বিপিএলে প্রতিটি ম্যাচেই বিদেশি ক্রিকেটারদের আধিপত্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত ক্রিকেটমোদীদের জন্য আজ ছিল অন্য রকম এক দিন। সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে চিটাগং কিংসের দুর্দান্ত জয়ে মূল ভূমিকা রাখলেন বাংলাদেশের দুই ছেলে মাহমুদউল্লাহ ও জিয়াউর রহমান। নির্ভুল ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাঁরা দুজন দেখিয়ে দিলেন, এ দেশের ক্রিকেটাররাও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে জানেন।
৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল চিটাগং কিংস। পাথর সময়ে মাঠে নেমে মাহমুদউল্লাহর ওপর ছিল পৃথিবীর সব দায়িত্ব।
উইকেটের চারদিকে অসাধারণ সব শট খেলে নিজের ও দলের ওপর থেকে সব চাপ সরিয়ে নিলেন। জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে চিটাগং কিংসকে উপহার দিলেন দারুণ এক জয়।
ম্যাচ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ এসেই তাই অভিনন্দনটা পেলেন সাংবাদিকদের। নিজের প্রশংসার মধ্যেও তিনি অবশ্য পক্ষ নিলেন স্বদেশি ক্রিকেটারদেরই। বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন।
কে যে কখন ভালো খেলে ফেলে! আসলে বিপিএলে দেশি ক্রিকেটাররা পারফর্ম করার তেমন সুযোগ পাচ্ছে না। ’
এবার সচকিত সাংবাদিকেরা। তাহলে কী বিপিএলের আয়োজন বাতিল হয়ে যাওয়া বিদেশিদের খেলা দেখার জন্য! মাহমুদউল্লাহ পরোক্ষভাবে স্বীকারও করলেন ব্যাপারটি। বললেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এত টাকা খরচ করে ভালো ভালো বিদেশি ক্রিকেটারদের এনেছে। তারাও চাইবে, টাকাটার যেন সদ্ব্যবহার হয়।
এ জন্যই বিদেশিরা একটু বেশি সুযোগ পাচ্ছে। ’
জাতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বললেন, ‘জাতীয় দল, ফ্র্যাঞ্চাইজি, ক্লাব, বিভাগ—যে দলেরই হয়ে ক্রিকেটাররা খেলতে নামেন, সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েই খেলার চেষ্টা করেন। ’ বিপিএলে ক্রিকেটের বাইরে যে অনুষ্ঠান, হইচই, গান, বাজনা ইত্যাদিতে মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবেই এ কথা বলেন তিনি।
ব্যাটিংটা চিটাগং কিংসের ভালোই হয়েছে।
কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে অবধারিতভাবেই মাহমুদউল্লাহর দিকে ছুটে গেল ক্যাচ মিসের অপ্রিয় প্রসঙ্গটা। মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘হতাশাজনক হলেও ব্যাপারটি ক্রিকেটেরই অংশ। আজ যারা ক্যাচ ফেলেছে, তারা সবাই ভালো ফিল্ডার। আশা করছি, তারা নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।