আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন গোয়েন্দা ও আমি

আমি এখন সেফ। । সম্ভবত ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে আমি তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু করি। একদিন এক আত্বিয়ের বাসায় যেয়ে প্রথম তিন গোয়েন্দার সন্ধান পাই। তারপর থেকে শুরু।

সবসময় চিন্তা করতাম কিভাবে আরো বই কেনা যায়। বই কেনা এক ধরনের নেশার মত হয়ে গিয়েছিল। মতিঝিল মডেল স্কুলে যাওয়ার সময় কমলাপুর রেল স্টেশন পড়ত। স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢোকার সময় হাতের বামে দুইটা বইয়ের দোকান ছিল। ওই দুই দোকান থেকে অনেক বই কিনেছি।

আস্তে আস্তে তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১-৫৯ পর্যন্ত সব ভলিউম কিনে ফেললাম। বাসায় অনেক বকা খেয়েছি তিন গোয়েন্দা পড়ার জন্য। সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত স্কুলের পড়া পড়তাম। তারপর আব্বু বিটিভির সংবাদ দেখতে বসত আর এই সুযোগে আমি তিন গোয়েন্দা পড়তাম। অবশ্য সাড়ে আটটার মধ্যে পড়া শেষ করতে হত।

কারন সাড়ে আটটার মধ্যে খবর শেষ হয়ে যেত। কতগুলো গল্প আজও মনে আছে। কঙ্কাল দ্বিপ, কাকাতুয়া রহস্য, ঠগবাজি, বোম্বেটে, অথৈ সাগর। বইমেলায় গেলে সেবা প্রকাশনির মূল্য তালিকা নিয়ে আসতাম। একবার বইমেলায় রকিবদার সাথে দেখা হল।

তারাতারি একটা তিন গোয়েন্দা কিনে উনার অটোগ্রাফ নিলাম। কিন্তু বাসায় এসে দেখি অটোগ্রাফে আমার নামের বানান ভূল। এভাবেই চলছিল দিনকাল। একদিন দুপুর বেলায় ফুটবল খেলার কথা বলে দোকানের ভিডিওগেম খেলে বাসায় আসার পর দেখি আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমার সব তিন গোয়েন্দার বই আম্মু পেপারের সাথে বিক্রি করে দিয়েছে।

তারপর থেকে তিন গোয়েন্দা পড়া বন্ধ করে দিলাম। কিছুদিন আগে এক ছোটভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকটা নতুন তিন গোয়েন্দার বই নিয়ে পড়লাম। পড়ে চরমভাবে মেজাজ খারাপ হল। কি সব ডেথসিটি, রেনট্রি দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে। তিনটা গল্পের মধ্যে দুইটাই আজগুবি।

এখন আর সেইসব চুরি করে গল্প পড়ার বয়স নেই। এখন সেইসব দিনগুলি কেবলই স্মৃতি। অনেকদিন পর আজকে হটাৎ করে তিন গোয়েন্দার কথা মনে পড়ল। তাই এই পোষ্ট লিখলাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।