আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা মুভি (টেলিফিল্ম) "কমন জেন্ডার" রিভিউ + লাইভ মুভি

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে. সেদিন ইউ টিউবে ঘাটাঘাটি করে পেলাম কমন জ়েন্ডার নামে একটি মুভি কিংবা টেলিফিল্ম। সঠিক কবে এই মুভি মুক্তি পেয়েছিল সেটা বলতে পারবো না। একেক ক্লিপে একেক রকম তথ্য পাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। যাই হোক, এইবার আসি মুভি কিংবা টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে। কমন জেন্ডারকে মুভি না বলে টেলিফিল্ম বলাই ভাল।

সবমিলিয়ে ৫১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড দীর্ঘ এই টেলিফিল্ম। টেলিফিল্মটি ডিরেকশন এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং এ ছিলেন নোমান রবিন। এতে অভিনয় করেছেন কাজ়ি রাজু, তুষার আহমেদ, চিত্রলেখা গুহ, সোহেল খান, ডলি জহুর সহ আরো অনেকে। টেলিফিল্ম এর পুরো কাহিনি ঘিরেই রয়েছে সমাজে এক কথায় অবহেলিত "হিজরা" গোষ্ঠীকে নিয়ে। টেলিফিল্মের একেবারে শেষে একটি বাণী স্ক্রীণে ভেসে আসে - "নারী ও পুরুষের মাঝে যে মানুষ সেও মানুষ"।

টেলিফিল্মের শুরুতেই একটি ছেলের ছোটবেলা থেকে শুরু করে যুবক বয়স পর্যন্ত তার পরিধেয় কাপড়ের যে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে তা এককথায় অর্থবহ এক রূপ এনে দিয়েছে। তুষার আহমেদ (বাবলি) ছোট বেলা থেকেই মেয়েদের মত আচরণ করতে থাকে। যেমন মেয়েদের পোষাক পরা, রান্না বারা করা, সাজগোজ করা ইত্যাদি। যখন তার বাড়ির সবাই তুষারের বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারে সে হিজরা হয়ে গিয়েছে তখন তারা তাকে ত্যায্য পুত্র করে। কিন্তু তারপর ও পরিবারটির সমস্যা থেকেই যায়।

এলাকায় কিংবা বাজারে তার পরিবারটির মুখ দেখানোর মত অবস্থা থাকে না। হিজরা সম্প্রদায় দৈনিক চাদা তুলে তাদের মাসীকে (সোহেল খান) দেয়। এভাবে করেই কাহিনি আগাতে থাকে। সমাজের রক্তচক্ষু, অবহেলা, বঞ্চনা, গঞ্চনা সহ্য করে তাদের পথ চলতে হয়। এমন কি তাদের জীবনের প্রেম ভালবাসা আসলেও তা টিকে থাকে না।

সমাজে তাদের দাম নেই। মাসীর কাজে গোপনে খবর বিলি করে তারই বিশ্বস্ত এক লোক। কোন এলাকায় কোন শিশু হিজরা পাওয়া গেলে সেই লোক এসে তাকে খবর দিয়ে যায়। বিনিময়ে সে টাকাও পায়। একদিন রাতের অন্ধকারে হিজরারা সবাই মিলে সেই ছেলের কাছে যায় এবং বাবা মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে।

মায়ের বুক ফাঁটা কান্নার আওয়াজও সেখানে বাতাসের সাথে মিলিয়ে যায়। টেলিফিল্মের একেবারে শেষ দৃষ্যে বাবলির (তুষার আহমেদ) মায়ের কথা খুব মনে হয়। তাই সে রাতের আধারে দেখা করতে যায় তার মায়ের সাথে। কিন্তু তার বড় ভাইয়ের মার খায় সে। কোনমতেই সে দেখা করতে পারে নি তার মা (চিত্রলেখা গুহ) সাথে।

এই দৃষ্যটি অনেক আবেগতাড়িত করে দেয়। মায়ের ভালবাসা বঞ্চিত হয়ে রাস্তার পাশে পথ শিশুকে তার মা ভাত খাইয়ে দেয় এই দৃষ্যটি দেখার পর চোখের পানি ধরে রাখা কষ্টকর হচ্ছিল। সেখানে যেয়ে বাবলি (তুষার আহমেদ) সেই পথ শিশুর মা (ডলি জহুর) কে বলে একটু পিছনের গাছের গোড়ায় আসতে। বিনিময়ে সেই মা কে সে ১০০ টাকা ও দেয়। এই শেষ দৃষ্যটি এতটাই নিখুত ভাবে করা হয়েছে যে তুষার আহমেদ বাহবা পেতেই পারেন।

এক কথায় বলা যায় নোমান রবিন তার কাজের দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে। আসুন তাহলে দেখে নিন টেলিফিল্মটি - বিঃদ্রঃ হয়ত টেলিফিল্মের রিভিউ ঠিক মত লিখতে পারি নি। তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.