মার্চ মাসের পুরোটাই রাজধানীর রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলটির কেন্দ্রীয় ও নগর কমিটির নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপিকে জ্বালাও-পোড়াও করতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভা করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় ঘোষণা করা কর্মসূচিগুলো হলো :
বিশেষ অনুষ্ঠান সূচীঃ
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া।
এ দিনে সকাল ৭টায় নিউ মার্কেট থেকে প্রভাতফেরি বের করে শহীদ মিনার হয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। ৭ মার্চ শিখা চিরন্তন থেকে মিছিল বের করা হবে। ৩০ মার্চ স্বৈরাচার পতন দিবসে আলোচনা সভা করা হবে। তবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে কর্মসূচি পরে ঘোষণা করবে বলে দলটি জানিয়েছে।
আগামী ১২ মার্চ বিএনপি ঢাকা ঘেরাও বা চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ এখনো পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। তবে এ দিনে তাদের কর্মসূচি থাকবে বলে দলটির নেতারা নিশ্চিত করেছেন।
সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, 'পুরো মার্চ মাস ঢাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ৭ মার্চের মিছিলই প্রমাণ করবে ঢাকা কার, আমাদের না তাদের (বিএনপির)?' তিনি (আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম) বলেন, 'মার্চ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের মাস।
এ মাসে কাউকে আমরা ঢাকার রাজপথ ইজারা দেব না। এটা একান্তই মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা একাত্তরের ঘাতকদের মুক্তির দাবি করে তাদেরকে আমরা মার্চ মাসে ঢাকায় ঢুকতে দিতে চাই না। ' তিনি বলেন, 'এখন ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই, আমরা যুদ্ধে নেমে গেছি। আর এই যুদ্ধ খালেদা জিয়া ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে।
'
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আইন প্রতিমন্ত্রী ও নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হাজি সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
'সরকারকে লেংড়া লুলা করে ছেড়ে দেওয়া হবে'-সভায় বিরোধীদলীয় নেতার এ বক্তব্যএর কঠোর সমালোচনা করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, 'দেশের জনগণের ওপর বিরোধীদলীয় নেতার কোনো আস্থা নেই বলেই তিনি নির্বাচিত সরকারের ব্যাপারে এ ধরনের অশালীন উক্তি করেছেন। তাঁর ভাবা উচিত, সরকারকে লেংড়া বানানো মানে আমাদের যারা ভোট দিয়েছে তাদের সবাইকে লেংড়া বানানো। ' তিনি আরো বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
বিভিন্ন সময় উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে তিনি জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলছেন। যে ভাষায় খালেদা জিয়া কথা বলছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মুখে এমন ভাষা শোভা পায় না। '
বিস্তারিত পড়তে চাইলে
Click Here ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।