আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউ-দ্য টয়লেটের...থুক্কু..the twilight saga,breaking dawn part 1.

রোমিও- জুলিয়েট থেকে লাইলি- মজনু পর্যন্ত অসম প্রেমের অনেক গল্পই আমরা দেখেছি। আমাদের ঢাকাই ছবি তো অসম প্রেমের ‘খনি’। ৯০ শতাংশ ছবির গল্পই গরিব বনাম বড়লোকের চিরন্তন টানাপোড়েন। অসম প্রেমের গল্প বলছে ‘টোয়ালাইট’ সিরিজও, কিন্তু অদ্ভুত এক গল্প! একজন মানবী—বেলা, অন্যজন ভ্যাম্পায়ার—এডওয়ার্ড! কখোনই আমার এই সিরিজটির উপর তেমন কোন আগ্রহ ছিল না। খালি দেখতাম কিছু বন্ধু বান্ধব এইটারে নিয়া লাফালাফি করে!!তাই আগ্রহ নিয়াই ব্রেকিং ডন পার্ট ওয়ান দেখলাম।

দেখে মনে হলো এটা না দেখলেও চলত। সাধারন প্লট-বাজে অভিনয়-বাজে এডিটিং সম্পন্ন একটা মুভি যে কেমনে 650 milion ডলার আয় করে সেটাই এখন আমার কাছে বড় রহস্য!!তবে বক্স অফিসে যাই করুক সমালোচকরা এই মুভিটিকে একদম ধুঁয়ে দিয়েছে!রটেন টমেটোতে এর ফ্রেশ রেট মাত্র ২৫%। আর imdb রেট টেনেটুনে ৫ এর কাছাকাছি! মানুষের শত্রু ভ্যাম্পায়ার, আবার ভ্যাম্পায়ারের শত্রু মানুষ। সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে নেকড়েমানব, ভ্যাম্পায়ারদের বিনাশ করার অগ্নিশপথ নেওয়া আছে যাদের। এই নেকড়েমানবদের একজন জ্যাকব বেলার শৈশবের বন্ধু, বেলার দুঃসময়ে বিরহ-যন্ত্রণায় যে সব সময় পাশে থেকেছে।

মানুষ, ভ্যাম্পায়ার, নেকড়েমানব— এই ত্রিমুখী টানাপোড়েনই শেষ নয়, আছে বেলা আর এডওয়ার্ডের প্রেমের পরিণতি নিয়েও নানা জটিলতা। কী হবে এই প্রেমের ভবিষ্যৎ ? এডওয়ার্ড ভ্যাম্পায়ার, বয়স একটুও বাড়ে না; বেলা প্রতিটি সেকেন্ডে এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। আর পরিণয় যদি হয়ও, কেমন হবে তাদের সন্তান? মানুষ হবে, নাকি ভ্যাম্পায়ার! অনেক দিক দিয়েই ‘টোয়ালাইট’ সিরিজ অনুসরণ করছে বিখ্যাত ‘হ্যারি পটার’ সিরিজকে। দুটো পর্ব দিয়ে শেষ হয়েছিল ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের। ‘টোয়ালাইট’ সিরিজও শেষ হচ্ছে দুটো আলাদা আলাদা ছবি দিয়ে।

যদিও এর কোন দরকার ছিল না। স্টেফানি মেয়ার মূলত জে.কে.রাউলিং এর সাথে টক্কর দিতে চেয়েছেন!ব্রেকিং ডন বইটি দিয়ে মেয়ার যখন দুইটি ছায়াছবি তৈরী করার কথা বলেছিলেন তখন ডিরেক্টর থেকে শুরু করে অভিনেতারাও অবাক হয়েছিলেন। আমি ব্রেকিং ডন এবং ডেথলি হ্যালোস দুইটি বইই পড়েছি। কিন্তু গুনে মানে ডেথলি হ্যালোস ব্রেকিং ডনের চাইতে কয়েক হাজার গুন এগিয়ে রয়েছে। সিরিজের শেষ ছবি ব্রেকিং ডন টু মুক্তি পাবে আগামী বছর।

ভারী চশমা পরা সমালোচকেরা ফ্যান্টাসি-নির্ভর এ ছবির ওপর এমনিতেই ভীষণ বিরক্ত। দূর ছাই বলে নাক কুঁচকাচ্ছেন। তবে এই পর্যন্ত সিরিজের প্রথম চারটি ছবি সর্বমোট 2.5 বিলিয়ন ডলার আয় করেছ। কাহিনি এই ছবিতে নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। সিরিজের প্রথম তিনটি ছবিতেই ভক্তরা যে প্রার্থনা করে এসেছিল, সেটাই পূর্ণ হয়েছে এবার।

বিয়ে হয় বেলা আর এডওয়ার্ডের। না, এতে ভক্তদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ, ‘হ্যাপি এন্ডিং’ বা মধুরেণ সমাপয়েতের তৃপ্তি কিন্তু ভক্তরা পাবে না, বরং দেখা দেবে নতুন জটিলতা। ব্রাজিলের এক দ্বীপে মধুচন্দ্রিমায় যায় নব দম্পতি। একসময় বেলা আবিষ্কার করে, আসছে নতুন শিশু।

কিন্তু এটি চিন্তায় ফেলে দেয় এডওয়ার্ডকে। কারণ, অনাগত শিশু যে অর্ধেক মানব, অর্ধেক ভ্যাম্পায়ার! মায়ের গর্ভে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হয় শিশুটির। ওয়াশিংটনে দ্রুত ফিরে আসে বেলা-এডওয়ার্ড। ছুটে যায় কার্লাইলের কাছে। এডওয়ার্ডের বাবা কার্লাইল একজন চিকি ৎ সক।

তিনিই নিশ্চিত করবেন, মা হতে যাচ্ছে বেলা। এডওয়ার্ড আর তার বাবা দুজনই চায় না এ শিশু আলোর মুখ দেখুক। কিন্তু নিজের সন্তানকে কিছুতেই হারাতে চায় না বেলা। এতে নাখোশ হয় এডওয়ার্ড আর কার্লাইল। ওদিকে নেকড়েমানব দলের প্রধান স্যাম ঠিক করে, বেলা আর তার শিশুকে মেরে ফেলা হবে।

দ্বিমুখী সংকটে পড়ে যায় বেলা। সে নিজেকে আর তার সন্তানকে বাঁচাতে আশ্রয়ভিক্ষা করে রোজালির কাছে। নেকড়েমানব দলের হয়েও বেলাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তার ছেলেবেলার বন্ধু জ্যাকব, কিছু পাবে না জেনেও একতরফাভাবে বেলাকে সে ভালোবেসে গেছে। ধীরে ধীরে একসময় বেলার শরীরের অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়। ভয়ানক কষ্টের গর্ভযন্ত্রণায় ভুগতে ভুগতে একসময় জন্ম দেয় ফুটফুটে এক মেয়ের।

কিন্তু বেলা পড়ে যায় মৃত্যুমুখে। প্রিয়তমাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে বেলার হূৎপিণ্ডে রক্তপিশাচদের বিষ প্রয়োগ করে এডওয়ার্ড। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলে না। বেলার মৃত্যুর খবর পেয়ে হতাশ- উন্মাদগ্রস্ত হয়ে পড়া জ্যাকব নবজাতককে খুন করতে চায়। নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে আর পারে না।

কিন্তু কী হবে এখন? বেলা কি মরেই যাবে, নাকি বেঁচে উঠবে? আর বেঁচে উঠলেও তো তার ভ্যাম্পায়ার হয়ে যাওয়ার কথা। বেলা কি তবে সত্যি সত্যিই ভ্যাম্পায়ার হবে? পূরণ হবে রক্তপিশাচ হিসেবে পুনর্জন্মের সেই স্বপ্ন! ছবির মূল তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট (বেলা), রবার্ট প্যাটিনসন (এডওয়ার্ড) ও টেলর লটনার (জ্যাকব)। ছায়াছবি হিসেবে এটা মূলত এই সিরিজের ডাই হার্ড ফ্যানদের জন্য। মুভিটির ভালো দিক বলতে রয়েছে এর সাউন্ডট্র্যাকগুলো। তাছাড়া চোখে পড়ার মত কোন কিছুই কাহিনীতে নেই।

কিছু যৌনদ্দীপক দৃশ্য রয়েছে,যেটা খুব সম্ভবত মার্কেটকে আরো বিস্তৃত করেছে। আমার রেটিং 3.5/10 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.