মেঠোপথের কতোই না গল্প থাকে , একদিন নিশ্চয়ই হবে তা ! নিয়াজ মাখদুম
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের লংমার্চ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাতে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘সচেতন হক্কানী আলেম সমাজ’ নামের নতুন একটি সংগঠন। সরকারের পক্ষে কাজ করা এই সংগঠনটির সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতি ২৫০ টাকা দিয়ে লোক জমায়েত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি তখনই প্রকাশ পায় যখন প্রতিশ্রুত টাকার পরিমাণ কম হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেয়া কয়েকজন নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমাদেরকে ২৫০ টাকা করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে প্রেস ক্লাবের নিচে এসে সবাইকে ২০০ টাকা করে দেয়া হয়।
”
সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আরেকজন নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমাদের মধ্যে অনেকে মসজিদের ইমাম এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের লোক, তারা চাকরি বাঁচানোর জন্য এখানে এসেছেন। এছাড়া বাইরের লোকও আছে। ”
টাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “এখানে যে হুজুরে (সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা) বক্তব্য দিয়েছেন তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছের লোক। ডিজি সাহেবের বিভিন্ন কর্মসূচি তিনি বাস্তবায়ন করেন। ”
আরেকজন নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “ইসলামী ফাউন্ডেশন হেড অফিসের সমন্বয় বিভাগের পরিচালক হারুন-অর-রশিদের মাধ্যমে এ লোকগুলো আনা হয়েছে।
” ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন ‘দালালি ফাউন্ডেশন’-এ রূপান্তরিত হয়েছে বলেও ওই লোক মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা এবং সমন্বয়কারী মাওলানা আবদুল কবির খান জামান মূল ভূমিকা পালন করেন। তবে তাদের অনেকেই চিনেন না।
সংগঠনের সমন্বয়কারী মাওলানা আবদুল কবির খান জামান টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “এখানে টাকা দিয়ে লোক আনার কোন সুযোগ নেই। তারপরেও যদি কেউ টাকা দিয়ে থাকেন সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
”
হক্কানী আলেম সমাজের ব্যানারের এই দুই ‘মাওলানা’ দেশের পরিচিত ও শীর্ষ আলেম আল্লামা আহমদ শফী, নুর হোসাইন কাসেমীর ও আহমাদুল্লাহ আশরাফসহ হেফাজত নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেন। তবে তারা গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারকে ‘প্রকৃত মুসলিম’ বলে অভিহিত করেন।
নতুন বার্তা/নিমা/জবা
Click This Link
আমও যাবে, ছালাও যাবে: মেনন ( প্রথম আলো)
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সমঝোতা ও আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন মহাজোট সরকারের দুই সাংসদ তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন । আজ বুধবার শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তারা এ ইঙ্গিত দেন।
সরকারের সমালোচনা করে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, আবার হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ব্লাশফেমি আইন নিয়ে কথা বলছেন।
আমরা একবার এদিক যাচ্ছি, আবার ওদিক যাচ্ছি। আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছি। এতে আমও যাবে, ছালাও যাবে। ’
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম সাহস নিয়ে কিছু একটা করেছে। আমরা তাদেরও আক্রমণ করেছি।
’ তিনি বলেন, এই বছরটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে নিজেরাই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা দিশাহীন চলছি। ’
রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দুই দিকে পা দিলে কোনটাই হয় না। একটা লক্ষ্য ঠিক করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
’
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। চলন্ত গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। এ ধরনের নাশকতায় সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
একই প্রাক-বাজেট আলোচনায় সরকারের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি।
তবে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে অর্থাত্ চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ ভেঙে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
Click This Link
দিশাহীন পথে হেটেছে আমার স্বদেশ !!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।