বাংলাদেশের রয়েছে নিজস্ব ভাষিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আর ভাষা বিজ্ঞানের কথা- হচ্ছে ভাষা নদীর মতো আপন গতিতে প্রবাহিত হয়। একে বাধ দেয়া যায় না বা ভাষিক পারফর্মেসন্সকে রুদ্ধ করা যায় না। আমরা গত কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে সম্ভাবষণের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মুসলিম রীতিতে পরস্পরের সাথে দেখা হলে সালাম বিনিময় এবং শেষে বিদায় সম্ভাষণ খোদা হাফেজের মধ্য দিয়ে হতে দেখেছি। এটি সুদীর্ঘ কালের ভাষিক অবস্থান।
তাছাড়া আরো দেখেছি নামাজ, রোজা ফার্সী শব্দগুলো এসব শব্দগুলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে। কিন্তু যে কথা বলছিলাম গত কয়েক বছর ধরে – খোদা হাফেজের পরিবর্তে আল্লাহ হাফেজ, নামাজের পরিবর্তে সালাত, রোজার জায়গায় সওম-এমন আরো বহু আরবী শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি কারা করছে এবং কেন করছে এ প্রশ্ন উঠেছে। এ সম্পর্কে ভাষাবিজ্ঞানীরা বলছেন, ফার্সী ভাষা লোন ওয়ার্ড হিসেবে বাংলা ভাষাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। তাছাড়া এর পেছনে ঐতিহাসিক কারণও রয়েছে।
অথচ ওহাবী মতবাদীরা সুকৌশলে ফার্সী এই অতি প্রচলিত শব্দগুলো যা আমাদের ভাষা সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে তাকে উঠিয়ে দিয়ে আরবী শব্দের ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে ভাষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ভাষাবিজ্ঞানীরা ও ঐতিহাসিকগণ অভিমত দিয়েছে। তাহলে কি ওহাবীরা আরো অন্যান্য বিষয়ের মতো ভাষাকেও মেরে ফেলতে চায় ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।