আসমা ছিলেন ইয়াযিদ ইবনে যায়েদ ইবনে হিসান আল-খাতমির স্ত্রী। তিনি ইসলামকে ঘৃণা করতেন, নবীকে অপমান করতেন, আর লোক-জনকে নবীর বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি কবিতা রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। (১) তাঁর একটি কবিতার কিছু পঙ্ক্তি ছিল এরকম: "তোমরা এক বিদেশীর বশীভূত হয়েছ আর তার উৎসাহে মালামালের লোভে খুন করছো। তোমরা সব লোভী মানুষ তোমাদের মধ্যে কি সামান্যতম আত্মসম্মানও নেই?"(২)
এই কবিতা কানে আসার পর মোহাম্মদ বললেন, " কেউ কি এই মহিলাকে খতম করবে না?"(২)
উমায়ের বি. আদি আল-খাতমি নামে এক ব্যাক্তি তাঁর সাথে সেখানে ছিলেন এবং একথা শোনার পর সে রাতেই তিনি সেই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে হত্যা করেন।
(৩) কবি তখন তাঁর শিশুসন্তান পরিবেষ্টিত হয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। একটি শিশু তখন তার মায়ের স্তন্যপান করছিলো। উমায়ের সেই দুগ্ধপানরত শিশুটিকে সরিয়ে মহিলার বুকে তার তলোয়ার আমূলবিদ্ধ করে হত্যা করেন।
পরদিন সকালে এই ঘটনা মোহাম্মদের কানে আসে। মসজিদে উমায়েরের সাথে দেখা হলে তিনি তাঁকে বলেন, "তুমি আল্লাহ আর তার নবীকে সাহায্য করেছ।
" উমায়ের বলেন, "তার পাঁচটি ছেলে ছিল; আমার কি অনুশোচনা করা উচিৎ?" মোহাম্মদ উত্তর দেন, " না, কারণ তার মৃত্যু আর দুটো ছাগলের ঢুঁশোঢুঁশি করা সমান। "(২)
সূত্র:
১. ইবনে সা'দ কিতাব আল-তাবাকাত আল-কবির অনুবাদ এস. মইনুল হক, ভল্যুম ২, পৃ. ৩১
২. ইসহাক: ৬৭৬
৩. ইসহাক: ৬৭৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।