মীরজাফরদের পরিণতি সবসময়ই করুণ হয়। এই করুণ পরিণতির শিকার হওয়া সর্বশেষ ছাগু হচ্ছেন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় । এই মানুষটি জন্মসূত্রে হয়েছিলেন ক্ষমতাধর ব্যক্তি, বাংলার মাটি পানিতে বেড়ে ওঠা রাজার স্বাভাবিক চিন্তা থাকা উচিৎ ছিল বাংলার মানুষের জন্য কাজ করা, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করা। কিন্তু তিনি তা করেননি, তিনি করেছেন ঠিক তার উল্টাটা...। ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে এই পশু হাত মিলিয়েছিল ফাকিস্তানি দানবদের সাথে।
স্বাধীনতার পর ক্ষমাপ্রিয় বাঙ্গালী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল, তিনি এদেশে আসেননি, এমনকি তার মার অনুরোধও অগ্রাহ্য করে তিনি পাকিস্তানে থেকে যান। সে এক বিশাল পাকিপ্রেম, মজনুকে ছাড়া যেমন লাইলি থাকতে পারেনা ঠিক তেমনি।
কিন্তু সময়ের স্রোতে রাজার সে ভরা যৌবন বিগত হয়েছে, সে এখন চামড়া ঢিলা পতিতা মাত্র, পাকিস্তান তাকে আর মূল্য দেয়না। পরিত্যাক্ত এ রাজা এখন মৃত্যুর পরে বাংলাদেশে সমাহিত হতে চান। আমাদের ঘুঁটাবুদ্ধির কর্তাবাবুদের তাতে আপত্তি নাই।
আপত্তি আছে আমাদের, আমরা যারা মা-বাবা, ভাইকে হারিয়েছি, বোনের ইজ্জত হারানো অসহায়ের মত দেখেছি, তারা চাইনা বাংলা মায়ের বুকে একটা জঞ্জাল বেশি ভার তৈরি করুক। এখানে কর্তাবাবুরা একটা যুক্তি দেখাচ্ছেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের মরদেহ পাকিস্তান প্রদান করে বাংলাদেশের ইচ্ছা পূরণ করেছে, এখন বাংলাদেশের উচিৎ বন্ধুত্বের প্রতিদান দেওয়া, পাকিস্থানের ইচ্ছা পূরণ করা।
এখানে বলে রাখা ভাল, কেউই জঞ্জাল নিজের ঘাড়ে রাখতে চায়না। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান আমাদের গর্ব, কিন্তু পাকিস্তানীদের কাছে গাদ্দার, জঞ্জাল। ওরা ওদের জঞ্জাল সরিয়েছে মাত্র।
কিন্তু চাকমা রাজা বাংলাদেশের জঞ্জাল, পাকিস্তানীদের সম্পদ। আমরা জঞ্জাল নিতে চাইনা, সম্পদ যে দেশের সে দেশেই থাকুক। গভীর আনুগত্য থাকা সত্বেও যে ব্যক্তি পাকিস্তানে উজির এ খামাকা ( অকর্মা বলদারগু) নামে পরিচিত তাকে বাংলাদেশে এনে পাকিস্তানকে বন্ধুবাৎসল্য কিংবা আদিখ্যেতা দেখানোর কোন দরকার নাই , আমরা নতুন প্রজন্ম এর ঘোরতর বিরোধী।
এফ এইচ রিগ্যান
২৬/০২/১২
আরো জানতে লিঙ্কে গুতা দিন
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।