আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রেনের ছাদে চড়লে ঝাঁটা পেটা

পেশাগত কাজে আমাকে প্রায়শই ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট যাওয়া আসা করতে হয়। কাজের প্রায়রিটির উপর নির্ভর করে যাতায়ত বাহন কি হবে। অফিস থেকে যখন বাই এয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়না-তখন নানান ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়েও আমার কাছে পরিবহন হিসেবে সব থেকে রেল পথই স্বাচ্ছন্দের। ফলে এই দুই রুটের ট্রেন ভ্রমনে আমি বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি-গত ৬/৭ বছরে। আমাদের দেশের ট্রেন ভ্রমন কতটা বিরক্তিকর তা মোটামুটি সকল ট্রেন যাত্রীরাই জানেন।

কাল সিলেট থেকে ফেরার পথে একটি পুরনো খবরের কাগজে নিম্নক্ত খবইটি পড়ে খুব কৌতুকবোধ করছি। হয়ত অনেক পাঠকই ঐ খবরটা পড়ে থাকবেন-তারপরেও নিজের কৌতূহল শেয়ার করার জন্য সেই খবরটাই হুবহু তুলে দিলামঃ অবাধ্য ট্রেনযাত্রী কম-বেশি সব দেশেই আছে। অনেক বেশি বিশৃঙ্খল আর অবাধ্য জনগণ আছে বিশ্বের নানান প্রান্তে। উদাহরণস্বরূপ ইন্দোনেশিয়ার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার রেল কর্তৃপক্ষ তাদের অবাধ্য রেলযাত্রীদের নিয়ে প্রচণ্ড চিন্তিত।

রেল কর্তৃপক্ষ বার বার যাত্রীদের অনুরোধ করছে, যেন ট্রেনের ছাদে উঠে কেউ ভ্রমণ না করে। তবু কে শোনে কার কথা! অবাধ্য ইন্দোনেশিয়ানরা সেই ট্রেনের ছাদে চড়েই যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। কিন্তু এবার কঠোর হয়েছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। তারা এবার ছাদে ওঠা যাত্রীদের ঝাঁটা পেটা করবে। তা-ও আবার কোনো সাধারণ ঝাঁটা নয়।

নর্দমা পরিষ্কার করা হয় যেই ঝাঁটা দিয়ে, সেই দুর্গন্ধযুক্ত যুক্ত ঝাঁটা দিয়ে পেটানো হবে অবাধ্য যাত্রীদের। ইন্দোনেশিয়ায় এই ‘ঝাঁটা পেটা’ আইনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এ পর্যন্ত বহুু অবাধ্য যাত্রীকে ঝাঁটা পেটা করা হয়েছে। এই কঠোর ব্যবস্থা নাকি এখন একটু একটু করে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করছে। আগের চেয়ে খুব কম মানুষই এখন ট্রেনের ছাদে উঠছে।

এমনটাই জানালেন ইন্দোনেশিয়ার রেল বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আহমেদ সুজাদি। সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি, এপি ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।