ভালো।
পুরাতন ঢাকার ঐত্যহ্যবাহী আরেকটি খাবার মোঘলাই পরোটা। জানা যায় সুবেদার আযমকে মোঘল সম্রাট যখন ঢাকার সুবেদার নিযুক্ত করেন তখন লালবাগ(লাল বাগান) এ কিল্লায় বা কেল্লায় এসে দায়িত্ব বুঝে নেন। তখন থেকেই মূলত ঢাকায় মোঘল ঘরানার,কাবাব,পারাটা,ফালুদা কাচ্চি,বাকারখানি বা বাখরখনি সহ মূঘলদের নানা মুখরোচক এবং সুস্বাদু খাবারের আগমন ঘটে।
মোগলাই পারাটা বা শাহী পারাটা বা পারাটায়ে কিমা তকমা একটি বিশেষ খাবার যা তৈরি হয় গরুর খাটি মাংস ভুনা,কলিজা ভুনা,ডিম,পেয়াজ ভুনা ,মিহি ময়দা,খাসির কিমা ভুনা, ঘি ,এলাচ দানা গুড়া,দারুচিনি গুড়া সহ আরও কিছু গরম মসলা সহকারে।
একটি পারাটার জন্য প্রথমে গরু এবং খাসির ভূনা মাংস একসাথে মাখানো হতো তাতে দেওয়া হতো ৬ টি ডিম সব একসাথে মাখানোর পর এতে যোগ করা হতো কলিজাভুনা এবং পেয়াজভূনা এরপর একে একে অন্যান্য মশলা দেওয়া হতো। প্রতিবার একটি করে উপাদান দেওয়ার পর পরই তা খুব ভালোভাবে মাখানো হতো এরপর মিহি ময়দা বেলে বানিয়ে তার ভেতর পুরে দেওয়া হতো সেই শাহী পুর। এরপর তা ভাজা হতো খাটি ঘি দিয়ে। এভাবে একটি পরোটা বানাতে অনেক পরিশ্রম করতে হতো। আমরা যে মোগলাই পরোটা দেখি তার সাথে আসল মোঘলাই এর কোনো মিলই নেই স্বাদ তো দূরের কথা।
বর্তমানে তখনকার কয়েকজন শাহী বাবুর্চি দের অল্পকিছু বংশধর চকে বা চকবাজার এর ফয়েজ খা লেনে হোটেল শাহীচক নামে পরিচালনা করছেন। যাদের সেই মুঘল রসনার স্বাদ নিতে ইচ্ছে হচ্ছে দেরি না করে কালই চলে যেতে পারেন চকে। দামও মোটামুটি নাগালের ভেতর। তবে স্বাদ এ কোন হেরফের নেই। একটি পরোটা ৩ জন মিলে খেতে পারবেন।
ভীর সবসমই আছে তাই আগে গেলেই ভালো করবেন । তাহলে কাল যাচ্ছেন তো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।