জাতির নানা - একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার!!!! গতকাল জাতির নানার মাল্টি নিক হেডিঙয়ে একটা পোষ্ট করছিলাম। যেই পোস্ট করেছি মুলত জনৈক সেলিব্রিটি লুল ব্লগারকে কে উদ্দেশ্য করে যিনি লুলশা নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত । কিন্তু গল্পের প্লটের সুত্র উল্লেখ করেছি ইশতিয়াক আহমেদ চয়নের। চয়ন আমার ২টা পোস্টে কমেন্ট করছে, “নানা, একটা মজার কথা বলি; অনেকে মনে করে তুমি নাকি আমার মাল্টি নিক!!!” অপর কমেন্ট করে “তুমার এখানে বেশী কিছু লেখা যাবে না, কে আবার কি সন্দেহ করে?”
চয়নের এই দুই কমেন্ট পড়ে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো কে আমাকে চয়নের মাল্টি নিক হিসাবে সন্দেহ করতে পারে? আমিতো এক লুলশা ছাড়া অন্য কাউকে ইঙ্গিত করে কখনো পোষ্ট দেইনি। আমার সামু-পলিটিক্স বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেলে মাথা থেকে ঐ লুলিয় গল্প বেরিয়ে আসে যেখানে চয়নের ঐ ২ কমেন্টের লিঙ্ক উল্লেখ করি।
অতঃপর সবাই আমার উপর ঝাপাইয়া পড়ে এই বলে যে আমি চয়নকে আক্রমন করেছি। অথচ গল্প লিখলাম লুলশাকে উদ্দেশ্য করে, আর সবাই শুরু করল আমি চয়নকে আক্রমন করেছি। আর ভাগিনারা তো তাদের নিজদের নিক ছাড়াও মাল্টি নিক থেকে আক্রমনের উপর আক্রমন। এক ভাগিনাতো তাঁর ভাঙ্গা পা নিয়ে আমাকে লাথি মেরে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়ে দিলো।
চয়নের প্রতি সবার সেকি দরদ, সেকি অনুভুতি!!!! যেই লুলকে নিয়ে পোস্ট দিলাম কেউ তাঁর উল্লেখও করলো না। আসলে ঐ লুলের সিন্ডিকেট মেম্বাররা অনেক দিন যাবত আমাকে ধরার জন্য ওত পেতে আছে, কারন তারা আমার আগের লুল বিষয়ক পোস্টগুলোতে সুভিদা করতে পারেনি।
এখানে শুধু গল্পের পার্শ্ব চরিত্র হিসাবে উল্লেখ ছিল চয়নের বান্ধবী। আর এই ব্যাপারে চয়ন ঐ পোস্টেই তাঁর অবস্থান পরিস্কার করেছে।
আমি এই ব্যাপারে সবাইকে পরিস্কার বলে দিতে চাই “চয়ন কম্মিকালেও আমার সাথে দেখা হয় নাই, পরিচয় তো অনেক পরের ব্যাপার।
“ আমার ঐ পোস্ট চয়নের মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে আমি চয়নের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রাথি। “ চয়নকে বলি, আমার যেসব পোস্টে তুমি কমেন্ট করেছো আমি আমার সেইসব পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ ঐসব কমেন্টের সুত্র উল্লেখ করে আমার মাল্টি হিসাবে চয়নকে না নিতে পারে। ডিলিট করা পোস্টের মধ্যে আমার অনেক জনপ্রিয় পোস্ট আছে যেগুলোতে অনেক জনপ্রিয় ব্লগার এমনকি জানা আপার হ্যাসবেন্ড আরিল এর কমেন্টও ছিল। চয়ন, আমার আর কোন পোস্টে তোমার কোন কমেন্ট থাকলে আমাকে নক কইরো, আমি সেই পোস্টগুলোও ডিলিট করে দিব।
ঐসব পোষ্ট আমার দরকার নাই।
ব্লগে মজা করতে আসছি, ব্যাস। ব্লগ দিয়ে আমার পেট চলে না, পরিবার চলে না, আমার সমাজ চলে না। আমি টিভি দেখি না, পত্রিকা পড়ে মজা পাই না কাচি চালানো সংবাদে। সামুতে কিছু ব্লগার আছেন সাংবাদিক যারা র খবরগুলো সামুতে দেয় তাদের ছদ্ম নামের আড়ালে যা তারা পত্রিকায় দিতে পারে না। আর সামুতে কিছু ফানি পোস্ট পড়ি, কারন ফান করা আমার চরিত্রেরই একটি অংশ।
এখন বলি ঐ লুলশার সাথে আমার সমস্যা কি? এক পোস্টে সে আমার জাতির নানা নিক নিয়ে মন্তব্য করে জাতির নানা নিক নাকি বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার জন্য করেছি। মডুদের নির্দেশের ভঙ্গিতে বলে এ জাতীয় নিক বন্ধ করার জন্য। অথচ আজ পর্যন্ত আমি কোন রাজনৈতিক পোস্ট দেইনি, বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করা তো দূরে থাক। বঙ্গবন্ধুকে আমি কি আর হেয় করবো, আওয়ামীলীগ নিজেই বঙ্গবন্ধুকে পচাইতে পচাইতে এমন অবস্তায় নিয়ে গেছে যে আমার জন্য আর কিছু বাকি রাখেনি। আমি সামুতে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করি আর উনি মনে হয় বঙ্গবন্ধুকে পুজা করে?? তাঁর এমন কোন পোস্ট আমার চোখে পড়েনি।
যেহেতু আমি ফান করার জন্য সামুতে নিক ওপেন করেছি তাই এধরনের নিক নিয়েছি, অন্যকিছু না।
তবে এইমরমে সবাইকে বলতে চাই, সামু যদি আমার এই নিক জীবিত আর নিরাপদ রাখে তাইলে আমি লুলদের বাঁশ দিয়েই যাব। আর ব্যান করলে আর আসবো না।
সর্বশেষ সবার কাছে একটা প্রশ্নঃ ঐ সেলিব্রিটি লুল ব্লগার সামুতে ছড়ি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবার সাথে মাতবরি করে কিসের জোরে??? এটা কি “ছাগল নাচে খুঁটির জোরে?”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।