যে জন দিবসে মনের হরষে পোস্ট পড়িয়া দেয় না কমেন্টখানি... তাহার উপর জ্বলিল ভাইয়ের বদনজর পড়িবে লইও জানি...
দুপুর থেকেই খিদা খিদা লাগছিল, কিছু না খেয়েই শুয়ে শুয়ে সিনেমা দেখছিলাম। এই ব্যাচেলর জীবনে হঠাত খাবার কই পাব?
বিকালে এক বন্ধু আসলো বেড়াতে, এখন তো কিছু খেতে হয়। কি খেলাম? স্টেপ বাই স্টেপ দেখেনঃ
পেয়াজ মরিচ কাতলামঃ
মুড়ি আর ভাজাভুজি কিনে আনলাম, ঢালবো কই? গামলা তো নাই, তাই পেপার বিছিয়ে তাতেই ঢালা হইলঃ
এর মধ্যে ছোলা আর তার সাথে ফ্রি পাওয়া সালাদ ঢাললামঃ
বাড়িতে খুইজা খুইজা একটু চানাচুর পাইলাম। এইডা আর বাদ পড়বে ক্যানঃ
অনেক ঢালাঢালি হইল, এইবার মাখানোঃ
বহুত হইছে, এইবার খাওয়া দাওয়াঃ
এই গেলো ব্যাচেলর খাওয়া দাওয়া, বহুত হইসে, আর ভাল লাগে না। আমি তো আর পুরাপুরি ব্যাচেলর না ।
রাত্রে খাওয়ার কি হপে?
আমার উনারে ফোন লাগাইলাম।
"হ্যালো। "
"আরে হ্যালো পরে বল, আমি খিদায় উষ্ঠা খাইতেসি"
"আহা, তাই নাকি কি খাবা বল আমি রান্না করে দিচ্ছি"
"না না, এতো কষ্ট করার কি দরকার? (মনে মনেঃ হি হি, হইসে কাম )
তারপর আর কি? ইন্তেজাম হইয়া গেলো পারিবারিক খাবার। গেলাম, দেখলাম, খাইলাম। পারিবারিক খাবার খাওয়া কি শান্তি...
উদাহরনঃ
গিয়ে দেখলাম খাবার দাবার টেবিলে সাজানো, গিয়ে দৌড় দিয়ে গিয়ে বসলামঃ
আর কি? খাওয়া শুরু করে দিলাম... তবে ভদ্রতা দেখাইতে গিয়ে গপাগপ কইরা খাইতে পারি নাই
এইবার বুঝলাম মানুষ কেন সামাজিক জীব।
এতো সহজেই চরম খাবার সাপ্লাই পাইলে কে কষ্ট করে নিজে নিজে খাবার বানাইতে চায়?
এবার আপনারা বলেন? ব্যাচেলর নাকি পারিবারিক খাবার সুবিধাজনক?
আমার আরেকটি খাদ্য বিষয়ক পোষ্টঃ
ঢাকার মধ্যম জনপ্রিয় কিছু খাবার এবং তাদের চেহারা, চেখে দেখতে পারেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।