আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশ্লীল লেখা ও যৌনতার আহ্বান অসুস্থ্য মানুষিকতারই পরিচয়।

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে কেনা-কাটা জন্য মার্কেটে যাননি। তেমনি অনেকে হয়তো বিশেষ প্রয়োজনে নামি দামি বিভিন্ন মার্কেট গুলির বাথরুম ব্যবহারও করেছেন। আমি একজন ছেলে মানুষ বিধায় আমাকে ছেলেদের বাথরুম ব্যবহার করতে হয় কিন্তু বাথরুম ব্যবহার করতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম বাথরুমের দরজা ও দেয়ালে মোবাইল নম্বর সহকারে কিছু হাতের লেখা, কাছে গিয়ে লেখা গুলি পড়তেই চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার। এসব কি? একটু উদাহরন দিলে হয়তো লেখার নোংরামির মাত্রা ও বিষয়বস্তু গুলি বুঝতে পারবেন, যেমন: >আমি গে, ছেলেদের সাথে সেক্স করতে চাই। মোবাইল নম্বর....?????? >সেক্স করতে চান,আমাকে কল করুন (মেয়ে) মোবাইল নম্বর....?????? >ছেলেদের সাথে সেক্স করতে চাই,মোবাইল নম্বর....??????? > ভালবাসা চাই,আমাকে কল করুন....?????? এই রকম আরো অনেক অরুচিকর ও নোংরা কথা লেখা রয়েছে।

আমি মালিবাগ কনকর্ড টুইন টাওয়ার, বেইলি রোডের বেইলি ষ্টার মার্কেটের বাথরুমে এ সমস্ত লেখাগুলি বেশি পেয়েছি। এমন কি আমি অবাক হয়ে গিয়েছি ল্যাব এইডের এক বাথরুমে মেয়েদের শরীরের আঁকা সচিত্র ছবি সহ নোংরা ভাষার লেখা দেখে। এখানেও!!! হায়!! কোন সভ্য দেশে বাস করছি? আমরা নাকি শিক্ষিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এই মানুষিকতা নিয়ে? যে আমাদের মা-বোনদের আমরা সু্যোগ পেলে এভাবে অপমান করছি। আবার সাথে নিজের যৌন তাড়না বা ক্ষুধা প্রকাশ করছি। তবে আমি নিশ্চিত যে মেয়েদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই একজন ছেলে কর্তৃক দেওয়া এটা সহজেই বুঝা যায়।

কিন্তু কেন? যদি মোবাইল নম্বরটি সঠিক হয় তাহলে কি বিব্রত অবস্থায় সেই মেয়েটি পরতে হয়েছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। আমি স্বীকার করি প্রতিটি যুবকের একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যৌন তাড়না বা যৌন ক্ষুধা হয় তাই বলে এভাবে প্রকাশ্যে নোংরা ভাবে তা বুঝানো কি প্রয়োজন আছে? নাকি এরা অসুস্থ্য ও যৌন বিকৃত অমানুষ। আবার অন্যদিকে তাকালে দেখা যায় ঢাকা শহরের সিটিং বাসের সীটের পিছনেও এসব নোংরা ও আপত্তিকর লেখা হয় ও ড্রাইভারের সামনের গ্লাসের উপরে বড় বড় যৌন রোগের মহৌঔষধের স্টিকার লাগিয়ে প্রচার করে বিভিন্ন দাওখানার কোম্পানীরা। সহজেই বুঝা যায় এটা বাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তারা এই প্রচারণা চালায়। একজন মানুষের রুচি ও মানুষিকতার কি পরিমাণ অবনতি ঘটলে এধরনের লেখা লিখতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়।

যারা মার্কেটের বাথরুমে দরজায় বা দেয়ালে, বাসের সিটের পিছনে বা কোনো পাবলিক প্লেসে লিখছেন তারা অবশ্যই লেখাপড়া জানা মানুষ(তবে এদের শিক্ষিত বলবো না)। লেখাপড়ার কি কোন গুনই এদের মধ্যে নাই। একবার কি এরা ভেবে দেখেছে কোন কোমলমতি স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা যখন এসমস্ত বাথরুম ব্যবহার ও তাদের বাবা-মায়ের সাথে যখন এই সব বাসে ভ্রমন করবে তখন কি বিব্রত অবস্থার সৃষ্টি হবে বা হয়। এমনকি আমরা বন্ধুরা যখন একসাথে যাতায়াত করি তখন এগুলি নিয়ে হাসি তামাসা করি বা করতে পারি, যা মোটেও কাম্য নয়। এসব নোংরা, অরুচিকর লেখা থেকে একটা বিষয় বুঝা যায় সবাই এক সাথে ও একইদিনে এই লেখা গুলি লিখেনি কেউ একজন শুরু করেছে এবং অন্য আরেকজন তা দেখে উৎসাহিত হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী বা সমাজ সচেতনাদের চোখের সামনে দিয়ে চলছে এই সব প্রচারণা ও নোংরামি। যেন দেখার কেউ নেই। তবে দেখার কেউ থাকুক বা না থাকুক আসুন আমরা যারা সুশিক্ষিত নাগরিক আছি তারা এগুলিকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতায় থেকে অন্যকে সচেতন করে সমাজ থেকে এসমস্ত অসুস্থ্য মানুষিকতার অমানুষ গুলিকে পরামর্শ দিয়ে সুস্থ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। ধন্যবাদ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.