যদি দারুচিনি-ছাল-ছাড়ানি হতাম
তোমার বিছানায় উঠে আসতাম আমি
আর ছালের হলুদ-ধুলো
তোমার বালিশে ছড়িয়ে আসতাম।
গন্ধ ছড়াতো তোমার বুক, তোমার কাঁধ
বাজারের ভেতর কখনো ঘুরতে পারতে না
তোমার উপর ভাসতে থাকা আমার আঙুলের কাজকারবার
গোপন না করে। যার দিকে এগোতে গিয়ে নিশ্চত অন্ধরাও
হোঁচট খেতো, যদিও তুমি
হয়তো গোসল করতে গাধলা বৃষ্টিতে, বর্ষায়।
এখানে এই উপরের উরুতে
এই মসৃণ তৃণভূমিতে
তোমার চুল আর দুই ভাগ করা
তোমার পিঠের খাঁজের প্রতিবেশী। এই গোড়ালি।
অচেনাদের মাঝে তুমি
দারুচিনির ছাল-ছাড়ানির বউ বলে পরিচিত হবে।
...তোমার টিকলো নাকের মা, আর তোমার ষণ্ডাভাইদের কারণে...
বিয়ের আগে না-পারতাম তাকাতে তোমার দিকে
না-পারতাম স্পর্শ করতেতোমাকে।
আমি ডুবিয়ে রাখতাম হাত স্যাফ্রনে
লুকিয়ে রাখতাম ধোঁয়াটে আলকাতরায়
সাগরেদি করতাম মৌয়ালদের...
যখন আমরা সাঁতার কাটতাম
একবার আমি পানির নিচে তোমাকে ছুঁয়েছিলাম
আমাদের শরীর ছিলো স্বাধীন--
তুমি ঝাপটে ধরতে পারলে আমাকে আর অন্ধ হয়েছিলে সুগন্ধে ।
তুমি পাড়ে উঠে গেলে এবং বললে
এইভাবেই তুমি অন্যমহিলাদের ছুঁয়েছো
ছুঁয়েছো ঘাসকাটুনির বউকে, চুনাতির মেয়েকে,
আর তোমার হাতের মাঝে তুমি খুঁজেছিলে
হারানো সৌরভটুকু
এবং জানলে
কতই না ভাল চুনাতির মেয়ে হওয়া
কোন চিন-চিহ্ন ছাড়া
যেনো ভালবাসার কাজে কলঙ্ক হলো না কোন
যেনো কোন আঁচড়ের আনন্দ ছাড়াই আহত হওয়া
ছোঁয়ালে তুমি
তোমার উদর আমার হাতে
শুষ্ক বাতাসে, আর বললে
আমি দারুচিনি-ছাল-ছাড়ানির
বউ। শুঁকে দেখো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।