আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কর শনাক্তকরণ সংখ্যাধারীদের (টিআইএন) অনলাইনে পুনর্নিবন্ধন নিতে হবে। পুনর্নিবন্ধন করলে তাঁদের ১২ সংখ্যাবিশিষ্ট নতুন টিআইএন দেওয়া হবে। জানুয়ারি মাস থেকে আর পুরোনো টিআইএন ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যদিকে এখন থেকে আর পুরোনো পদ্ধতিতে টিআইএন নেওয়া যাবে না। অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টিআইএন গ্রহণ করতে হবে।
টিআইএন নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
গতকাল সোমবার অনলাইনে টিআইএন নেওয়ার পদ্ধতি ‘ই-টিআইএন’ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাংসদ শাহ জিকরুল আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, সদস্য (তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) রাহেলা চৌধুরী।
আলোচনা: অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০১৩-১৪) অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে পরিমাণ আয়কর আদায় করা হবে, তা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর আগামী অর্থবছরে তা প্রথম স্থানে উঠে যাবে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে টিআইএনধারী হিসেবে জনসংখ্যার এক শতাংশ প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসবে। এ হার পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে কমপক্ষে ৩০ হাজার লোক আছেন, যাঁদের বছরে এক কোটি টাকা করে কর দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।
লুকিয়ে না রেখে বা ফাঁকি না দিয়ে তাঁদের করজালের আসার আহ্বান জানান তিনি।
করদাতা ও কর আদায়কারীর মধ্যে ‘চোর-পুলিশ’ সম্পর্ক দূর করার তাগিদ দেন হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, কর-ব্যবস্থা এমন করতে হবে যেন রাষ্ট্রই জনগণের কাছে আসবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, চলতি বছরের মধ্যেই ‘ই-ফাইলিং’ ব্যবস্থা চালু হবে। এতে করদাতারা ঘরে বসেই অনলাইনে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে পারবেন।
অনলাইনে টিআইএন: অনলাইনে টিআইএন নিতে হলে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের www.incometax.gov.bd—এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর হোমপেজের ‘রেজিস্টার’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। এ সময় ইচ্ছুক টিআইএনধারীর মুঠোফোনে একটি কোড আসবে। এরপর পেজের ‘ডায়লগ’ বক্সে কোডটি বসিয়ে ‘অ্যাকটিভ’ বাটনে ক্লিক করলেই নতুন টিআইএন নেওয়ার পেজ পর্দায় দৃশ্যমান হবে।
এরপর পেজের ফরমটি একে একে নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
একপর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যসমূহ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
যদি জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে গরমিল থাকে, তবে নতুন টিআইএনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আর যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবি সন্নিবেশ করতে হবে। পুরোনো টিআইএনধারীদের পুনর্নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই উপায়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
সর্বশেষ অনলাইনে আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টিআইএন সনদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দায় ভেসে উঠবে। পরে তা প্রিন্ট নিতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে মাত্র কয়েক মিনিটেই স্বয়ংক্রিয় উপায়ে ঘরে বসেই টিআইএন পাওয়া যাবে।
আর কোম্পানি টিআইএনের ক্ষেত্রে যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধন থাকতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।