একদিন আমার মনটা অনেক খারাপ ছিল। ঘরের এক পার্শ্বে নির্জন স্থানে গিয়ে বসে খোদার সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।
বল্লাম: নিজেকে কতইনা একা একা মনে হচ্ছে।
খোদা বলল: (فَإِنِّی قَرِیبٌ) নিঃশন্দেহে আমি অতি নিকটে রয়েছি। সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬।
বল্লাম: তুমিতো সব সময় নিকটেই আছ, কিন্তু আমি যে তোমার থেকে দুরে, হায়, আমি যদি তোমার কাছে হতে পারতাম....
খোদা বলল: (وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِی نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِیفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ) আর সকাল সন্ধায় সবিনয়ে ও সভয়ে ও অনুচ্চস্বরে তোমার পালনকর্তাকে নিজের অন্তরে স্মরণ কর। সুরা আ’রাফ, আয়াত: ২০৫।
বল্লাম: এর জন্যও তৌফিক (খোদায়ী করুণা) চাই।
খোদা বলল: (أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ یغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ) তোমরা কি চাওনা যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুক? সুরা নূর, আয়াত: ২২।
বল্লাম: অবশ্যই চাই যে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
খোদা বলল: (وَاسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَیهِ) আর তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর তারপর তার দিকেই ফিরে এসো (তওবা কর)। সুরা হুদ, আয়াত: ৯০।
বল্লাম: এত সব গুনাহ্, কি আর করতে পারি?!
খোদা বলল: (أَلَمْ یعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ هُوَ یقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ) (তারা কি জানেনা) তুমি কি জান না আল্লাহ্ নিজেই তার বান্দাদের তওবা কবুল করেন। সুরা তওবা, আয়াত: ১০৪।
বল্লাম: কিন্তু যেই মুখ নিয়ে আমি তওবা করব সেটা আর আমার নেই।
খোদা বলল: (اللَّهِ الْعَزِیزِ الْعَلِیمِ، غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ) আল্লাহ্ মহাশক্তিশালী ও সর্বজ্ঞাতা, পাপ ক্ষমাকারী ও তওবা কবুলকারী। সুরা গাফের, আয়াত: ২-৩।
বল্লাম: এতো সব গুনাহ, কোনটির জন্য তওবা করবো?!
খোদা বলল: (إِنَّ اللَّهَ یغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِیعًا) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। সুরা যুমার, আয়াত: ৫৩।
বল্লাম: তার মানে যতবার আসবো তুমি আমার গুনাহ্ মাফ করে দেবে?
খোদা বলল: (وَمَنْ یغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ) আর আল্লাহ্ ছাড়া আর কে আছে যে, পাপ ক্ষমা করবেন? সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৫।
বল্লাম: জানিনা সব সময় কেন তোমার এই বাণীর সামনে নতজানু হয়ে যাই, মনে হয় আমার অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, আমাকে ভাল করে দেয়, তোমার প্রেমে পরে যাই! শেষে তওবা করে নেই।
খোদা বলল: (ِإنَّ اللَّهَ یحِبُّ التَّوَّابِینَ وَیحِبُّ الْمُتَطَهِّرِینَ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীকে ও যারা পাক পবিত্র থাকে তাদেরকে ভালবাসেন। সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২।
অনিচ্ছাকৃতভাবেই বল্লাম: (إلَهی وَ رَبّی مَن لی غَیرکَ) হে আমার প্রভূ ও পরওয়ারদেগার তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে?
খোদা বলল: (أَلَیسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ) আল্লাহ্ কি তাদের বান্দাদের জন্য যথেষ্ট নন? সুরা যুমার, আয়াত: ৩৬।
বল্লাম: তামার এতো সব দয়া ও অনুগ্রহের জন্য আমি কি করতে পারি?!
খোদা বলল:
(یا أَیهَا الَّذِینَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِیرًا، وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِیلًا، هُوَ الَّذِی یصَلِّی عَلَیكُمْ وَمَلَائِكَتُهُ لِیخْرِجَكُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِینَ رَحِیمًا)
ওহে যারা ঈমান এনেছ (মুমিনগণ) অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির কর (আল্লাহকে স্মরণ কর) এবং সকাল সন্ধায় তার তসবীহ্ পড় (মহিমা কীর্তন করো), তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের প্রতি দরূদ ও রহমত এবং ফেরেশতাগণও (তোমাদের জন্য রহমতের প্রর্থনা করেন) যাতে তোমাদেরকে (অজ্ঞতা ও গুনাহর) অন্ধকার থেকে (ঈমান ও জ্ঞানের) আলোকের দিকে বের করে নিয়ে আসেন, আর তিনি মুমিনদের প্রতি সর্বদা দয়ালূ ও দয়াবান।
সুরা আহযাব, আয়াত: ৪১-৪৩।
সত্যিই আল্লাহ্ মুমিনদের প্রতি মেহেরবান ও দয়াশীল।
হে খোদা! আমাদেরকে সত্যিকার অর্থে তোমার প্রতি ঈমানের জ্যোতি সহকারে মুমিন হওয়ার তৌফিক দান কর। আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।