কিছুনা, এম্নি। ভূমিকা: আজকাল ভেষজ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার প্রতি অনেকের আগ্রহ। এ বিষয়ে অনেক ভন্ড প্রতারক অপচিকিতসার দ্বারা মানুষের অর্থ ও স্বাস্থ্যহানী ঘটাচ্ছে ব্যাপকভাবে।
এসব অপততপরতা বন্ধে সরকারী হস্তক্ষেপ, প্রকৃত ভেষজ চিকিতসকগণের প্রচারণা ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা দরকার।
আমার এক আত্মীয় ছিলেন নামকরা হেকিম।
ওনার একখানা অতি পুরোনো বই ঘটনাক্রমে আমার হস্তগত হয়।
নাম : সরল মুষ্টিযোগ-চিকিতসা
প্রায় ২০ বছর যাবত আমি বইটি সংরক্ষণ করছি।
অতি পুরোনো এই বইটির স্থায়ী সংরক্ষণ ও সকলের সাথে শেয়ারের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট...
স্বাস্থ্যরক্ষার সংক্ষিপ্ত নিয়মাবলী - ১
১। যাহার শরীর ও মন সুস্থ্য, সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সূখী; যেহেতু স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।
২।
সেই সুখের নিদান শরীর ও মন যাহাতে সুস্থ্য ও সবল হয়, রোগ স্পর্শ না করে, ততপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা মানব মাত্রেরই কর্ত্তব্য।
৩। মানবের শারীরিক ও মানসিক ইন্দ্রিয়দিগকে খুব সতর্কতার সহিত সুশাসনে রক্ষা করিবে।
৪। প্রতিদিন নিদ্রা হইতে ব্রহ্ম মুহুর্তে জাগ্রত হইয়া সর্ব্বাগ্রে বিশ্বপতি মঙ্গলময় পরমেশ্বরের চরণ বন্দনা করিবে।
৫। শয্যা ত্যাগের পর মলমূত্রাদি ত্যাগ করিয়া দন্ত ধাবন ও চোখ মুখ প্রক্ষালন করিবে।
৬। প্রাতে অভুক্ত অবস্থায় থাকিলে দেহে ম্যালেরিয়া বিষ ঢুকিবার সুযোগ পায়, সুতরাং অভ্যাস অনুসারে, অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া কিছু সহজ-পাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করিয়া আপন আপন কার্য্যে নিযুক্ত হইবে।
৭।
সূর্য্যোদয়ের পূর্ব্বেই শয্যাত্যাগ করিবে।
৮। আহারীয় বস্তু সহজ-পাচ্য, পুষ্টিকর ও টাটকা হওয়া উচিত।
৯। আহারের সময় নিয়মিত থাকা কর্ত্তব্য, অনিয়মিত ও অপরিমিত আহার, উভয়ই জীবনক্ষয়কারী।
১০। আহারের পূর্ব্বে কি কোন কার্য্যে ব্রতী হইবার প্রাক্কালে ভগবানকে স্মরণ করিবে। স্বর্ব্বশক্তিমানকে স্মরণে রাখিলে সর্ব্বকার্য্য সিদ্ধি হয়; শরীর ও মন সুস্থ থাকে।
চলবে..... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।