সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!! রাতের অন্ধকারে মসজিদে হামলা হয়েছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের দেশের হিন্দুদের এতো সাহস নেই যে মসজিদে আক্রমণ করবে। যাহোক, পূর্বের দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতের আধারে সুবিধাবাদী একপক্ষ হয়তো এ সুযোগটা নিয়েছে। সুযোগটা যেই নেওক না কেন ব্যর্থতার দায়ভারটা শেষ পর্যন্ত প্রশাসনেরই।
মসজিদে হামলার পর প্রতিবাদে মুসল্লীরা রাস্তায় নামাজ আদায় করেছে।
জুমার নামাজের সময়ে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখা হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা হয়েছে। এগুলো হয়েছে প্রশাসনের সামনে। প্রশাসনের উচিত ছিল মসজিদের হামলার খবরটি জানার সাথে সাথেই সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, দোকানপাটে প্রহরা বসানো। তাদের জনমাল রক্ষা করা।
কিন্তু সার্বিকভাবেই প্রশাসন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা বা ক্ষেত্রবিশেষে নীরবতার কারণে তা হয়নি। তারপরেও বিলম্বে হলেও সরকারের চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বমহলের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন শান্ত। সব ঘটনা ঘটার পরে যখন পরিস্থিতি সম্পূর্ন শান্ত তখন সামহোয়ার একটি পোস্ট স্টিকি করেছে।
ক্ষমা চেয়েই বলতে পারি পোস্টটির বক্তব্য পুরোপুরি সুবিধাবাদী। প্রথম অংশ পড়লে মনে হবে হিন্দুদের দোষ, দ্বিতীয়তাংশে মুসলিমদের দোষ। এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য পরিস্কার, ঠিক এ সময়ে উদোরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে, বুদোর পিন্ডি উদোর ঘাড়ে ফালানোর প্রচেষ্টা বর্তমানের শান্ত পরিস্থিতিকে উস্কে দেয়ারই শামিল। কারা দোষী সেটা পরে তদন্ত সাপেক্ষে নির্ণয় করা যাবে। কঠোর শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
তবে বর্তমানের জরুরী করণীয় হচ্ছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য করা।
অবশ্য, সামহোয়ার যদি মনে করে তিনিই লেখক, তিনিই প্রকাশক, তিনিই ক্রেতা তবে এক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।