয়েছে দেশের স্বার্থে (মতান্তরে, জেলে পচনরত জামাতী রাজাকারদের ভগ্ন মনোবল ফিরিয়ে আনতেও) পাকিদেরকে ম্যাচ জিতানোর জন্য, যেখানে আওয়ামীলীগ এক পয়সাও খরচ করত না নিজের পকেটের।

এরপরও যদি আপনারা বলেন যে বিএনপি সদস্যপদ রক্ষার সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির কারণেই সংসদে যোগ দিয়েছে, তাহলে এই অধমের আর কিছুই বলার থাকবেনা বিঃদ্রঃ উপরোক্ত প্রতিটি তথ্য কাল্পনিক এবং রম্য। বাস্তবতার সাথে এর বিন্দুমাত্র যোগসূত্র নেই ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.