যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
যারা ইতিমধ্যেই আমার চলে যাওয়া নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তাদেরসহ অন্যদের প্রতি
অনুরোধ, দয়া করে এধরণের পোস্ট দেবেন না।
আমি “বিদায় পোস্ট” দিয়ে চলে যাইনি, সুতরাং “ফিরে আসুন” জাতীয় পোস্ট অনভিপ্রেত। দুঃখিত ক্যামেরাম্যান(রঞ্জু ভাই)।
বন্ধু ক্যাটাগরিতে কিছু রুচিহীনের সন্নিবেশের কারণে আমি মাসখানেক ধরে পোস্ট লিখছিনা, কমেন্ট করছিনা। ব্লগে আসছি কালে-ভদ্রে।
ব্যক্তিগত আক্রমন, ট্যাগিং, কুৎসা, গালাগালিতে ভীত হয়ে চলে যাইনি। ওসব কেয়ার করিনা, কারণ সম্মূখ লড়াইয়ে কোন কালেই পিছু হটিনি, কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বন্ধুস্থানীয় কিছু ব্লগারের পোস্টে রাজাকার মানসজাত এবং প্রগতিশীলতার মুখোস পরা কিছু কুলাঙ্গারের বিশ্রী আক্রমনকে সেই সব বন্ধুরা আস্কারা দেওয়ায়,পিঠ চাপড়ে
দেওয়ায় তাদের আস্ফালন সীমা ছাড়ানোয় বন্ধুদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েছি।
সেটা এক ঘরোয়া আড্ডায় বয়োঃজ্যেষ্ঠ্যদের কাছে উল্লেখও করেছি।
পেছন থেকে ছুরি মারা শত্রুর সাথে প্রথাগত লড়াই চলে না।
যেহেতু উপমা নামের মেয়েটির চিকিৎসা বিষয়টা এখনো ঘাড়ে চেপে আছে, সেহেতু আমি চাইলেই ডুব দিতে পারিনা।
মডারেশন নিয়ে কখনোই ব্লগ কর্তৃপক্ষের সাথে কোন মনমালিণ্য ঘটেনি, তাদের পলিসি পছন্দ না হলে নীরবে সরে যাওয়াই আমার নীতি।
ইদানিং মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার, পাহাড়ি প্রসঙ্গ নিয়ে ব্লগে যে বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ আছে, থাকবে। কর্তৃপক্ষ ‘ফেয়ার ডিবেট’ এর ব্যবস্থা
না নিলে সেটা তাদের জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে আমার পছন্দমত চলার আব্দার জানাতে পারিনা। জানাইওনি কখনো।
আমার পছন্দ না হলে আমি গুডবাই জানাব। সেটা আমার স্বাধীনতা।
যদি প্রয়োজন মনে করি, যদি ভাললাগে তাহলে আবার ব্লগে নিয়মিত হব। আর তা না হলে নীরবেই নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াটা স্থায়ী রূপ পাবে। এর সাথে বিদায়,কামব্যাক বা অনুরোধ এর কোন সম্পর্ক নেই।
জনতার কাতারের সাধারণ ব্লগাররা সবাই ভাল থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।