সম্ভবত এমন মানুষ পাওয়া যাবে না, যে দু’লাইন কবিতা লিখে নি। সেই প্রকৃতিগতভাবেই কিছু কবিতা লিখেছি; একসময় মনে হয়েছে ভালোই তো হয়। এর ফলে অনেক ভেবেছি, লেখালেখিকে সিরিয়াসলি নেব কীনা? নিলে কেমন হবে, কী প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে? যখন লিখব বলে সিদ্ধান্ত নিই, অথবা আস্তে আস্তে কবিতার সাথে একটা সংযোগ স্থাপন হয়। সেই সংযোগ সেতু ভেঙে কবিতা থেকে একসময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন ভাবতে পারি নি। তখন, ২০০২ বা ২০০৩ সালের দিকে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অনুদিত রাইনার মারিয়া রিলকের দুইনো এলিজি পড়েছি।
কিছুই বুঝতে পারি নি, কিন্তু ভালো লেগেছে। অজস্র বার বইটি পড়েছি, এবং লক্ষাধিক বার শিহরিত হয়ে উঠেছি। সেই সময়ে জনকন্ঠে তরুণ কবিকে লেখা রিলকের একটা চিঠি ছাপা হয়। সেই চিঠি পড়ে বেশ উদ্বুদ্ধ হই। রিলকের দুইনো এলিজি ও চিঠিটি কবিতার সাথে আমার অভিন্ন সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ হলে বা ভাল লাগলেই কবিতা লিখতে পারি। উদ্বুদ্ধ না হলে বা ভাল না লাগলেও লিখতে পারি। কিন্তু যখন বিষয়টা সিরিয়াস, তখন কেবল ভালো লাগা আর মন্দ লাগায় সিমাবদ্ধ থাকে না, থাকলে সেটা স্থুল হয়ে যায়। এই পর্যয়ে এসে, ভাবনা যখন স্থির হলো যে লিখব। তখন লেখক ও পাঠক, এই দুই ভারই গ্রহন করলাম।
অর্থাৎ যখন একটা কবিতা লিখি, তখন ভাবি যে কবিতাটা কেন একজন পাঠক পড়বে? একজন পাঠক পড়বে বলে কেন আশা করব? এই ভাবনা থেকে কবিতা লেখার সময়ে লক্ষ্য রাখি যে আমার লিখিত কবিতা যেন তাৎপর্যপূর্ণ ও মহৎ হয়। এখানে আবার প্রশ্ন আসে, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহৎ বলতে আমরা কী বুঝি? আমি মনে করি এটি আবার ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। সেই ব্যাখ্যায় আজ যাব না।
আরেকটি বিষয়, কবিতা যখন লিখি, তখন লেখক-পাঠক এবং একই সাথে কবিতায় বর্ণিত বিষয় বা চরিত্রের সাথে আমি এক হয়ে যাই। অনেক কবিতা লেখার সময়ে আমি কেদেঁছিও।
চোখ মুছে পর্যন্ত টাইপ করতে হয়েছে। কান্নায় গলা ব্যাথা করেছে। আবার অনেক কবিতায় দেখেছি সহস্র মানুষের মিছিল, সেই মিছিলের মধ্য দিয়ে আমি হেঁটে চলছি, আর সবাই বলছি : ‘‘আমরা দেখব, এত আমরা দেখবই / একদিন আসবে আমাদের দিন / কমরেড, সৃষ্টির আদি পৃষ্ঠায় আছে / যে আমি, সে তুমিও’’।
_________
বইটির প্রতিস্থান :
@ সূচীপত্র, ষ্টল নং- ২১১, ২১২, ২১৩
@ উলুখাগড়া, (লিটল ম্যাগাজনি চত্বর)
______________
বইটির একটি আলোচনা আছে। ‘‘উলুখাগড়া’’ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সংখায়।
পত্রিকাটি পাওয়া যাবে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ‘‘উলুখাগড়া’’ ষ্টলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।