চুপচাপ দেখে দেখেই পার করি সময় ভোর ৪:৩০ ::
ফেসবুকিং, মুভি ডাউনলোডিং , থিসিস আপডেটিং, আর চ্যাটিং এর পরে দেখি এখন একটু ঘুমাতে যাই, কালকে আবার একটা CT আসে।
সকাল ৭:০০ ::
(প্রচন্ড শব্দে এলার্মের ঝনঝন)। যেইনা সুইচটা বন্ধ করে বালিশ দিয়ে কান ঢাকছি, তখনই আম্মুর চিৎকার। "এখুনি ওঠ। নাহলে পানি ঢেলে দিলাম।
" এরকম হুমকির পরে ঘুমানোর চেষ্টা করা বিপদজনক।
সকাল ৯:০০ ::
বিশাল সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অবশেষে কেবল উঠলাম। নিজেকে কেমন জানি আলেকজান্ডার এর মত মনে হচ্ছে। Feelings টা ভাল লাগলো। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আম্মুর ঝাড়ি খেলাম।
ফ্রেশ হয়েই মানিব্যাগটা পকেটে ঢুকায় দৌড়। নাহ্, আজকেও বাস ধরতে পারলামনা।
সকাল ১১টা ::
ক্লাস শেষ হওয়ার ১০মিনিট আগে ঢুকে স্যারকে বানায় বানায় বিশাল Excuse দিলাম। এখন আমার বানানোর ক্ষমতা দেখলে হুমায়ুন আহমেদ ও গলা ছেড়ে কাঁদতে বসত। শেষ বেঞ্চে বসে পাশের ফ্রেন্ডকে খোচাতে খোচাতে ক্লাস শেষ।
S@iful's এসে ১টা স্যান্ডউইচ, চা আর সিগারেটের অর্ডার দিয়ে এসে বসলাম। আড্ডা দিতে দিতে ২:৩০।
দুপুর ৩টা::
ক্লাসের পিছনে বসে ঝিমাতে ঝিমাতে চুপিচুপি চ্যাট করছি। আর ভাবছি কার কার সাথে টাঙ্কি মারা যায়....
বিকাল ৫:৩০ টা::
এক গাধী ছাত্রীর মাথায় পিথাগোরাসের উপপাদ্য ঢুকানোর ব্যার্থ চেষ্টা করলাম কিছুক্ষণ। তারপর বের হওয়ার সময় চোখ টিপে (মাঝে মাঝে টাঙ্কি মারা পবিত্রতার লক্ষণ) বের হলাম।
সন্ধ্যা ৭টা::
বন্ধুদের আড্ডায় Guitar নিয়ে বসলাম। এরপর সাদা ধোয়া, কালো ধোয়া, লাল পানি...(দয়া করে গালি দিবেননা)
রাত ১১টা::
বাসায় এসে অর্ধেক খেয়েই রুমে ঢুকে টুংটাং করলাম কিছুক্ষণ। রঙিন দুনিয়ায় সবকিছু সাদাকালো বানিয়ে কিছুক্ষণ রঙে হাত বুলালাম।
রাত ২টা::
নতুন একটা Movie চালিয়ে দিয়ে আড্ডা দিতে দিতে ঘুম।
এভাবে আরেকটা নতুন সন্ধ্যার উজ্জ্বল তারার কালো দিনের পরিসমাপ্তি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।