নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই সিটিবাসের শেষ সীটের লোকটা অদম্য আনন্দে সেলফোনে তাস খেলছিল, দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এতটুকু মনিটরে আঙুলের স্পর্শে কি আগ্রহ জীবন মানে যেন রুহিতন আর ইসকাপন লোকটি মজা পাচ্ছিল খেলায়, খেলতে খেলতে যাবতীয় জরুরী কাজ যেন খেলায় তার, আনন্দে ভেসে যাচ্ছিল অথবা হেরে গিয়ে চুলে ছিঁড়ছিল আমি ভাবছিলাম জা পল সার্ত্রের বেঁচে থাকা মানে চিন্তাশীল হওয়া, প্রাণরসায়নে চলমান কোষের ভিতর সুতোর মতন বংশধারা ক্ষয়ে যাচ্ছে দেহ কোষ, বাদুরের মতন বাতাসে ভেসে থাকছে অনুরাগ, বহুবিধ শাখায় ভালবাসার দ্বন্দ্ব - এক বাড়ি নিচে কত গুলো ছাদ, বুকে বুক মিলে যায় তেলে জল মিশে যায় না। ভাবতে ভাবতে মেঘ থেকে ঝরে যায় হাইড্রোজেন জল, বহুমুখী স্কুলের ছাত্রটির মূল্যবোধ ধ্বংস হয় আর শ্রমিক যখন ঘাম ঝরিয়ে অর্থ না পেয়ে বিবাদ করে, ক্যাশড্রয়ারের পাশে মজুরটি মাথা নত দাঁড়িয়ে থাকে। কালো নর্দমায় এক টুকরো সবুজ ঘাস ভেসে গেলে - ওসব থেকে অর্থ বের করে আনি। আমি দেখছিলাম একশন ডেনড্রাইটের জৈব ছাপচিত্রে কত শাখা প্রশাখা, হরিতকী বিক্রি করতে হ্যাজাক জ্বেলে গান করে কবিরাজ, দেয়ালে মাথা ঠেসি, অজ্ঞতায় ভেসে যাই, পেশার আড়ালে জীবনের গভীরতা কমে গেছে, অথচ খেলায় মগ্ন হতে পারি নি। বাসের লোকটি সব সহজ করে নিতে পারে - যা হবার তাই হচ্ছে। জয় কিংবা পরাজয় যাই হোক। বিদেশে বোমা পড়ে মরে গেছে একশত একাশি। শুনেছি পশ্চিমা শিশুরা বোমারু বিমান ভালবাসে আর পড়ন্ত ফুলঝুরিকে মৃত্যুর তারাবাজি ভাবে - ডিম মুখো ওয়ারহেড আর বোমা নিক্ষেপ দেখতে ভিডিও গেমের মত ফুর্তি পায়। হয়তো এভাবেও ভাবা যায় - কি হচ্ছে আসলে, কি ভাল বা মন্দতে - জন্ম, মৃত্যু, বীভৎস বলাৎকার, প্রতারণা, পাপের নসিহত, মানবিক ধারায় খাদ আর সোনা নিয়ে এভাবে ভাবতে ভাবতে সময় কি নষ্ট হল কিনা কে জানে। -- ড্রাফট ১.২
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।