কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি আইন জারী হয় তাতে বলা হয় সকল প্রকার পর্নোগ্রাফী বহন করা নিষিদ্ধ । সিডি ক্যাসেট তো দূরে থাক মোবাইলে পর্যন্ত পর্নোগ্রাফী রাখা আইনত অপরাধ ।
.
.
শুনার পর বেশ কিছুক্ষন হাসলাম । খেয়ে দেয়ে কাজ না থাকলে যা করে আর কি তাই করার চেষ্টা করছে আইন প্রনয়নকারীরা । বাস্তবে যারা ধর্ষন কাজে লিপ্ত তাদের জন্য কঠোর আইন প্রনয়ন না করে কিশোর কিশোরী তরুন তরুনীদের গোপনীয় ভার্চুয়াল তৃপ্তিতে কঠোরতা দিচ্ছে ।
.
.
তখনকার কয়েকজন ক্ষুব্ধ তরুন দাবী করেছিলো যারা এই ধরনের আইন প্রনয়ন করছেন এবং স্বীকৃত দিচ্ছেন তাদের মোবাইল ফোনের মেমোরী কার্ড চেক করলেই কয়েক গিগাবাইট ভিআইপি পর্নোগ্রাফী পাওয়া যাবে ।
.
.
আমি ভেবেছিলাম ,রাগ ক্ষোভের কারনেই এরা কি বলতে না কি বলে বসে আছে । ৪০ ,৫0 বছরের লোকগুলো বুঝি পর্নোগ্রাফী দেখবে ??তাও কিনা আবার দেশের প্রথম সারীর লোকগুলো যারা দেশ খেদমতে ব্যস্ত থাকে !
.
.
আজকে প্রথম আলোর দেওয়া ভিডিও লিংকে দেখলাম ভারতের বিধানসভাতেই বসে বসে দুই মন্ত্রী মোবাইলে পর্নোগ্রাফী দেখছেন এবং ফুর্তি করছেন ।
.
.
এতোদিন ভাবতাম ১৪ থেকে ১৯ এর কতিপয় কিশোর কিশোরীরা কৌতুহলকে দমন করতে ২০ থেকে ২৪ এর নবতরুন তরুনীরা আত্নকাম নিবারনে এইসব পর্নোগ্রাফীতে উত্সাহিত থাকতো ।
.
.
এখন বয়স্ক মন্ত্রীগুলোর উপর থেকে আস্থা উঠে গেছে ।
বয়স কম হোক আর বেশী হোক । মানুষ মানুষই । নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ থাকবেই থাকবে ... ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।