উত্তরাঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন করে একের পর এক মার খাচ্ছেন কৃষকরা। আলুতে স্বপ্নভঙ্গের পর অনেকেই ঝুঁকেছিল সবজি চাষে। সেখানেও তাঁরা বঞ্চিত। ন্যায্য দাম পাননি তাঁরা। লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাই উঠে না আসায় এখন কৃষকদের পথে বসার দশা।
এভাবে কৃষিপণ্যই যেন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে। তাই কৃষিপণ্য যেন কৃষককের গলার ফাঁস না হয়, এই পণ্যের লাভজনক মূল্যের দাবিতে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি পালন করেছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা।
গতকাল রবিবার কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে কৃষক ও কৃষাণীরা আলু, শিম, কপি ও টমেটো দিয়ে রশি তৈরি করে গলায় পরে প্রতীকী ফাঁসি দেন। এ সময় আলুসহ অন্য কৃষিপণ্যের লাভজনক সরকারি মূল্য নির্ধারণ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সংহতি সমাবেশ পালন করা হয়।
সমাবেশে চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকার কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে দালাল ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য রোধ, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক, কৃষাণী এবং বর্গাচাষিদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, চর এলাকায় সাধারণ মানুষকে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে আবহাওয়াসংশ্লিষ্ট চরম ঘটনা বা দুর্যোগ। ভিন্নতা দেখা দিচ্ছে ঋতুবৈচিত্র্যে। কৃষি ও জীবনযাত্রার ক্ষতিসহ জনজীবনের ভোগান্তি বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিপুল দরিদ্র জনগোষ্ঠী বাধ্য হচ্ছে বাস্তুভিটা ত্যাগ করতে। তাদের ফসল ও জান-মালের নিরাপত্তা দিতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) অঙ্ফাম জিবির সহযোগিতায় স্থানীয় সংস্থা পার্টিসিপেটরি অ্যাডভান্সমেন্ট সোশ্যাল সার্ভিস (পাশ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পাশ-এর সভাপতি অনন্ত কুমার দেবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি শফি খান, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নীলু, কৃষক নেতা চাষি নুরুন্নবী সরকার, পাশ-এর নির্বাহী পরিচালক খ ম আলী সম্রাট, কৃষক মোহসীন আলী, কৃষাণী নুরন্নাহার বেগম প্রমুখ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।