আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সপ্তর্ষীর বিপরীতে শীতল মহাদেশ।

আন্টার্কটিকার কথা কল্পনা করেছিলেন প্রাচীন গ্রীকরা দ্বিতীয় শতাদ্বীতে টলেমির যুগেই। তাদের বর্ননা থেকে পাওয়া যায় যে উওর গোলার্ধের মহাদেশগুলির সাথে সমম্নয় রক্ষার জন্য দক্ষিনেও একটি মহাদেশ আছে। তারা সেটির নাম দিয়েছিলেন আন্টারটিকোস (Antartikos) যার মানে হলো Opposite the Bear(Ant=opposite, arktik=Bear) (Antartikos),Bear হলো উওর গোলার্ধের নক্ষএপূঞ্জ যাকে আমরা বাংলায় বলি সপ্তর্ষীমণ্ডল। যেহেতু দক্ষিনের এই মহাদেশ থেকে সপ্তর্ষীমন্ডল দেখা যাবে না তাই এই নামকরন। এইজন্যই উওর মেরুর নাম Arktik বা arctic যা কিনা সপ্তর্ষীমন্ডলের দিকে।

দ্বিতীয় শতাদ্বীতেই দক্ষিন মহাদেশের অস্তিত্বের কথা মানূষের ধারনায় এসেছিল কিন্তূ দূর্গম মহাদেশে মানুষের পা ফেলতে আরও প্রায় দু হাজার বছর লেগে গেল। আন্টার্কটিকা হচ্ছে পৃথিবীর শীতলতম,শূস্কতম,উচ্চতম,এবং দূর্গমতম মহাদেশ। উওরের সব মহাদেশ থেকে আন্টর্কটিকাকে বিচ্ছন্ন করে রেখেছে বিশাল মহাসমুদ্রের বিস্তার। প্রতিবেশী সাউথ আমেরিকার দক্ষিনতম অংশ থেকে এর দূ্রত্ব হাজার কিলোমিটারেরও বেশী। এই মহাদেশের আয়তন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিগুন।

এই মহাদেশের আয়তন চোদ্দ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার,যার আটানব্বই শতাংশই দুই থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার পূরু বরফের তলায় চাপা পরে আছে। আর এই বরফ ভেদ করে মাথা উচু করে জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ পাহাড়। যার সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া সেন্টিনেল রেঞ্জের উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার দুশ মিটার(17,000) ফুট। এই মহাদেশকে ঘিরে আছে প্রশান্ত,আটলান্টিক,ও ভারত মহাসাগরের দক্ষিন অংশ,সমুদ্রের এই দক্ষিন অংশ বছরের বেশির ভাগ সময় বরফ জমা থাকে,বাকিটায় সর্বদাই প্রচন্ড ঝড় বইতে থাকে। এই লেখাটিতে আমি এই মহাদেশ সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করবো,প্রথমেই এই মহাদেশ আবিস্কার হলো কিভাবে সেই সর্ম্পকে জানবো,পরবর্তীতে জানবো এর ভৌগলিক গঠন,এবং সবশেষে জানবো এখানকার প্রান ও উদ্ভিদ সর্ম্পকে।

আবিস্কারঃ গ্রীকদের মত পলিনেশিয়ানরাও জানতো দক্ষিনে কোন মহাদেশ আছে। এবং দক্ষিন সমুদ্রের দিকে সর্বপ্রথম তারা অভিযান চালায়, 650 খ্রীঃ উই-তে-রান-গিয়েরা নামের এক রাজকু্মার তে-ইভি-ও-আতিরা নামের জাহাজ নিয়ে,দক্ষিন সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন। তারা কতদুর পর্যন্ত গিয়েছিলেন তা জানা যায় না। তবে বর্ননায় বরফের পাহাড়ের কথা জানা যায়। টলেমির ধারনা ছিল এই মহাদেশের বিস্তৃতি দক্ষিন আমেরিকা-আফ্রিকা থেকে মালয় উপদ্বীপ অবধি।

এরপর দক্ষিন সমুদ্র অভিযানের যে বর্ননা পাওয়া যায় তা বেশিরভাগই ইউরোপীয় নাবিকদের কাছ থাকে। 1531 সালে ওরোনটিয়াস পৃথিবীর একটি মানচিএ প্রকাশ করেন। সেই একই মানচিএ 1538 মারকাটে প্রকাশ করে,তাতে আন্টার্কটিকার যে মানচিএ আঁকা হয়েছে তার সাথে আজকের আধূ্নিক ম্যাপের প্রচুর মিল রয়েছে,শুধু তা আসল আয়তনের তিনগুন। এরপর 1498 সালে ভাস্কো-ডা-গামার দক্ষিন আফ্রিকার উওমাশা দ্বীপ আবিস্কার,1578 সালে ফ্রান্সিস ড্রেকের দক্ষিন আমেরিকার দক্ষিনতম অংশ,এবং 1642 সালে আবেল টাসমানের নিউজিল্যান্ড ও সলোমন দ্বীপের আবিস্কারের পর ধীরে ধীরে দক্ষিনের এই মহাদেশ সম্পর্কে ধারনা পাল্টে যায়। 1750 খ্রীঃ আগে কেউই 50 ড্রিগ্রী দক্ষিন অক্ষাংশের দক্ষিনে যায়নি।

কারন বরফ জমা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কেউই ওইদিকে যেতে পারেনি। ফরাসী নেভীর বুভে দ্য লজিয়ার 1739 আবিস্কার করেন বুভে দীপ,কারগুলাঁ ও দুফ্রঁস কারগুলাঁ ও আরো কতগুলি ছোট ছোট দ্বীপ। তবে এরা কেউই কুমেরূর বাইরে দক্ষিনে যেতে পারেনি। কুমেরু হলো সাড়ে 66 দক্ষিন অক্ষাংশ বরাবর,একটি অক্ষরেখা যার দক্ষিনে গ্রীস্মকালে একদিন সূর্য অস্ত যাবে না,আর শীতকালে অন্তত একদিন সূর্য উদয় হবে না। এই অক্ষরেখার যত দক্ষিনে যাবেন গ্রীস্মকালের মধ্যরাতের সূর্যালোকিত দিনের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকবে,এবং ভৌগোলিক দক্ষিন মেরুতে বছরের ছয় মাস সূর্য অস্ত যাবে না।

এবং উওর মেরুতে সেই সময় চলবে শীতকাল ও ছয় মাস দীর্ঘ রাত। আবার সূর্য যখন উওরায়নে প্রবেশ করবে তখন কুমেরুতে শুরু হবে রাত। 1772 বিখ্যাত নাবিক জেমস কুক্ সর্ব প্রথম কুমেরু বৃত্তের দক্ষিনে যান,কিন্ত অনেক চেস্টা করেও তিনি বরফ জমা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আন্টার্কটিকায় পৌছাতে পারেননি,এবং 1772 থেকে 1775 সাল পর্যন্ত তিনি আন্টার্কটিকা মহাদেশকে পরিক্রমন করেন। 1774 সালের 30 শে জানুয়ারি কুক 71 ডিগ্রী 10`দক্ষিন অক্ষাংশে পৌছেছিলেন,এটা ছিল সর্বদক্ষিনের শেষ সীমানা। কুক কিন্ত আন্টার্কটিকা মহাদেশ দেখতে পায়নি,তবে সে আন্দাজ করেছিলেন দক্ষিন মেরুতে যদি কোন মহাদেশ থেকেও থাকে তবে তার আয়তন যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে কম,এবং বরফ ঢাকা এই মহাদেশের সাথে উওরের ভূ-খন্ডের কোন যোগাযোগ নেই।

কুক এর লেখা “এ ভয়েজ টুওয়ার্ডস দি সাউথ পোল” বইতে এই বর্ননা পাওয়া যায়। 1790 থেকে 1820 সাল পর্যন্ত দক্ষিন সমুদ্রে মোট 19 টি অভিযান পরিচালিত হয়ছে,এর একটি অভিযান ছিল অস্ট্রেলিয়ার,নয়টি বৃটিশ ও দশটি আমেরিকার। কিন্ত এই অভিযানের কোনটিই আন্টার্কটিকার মূল ভূ-খন্ডে পৌছতে পারেনি। ভস্টক ও মিরণী জাহাজ নিয়ে রাশিয়া 1819 থেকে 1821 সাল পর্যন্ত দক্ষিন সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করে। ভস্টকের ক্যাপ্টেনের নাম ছিল বেলিংসহাওসেন এবং মিরনীর ছিল ক্যাপ্টেন লাজারেভ।

কিন্ত এরাও কেউ আন্টার্কটিকার মূল ভূ-খন্ডে পৌছাতে পারেনি,এরাও আন্টার্কটিকা পরিক্রমন করেন,এই পরিক্রমনের সময় তারা দুটি দ্বীপ আবিস্কার করেন এবং এর নাম দেন পিটার ও আলেকজান্ডার দ্বীপ। মনে করা হয় বেলিংসহাওসেন মূল ভূ-খন্ড দেখেছিলেন 2 ডিগ্রী পশ্চিম অথবা 16 ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাতে। এই সময় অনেকেই দাবি করেন যে তারা আন্টার্কটিকার মূল ভূ-খন্ডে পদার্পন করেছেন,কিন্ত এই দাবির পক্ষে তখন তেমন কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। কুমেরু অভিযানের ইতিহাসে সবথেকে বেশি অবদান হচ্ছে স্কটিশ ক্যাপ্টেন জেমস্ ওয়ডেল এবং বৃটিশ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস্ ক্লার্ক রসের। 1823 সালে ওয়েডেল “জেমস্” এবং “বোফয়” নামের দুটি জাহাজ নিয়ে 74ডিগ্রী দক্ষিন অক্ষাংশের নীচে পৌছান এবং তারা যে সমুদ্রে পৌছান পরে তার নাম রাখা হয় “ওয়েডেল সী”।

তিনি সীল মাছের একটি নতুন প্রজাতি আবিস্কার করেন এর নাম ও রাখা হয় তার নামে “ওয়েডেল সীল”। 1830 থেকে 1832 সালে জন বিস্কো “টুলা ও “লাইভলি” নামের দুটি জাহাজ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো আন্টার্কটিকা প্রদক্ষিন করেন। তিনি 50 ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমায় একটি পার্বত্য এলাকা আবিস্কার করেন এবং তার নাম দেন এন্ডেরবি ল্যান্ড। 1833 সালে আরেকজন ক্যাপ্টেন পিটার কেম্প গ্রাহাম ল্যান্ড,কেম্প কো্সট, এবং হার্ড দ্বীপ আবিস্কার করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন দেশের জাতীয় অভিযান।

এর মধ্যে ব্রিটেন,আমেরিকা,ও ফ্রান্স তিনটি গুরুত্বপূর্ন অভিযান চালায়, এর মধ্যে ব্রিটিশ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর অনুসন্ধান। জেমস্ ক্লার্ক রস 1831 সালে সর্বপ্রথম উওর চৌম্বক মেরুতে পৌছান। এবং ফ্রেডরিক গাউস দক্ষিন চৌম্বক মেরুর অবস্হান গননা করে বের করেন। কিন্ত বিঞ্জানীরা পরিক্ষা করে দেখেন যে এই চৌম্বক মেরূ একজায়গায় অবস্হান করে না,গাউসের গননায় এই চৌম্বক মেরুর অবস্হান হলো 66 ডিগ্রী দক্ষিন- অক্ষ ও 146 ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাতে। এখানে উল্লেখ্য যে উওর ও দক্ষিন মেরুতে কম্পাসের কাঁটা কাজ করে না,কম্পাসের কাটা সেখানে উল্লম্ব অবস্হায় থাকে।

1839 সালে জেমস্ ক্লার্ক রস “এরবুস” ও টেরর” নামের দুটি জাহাজ নিয়ে দক্ষিন চৌম্বক মেরুর সন্ধানে রওনা দেন। এদিকে এই একই উদ্দেশ্যে নিয়ে দ্যু মঁ দ্যরভিল “অ্যাস্ট্রোলোব” ও “জিলি নামের দুটি জাহাজ নিয়ে 1938 সালে ফ্রান্স থেকে রওনা দেন। দ্যরভিল 140 ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাতে আন্টার্কটিকার নতুন একটি অংশ আবিস্কার করেন এবং তার নাম দেন “তের অ্যাডেলি”। এছাড়াও তিনি নতুন একজাতের পেঙ্ঘুইন দেখেন এর নাম দেন “অ্যাডেলি”। সিডনি থেকে চারটি জাহাজ নিয়ে উইলকিস 1839 চৌম্বক মেরুর সন্ধানে বের হন,কিন্ত খারাপ আবহাওয়ার জন্য চৌম্বক মেরুতে পৌছাতে পারেনি।

কিন্ত তিনিই সর্বপ্রথম আন্টার্কটিকাকে মহাদেশ বলে চিহ্নিত করেন। এছাড়াও তিনি চৌম্বক মেরুর অবস্হান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হন,পরে এই এলাকার নাম তার নামেই নামকরন করা হয়। 1841 সালের 27 শে জানুয়ারি জেমস্ ক্লার্ক রস দেখতে পেলেন সমুদ্রতল থেকে বারো হাজার ফুট উঁচু এক পর্বত,যা থেকে আগুন আর লাভা বের হচ্ছে,এর নাম দেয়া হলো মাউন্ট এরবুস। এর পূর্ব দিকে দশ হাজার নশো ফুট উচ্চতার আর একটি মৃত আগ্নেয়গিরি দেখতে পান,তিনি এর নাম দেন মাউন্ট টেরর। এই দুটি পর্বতের নাম রাখা হয় রসের সেই বিখ্যাত দুটি জাহাজ এরবুস ও টেররের নামে।

টেররের সিনিয়র লেফটেনেন্টের নামে একটি উপসাগরের নাম রাখা হয় “ম্যাকমার্ডো” বে, টেরর জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন ক্রজিয়ার এর নামে রস দ্বীপের অন্তরীপের নাম রাখা হয় “কেপ ক্রজিয়ার”। এর পড় রস্ আবিস্কার করলেন “রস সী” এবং বিশাল এক হিমসোপান এর নামও তার নামে রাখা হয়। রস্ আর এক নতুন প্রজাতির সীল দেখতে পান তিনি এর নাম দেন রস সীল। রস্ এখান থেকে কিছু পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেন,সম্ভবত আন্টার্কটিকাতে এটাই প্রথম ভূ-ত্বাত্তিক সংগ্রহ। রস্ আন্টার্কটিকায় প্রথম আগ্নেয়গিরি আবিস্কার করেন।

রস তার লেখা বই ‘ভয়েজ টু দ্য সাদার্ন সীজ’এই সব কথা লিখে যান। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীতে আর তেমন কোন অভিযান হয়নি,দক্ষিন সমুদ্র তখন তিমি শিকারিদের দখলে 1840 থেকে 1900 সাল পর্যন্ত আমেরিকা 200 অভিযান চালায় তিমি শিকারের জন্য। আদ্রিয়ান গেরলাশের অধীণে বেলজিয়া 1897 অভিযান চালায়,এটিকে বলা হয় প্রথম আন্তর্জাতিক অভিযান,কারন এই অভিযানে অনেক দেশের বিজ্ঞানিরা এতে যোগ দেন। আন্টার্কটিকার মূল ভূ-খন্ডে বর্চগ্রেভিঙ্ক প্রথম শীতকাল কাটান, বর্চগ্রেভিঙ্কের অভিযান থেকেই শুরু হয় কুমেরুর গৌ্রবময় যুগের। 1899 সালে বার্লিনে সপ্তম আন্তর্জাতিক ভৌগলিক কংগ্রেস সম্নেলন হয়,সেই সময় ঠিক হয় যে তিনটি দেশ তাদের জাতীয় দলকে কুমেরুতে পাঠাবে যারা কুমেরুর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা চালাবে।

এর ধারাবাহিকতায় রবার্ট ফ্যালকন স্কটের নেতৃতে 1902 সালে ডিস্কভারি জাহাজ নিয়ে প্রথম অভিযানটি হয়। 1901 সালে ডিস্কোভারি জাহাজ নিয়ে স্কট আবার আন্টার্কটিকা উদ্দেশে রওনা দিলেন,পথে অনেক বাধা পেড়িয়ে 30 শে ডিসেম্ভর স্কট ও তার দল 82 ডিগ্রী 16` দক্ষিনে পৌছালেন,এর আগে এত দক্ষিনে কোন মানুষের পা পড়েনি। আন্টার্কটিকা অভিযানে স্কট-উইলসন-শ্যাকলটন এক সাথে এই তিনজনের অভিযান ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। তিন বছর স্কটের দল বিভিন্ন দিকে অনেকগুলি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন তার এই অভিযানের কথা স্কটের লেখা বই “ভয়েজ অব ডিস্কোভারিতে” পাওয়া যাবে। এই সব অভিযানের সবারই একটি উদ্দেশ্য ছিল তা হলো দক্ষিন চৌম্বক মেরুতে পৌছানো,কিন্ত কেউই সফল হয়নি,অবশেষে 1909 সালের 16 জানুয়ারি ডেভিড,মসন,আর ম্যাকে পৌছালেন দক্ষিন চৌম্বক মেরুতে 72 ডিগ্রী 25 ` দঃ অক্ষ ও 155 ডিগ্রী 16` পূর্ব দ্রাঘিমাতে।

যেখানে 70 বছর আগে রস্ পৌছাবার চেস্টা করেছিলেন। এই হলো আন্টার্কটিকা আবিস্কারের ইতিহাস,পড়ের লেখায় জানবো এই মহাদেশের ভৌগলিক গঠন। সহায়ক বইঃ James Ross.Voyage to the Southern seas। W.Sullivan.Assault on the Unknow:The International- Geophysical Year। R.F.Scott.Voyage of the Discovery।

আন্টার্কটিকাঃসুদীপ্তা সেনগুপ্ত। ছবি সৌজ্যন্যেঃগুগল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।