আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
১৯৯১ সালে রাশেদ খান মেনন যখন তার ওয়ার্কাস পার্টির মার্কায় বরিশাল হতে এমপি হয় তখনই কানাঘুষা ছিল যে স্থানীয় সর্বহারা তাকে জিততে সহায়তা করে। কিন্তু ১৯৯২ সালে যখন তাকে গুলি করে আহত করা হয় তখনই এর প্রমাণ পেলাম। মজার কথা হল ১৯৯২ তখন ৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও গণ আদালত বিষয়ে দেশের রাজনীতি গরম থাকায় ঘাদানিক ও আলীগ দাবী করে জামাতিরা তাকে গুলি করেছে। পরে যখন পুলিশি তদন্তে জানা গেল এটা সর্বহারাদের কাজ তখন ঘাদানিক ও আলীগ দুই জনেই মেননের উপর হামলার ঘটনায় মুখে কুলুপ আটে। এরপর মেননের সরাসরি ওয়ার্কাস পার্টির পক্ষে ১৯৯৬, ২০০১এ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাশকরা সম্ভব হয়নি।
আক্ষরিক অর্থেই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দূর্বল হয়ে যায়। কিন্তু বেশ বাকপটু হওয়ায় ১৪ দলীয় জোটের ব্যানারে হাসিনা ও আলীগের ঘনিষ্ঠ হয়। এই কারণেই তাকে শুধু নৌকা মার্কা নয় খোদ ঢাকা থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮ এ প্রতিদন্দিতা করতে দেয় হাসিনা। তাই ঢাকা থেকেই এমপি হওয়ার সৌভাগ্য হয় মেননের।
আজকে ICTর বিচার এবং জামাত নিষিদ্ধর দাবী আলীগ ও তার অনুসারী ১৪ দলীয় জোটের এজেন্ডা।
এটা ভিন্ন বিষয়, তা নিয়ে এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। মেনন এই দাবী করতেই পারেন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সামু সহ বিভিন্ন ব্লগে দিনের পর দিন নাস্তিকতার নাম নিয়ে ঢালাও ইসলাম ও রাসুল(সাঃ)কে নোংরা ও কুৎসিত ভাষায় গালি, বিদ্বেষ এবং ঘৃণা ছড়িয়ে যাচ্ছিল বেশ কয়েকজন ব্লগার। আজকে যখন পুলিশ হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের চাপে তাদের গ্রেফতার করছে এবং ব্লাশফেমী আইন করার জন্য তাগাদা দিচ্ছে এখানেই মেননের গত্রদাহ;
অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনারা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, অন্যদিকে ধর্মদ্রোহিতার জন্য ব্লাসফেমি আইন নিয়ে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে যেসব কথা বলেছেন, এতে আমি আতঙ্কিত।
তার কথায় মনে হয়েছে, আমরা বাংলাদেশকে ‘ইসলামাইজেশনে’র দিকে ঠেলে দিচ্ছি। এতে দেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে। এর ফলে আমাদের আমও যাবে, ছালাও যাচ্ছে বলে আমার ধারণা।
Click This Link
রাশেদ খান মেননের কথায় মনে হয় শাহবাগ ও গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলনের জন্য ইসলাম বিদ্বেষীদের ছাড়া চলবে না। তাইলে কি সত্যিই যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের জন্য তরুণ বা জন সমর্থনের অভাব পড়ল? আমরাতো দেখেছি যে এক কোটি লোকের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের জন্য।
এখানে সবাই কি ইসলাম বিদ্বেষী? মোটেও না। তাইলে মুষ্টিমেয় ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য রাশেদ খান মেননের এত দরদ কেন? আমরা কি ১৯৭১এ যুদ্ধ করেছিলাম যে স্বাধীন বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ইসলাম ও রাসুল(সাঃ)কে নোংরা গালী ও ঘৃণা করা হবে? রাশেদ খান মেনন ও তথাকথিত সেক্যুলারের নামে উগ্রপন্থীদের মনে রাখা উচিত আমরা ৭১এ পাকিস্তান হতে স্বাধীন হলেও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিনি। পাকিস্তানের ব্যার্থতা মানে ইসলামের ব্যার্থতা নয়। পিপিপি ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর রাজনৈতিক এজেন্ডায় কোথাও ইসলামী মূল্যবোধের কথা নাই। অন্তত ১৯৭০ সালে ছিলও না।
বরং এই দলটির আদর্শ হল;
The Pakistan People's Party (Urdu: پاکستان پیپلز پارٹی; commonly referred to as PPP) is a centre-left, progressive, and democratic socialist political party in Pakistan. Affiliated with the Socialist International,
Click This Link
ভুট্টো একটা কুচক্রী, প্রতারক রাজনীতিবিদ ছিল। সে পাকিস্তান সামরিকবাহিনী সহ অন্য ইসলামপন্থীদের বিভ্রান্ত করেছে। আজও পিপিপি বিশেষ করে বেনজীর ভুট্টো বেচে থাকতে ১৯৭১ নিয়ে কখনই দুঃখ প্রকাশ করেনি। তাই বাংলাদেশে উগ্র-সেক্যুলারিষ্টরা সব সময় চক্রান্ত করে সাধারণ মানুষকে ইসলাম ও এর মূল্যবোধের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে। আজকে শেখ হাসিনা মেনন, আশরাফ, নাহিদ, শফিক ইত্যাদি বামপন্থীদের অতিরিক্ত আস্কারা না দিলে দেশে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হত না।
আজকে মেননের বিবৃতি দেখলে বানরকে আহলাদ দিয়ে মাথায় তোলার কথাই মনে হয়। তবে এই সকল ইসলাম বিদ্বেষীদের মনে রাখা উচিত বাংলাদেশের ৯০% জনগণ মুসলমান। সামাজিক ব্লগ গুলিতে এই রকম ইসলাম বিদ্বেষ চলবে না। যারাই তাদের সমর্থন করবে সেও ইসলাম বিদ্বেষীদের কাতারে শামিল হবে!
বিঃদ্র- ব্লগার রাসেল পারভেজ আমার একজন প্রিয় ব্লগার। যেমন দিন মজুর, ফারুক ওয়াসিফও।
তার যত লেখা দেখেছি তাতে সে নাস্তিক হলেও ইসলাম বিদ্বেষী বলে মনে হয়নি। সে দিনমজুর, ফারুকের মত ট্যালেন্ট না হলেও যথেষ্ঠ মেধাবী। এখন যদি সে সত্যিই অপবাক হয় তাহলে খুবই দুঃখ পাব। কে আস্তিক কে নাস্তিক সেটা যার যার ব্যাক্তি স্বাধীনতা। কারো হতেই উস্কানি, ঘৃণা ও হিংস্র আচরণ কাম্য নয়।
আমাদের সাধারণ পরিচয় আমরা মানুষ। কোন ধর্ম বা মত কোন ব্যাক্তির উপরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।