আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগঃ সবচেয়ে সফল ও সবচেয়ে জনপ্রিয়!

বিশ্বায়ন যে কয়টি খেলাকে সফলভাবে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে তার মধ্যে ফুটবল অন্যতম। সহজ নিয়ম-কানুন আর সস্থা উপকরনের কারনে পৃথিবীর সব জায়গায় ফুটবল এখন তুমুল জনপ্রিয় একটি খেলার নাম। আর এই ফুটবলকে কেন্দ্র করে বিশ্বময় গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা। ব্যাবসায়িক মনোযোগ ও দর্শক জনপ্রিয়তার কারনে খেলাটির জৌলুশ আর আবেদন অন্য যেকোনো খেলার চেয়ে অনেক বেশী। স্যাটেলাইট টিভির বদৌলতে ইপিএল, লা-লিগা, সিরি-আ আর বুন্দেসলিগার তথ্য, উপাত্ব আর ক্লাবগুলির হাল-হলিকত এখন সবার নখদর্পণে।

আজকের লেখাটি পড়ে পাঠকরা ইউরোপিয়ান জমজমাট লীগগুলির একটি তুলনামূলক চিত্র পাবেন বলে আশা করি। এটা বলা সমীচীন হবে না যে, দুনিয়ার তাবৎ সব ভাল খেলোয়াড় ইপিএলে খেলে থাকেন বরং এটা বলা যায় অনেকে এখানে এসে সফল হয়েছেন আবার অনেকেই এই লীগের দাবি পূরণ করতে না পেরে হারিয়ে গেছেন। রিয়াল থেকে আগস্ট ২০০৮’এ রেকর্ড পরিমান ৩২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ম্যানসিটিতে এসে রবিনহোর পা থেকে দেড় বছরে এসেছে মাত্র ১৪ গোল! সব আশার বেলুন ফাটিয়ে দিয়ে তিনি যখন ২০১০ সালে এসি মিলানে ফিরে গেলেন মনে হল যেন বিশালাকায় এক তারকার পতন। ঠিক একই রকম বালোটেল্লির মত খেলোয়াড় নিজের নামের প্রতি চরমভাবে অবিচার করেছেন দ্রুতলয়ের এই লীগের সাথে খাপ খাইয়ে না নিতে পারার জন্য। ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত এই মেধাবী ফরোয়ার্ড ৫৪ ম্যাচে মাত্র ২০ গোল করতে পেরেছেন অথচ ম্যান সিটি ছেড়ে এসি মিলানের হয়ে গত মৌসুমে ১৩ ম্যাচেই করেছেন ১২টি গোল! আপনি আজকের ফুটবল দুনিয়ায় অনেক কোচ পাবেন যারা শুধু শিরোপার প্রদর্শনি দিয়ে তাদের মেধার জানান দেন কিন্তু ইংলিশ ফুটবল এমন একজন কোচের জন্ম দিয়েছে তার জুরি মেলা ভার।

কথা বলছিলাম স্যার এলেক্স ফারগুসনের, যার মেধার কারনে কত যে নজরকাড়া খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ইন্‌স, কোল, কেন্টেনাওয়া, কিন, স্কোলস্‌, গিগ্‌স বেকহাম, শেরিংহাম, রোনালদোসহ আরো অনেককে নিজ হাতে একেকজন ইস্পাত কঠিন গ্ল্যাডিয়েটর রূপে তৈরি করেছেন। তার হাতে তৈরি হাল আমলের রুনি আর রোনালদোত ইউরোপের তাবৎ গোউলিদের মূর্তিমান আতংকের নাম! তিনি যে শুধু বিশ্বমানের খেলোয়াড়ই তৈরি করেছেন তা নয়, ২৬ বছরের শাসনামলে স্যার এলেক্স ৩৮টি শিরোপাও জিতেছেন। ১১ বছর এভারটনে থাকার পর এইবার ডেভিড মোয়েস স্যার এলেক্সের ছেড়ে যাওয়া জায়গা পূরণ করতে চলে এসেছেন ম্যানইউতে। তার একযুগের প্রচেষ্টা লীগ টেবিলে টফিদের প্রতিবছরই একটি সম্মানজনক স্থান অর্জন করতে সাহায্য করেছে দেখা যাক নতুন কোচ মার্টিনেজ কি করে দেখান।

ফ্রেঞ্চম্যান আর্সেন ওয়েঙ্গার সীমিত বাজেট নিয়ে ফিবছর যা করেন তা রীতিমত বিস্ময়! তার অধীনে আর্সেনাল ২০০৩-০৪’র মৌসুমে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে! তার হাত ধরে থিয়েরি হেনরি হয়ে উঠেছিলেন এক গোল মেশিনে, প্রতি ম্যাচে তার গোল করার রেশিও হচ্ছে ০.৬৮! সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ক্লাবটি এখনও প্রতিবছর চ্যাম্পিয়ন্সলীগে খেলে আসছে যা কম বাজেটের দলগুলির আদর্শ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। এমিরেটস এয়ারলাইন্স তাদেরকে যে স্টেডিয়াম গড়ে দিয়েছে তা ইউরোপের তাবৎ ক্লাবের ঈর্ষার কারন হয়ে আছে এটার সৌন্দর্য ও সুযোগ সুবিধার জন্য। পাঠক আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন আর্সেনাল গত ৮ বছরে কোন শিরোপা জিততে পারেনি কিন্তু তাদের ম্যাচ টিকেটের দাম বিশ্বের যেকোনো ক্লাবের চেয়েও বেশী! বহু সংস্কৃতির চর্চা হয় ব্রিটেনে তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে ইপিএল। ১৯৯৯ সালে চেলসির সেরা একাদশের সবাই ছিল বিদেশী আর ২০০৫ সালে আর্সেনালত তাদের ১৬ জনের স্কোয়াডের পুরোটাই সাজিয়েছিল বিদেশী খেলোয়াড়দের দিয়ে! আজ বিশ্বের ২০০’র অধিক দেশে কয়েক বিলিয়ন মানুষ ইপিএল’র ম্যাচ দেখে। ইপিএল’র সবচেয়ে বড় ফ্যান বেইজ আবার গড়ে উঠেছে আমাদের এশিয়াতেই।

ইউরোপের প্রত্যেকটি লীগই আলাদাভাবে চেনার উপায় আছে। “ডাইভারসিটি” যদি হয় ইপিএল’র প্রান ভ্রুমরা তাইলে জার্মান বুন্দেসলিগার সাফল্যের রহস্য হবে তাদের একাডেমী বেইসড ফুটবল পরিকাঠামো। প্রায় একযুগ আগে জার্মান এফ.এ এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যেখানে ক্লাবগুলির লাইসেন্স পেতে হলে ফুটবলার গড়ে তোলার সার্বিক ব্যাবস্থা থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। পাঠক আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জার্মানির ২৩ জন খেলোয়াড়ই নেয়া হয়েছিল তাদের নিজের দেশের লীগ থেকে! এটাই ছিল এক যুগ আগে হাতে নেয়া পলিসির একটি ভাল দিক। তবে বিশ্বায়নের এই যুগে গতিময় আর সুন্দর ফুটবল উপহার দিতে পারে কেবল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফুটবল জিনিয়াসরা যা কেবল কোন ডাইভারসিফাইড লীগেই সম্ভব।

বৈচিত্রতায় তাই ইপিএলই সেরা। ২৮ জুন ফ্রান্সের লা মণ্ডি পত্রিকায় পতিত তারকা সাইক্লিস্ট আমেরিকান ল্যান্স আর্মস্ট্রং জানান শুধু সাইক্লিং না লা-লিগার অনেক ক্লাব ও ফুটবলার ডোপিংয়ে জড়িত। স্পেনিশ বিচারক সান্তামারিয়া ২০০৬ সালে ডোপ পাপি ডাক্তার ফুয়েন্তেস এর বাড়ি থেকে জব্দ করা ২০০ ব্যাগ রক্ত ধ্বংস করার নির্দেশ দেন, আর্মস্ট্রং অভিযোগ করেন ঐ রক্তের ব্যাগগুলি পরীক্ষা করা হলে অনেক ক্লাব ও ফুটবলার ধরা পড়ে যেতেন আর সেটা ঠেকাতে ক্লাবগুলির গোপন ইশারায় বিচারক তা ধ্বংসের নির্দেশ দেন। এই ডাক্তার ফুয়েন্তেসই ছিলেন ল্যান্স আর্মস্ট্রংয়ের ডোপিং সহকারী তাই উনার কথা ফেলবেন কি করে? লা-লিগায় সব ক্লাবই ভাল করতে চায় কারন টিভি স্বত্ব, স্পন্সর আর অন্য সব কিছুই যেন সফল ক্লাবগুলির পেছনে ছুটছে। যেনতেনভাবে ভাল করার উপায় বাতলাতে তাই অনৈতিকতার আশ্রয় নিতে হচ্ছে।

লা-লিগায় টিভি স্বত্ব কেনাবেচা হয় ক্লাবগুলির মাধ্যমে এখানে লীগ পরিচালনা কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারেনা। আর এরজন্য নিচু সারির দলগুলি অর্থনৈতিকভাবে সবসময় ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায় থাকে। কিন্তু রিয়াল আর বার্সার বার্ষিক আয় দেখলে তা সহজেই চোখ এড়িয়ে যেতে বাধ্য! সিরি-আ পাতানো খেলা, রেফারিদের ঘুষ কেলেংকারি সহ আরো অনেক কারনে দর্শকদের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। দাংগাবাজ দর্শক আর বর্ণবাদী আচরণ ইতালিয়ান লীগকে পাদ প্রদীপের বাইরে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে এসি মিলানের খেলয়ারেরাত দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের কারনে মাঠই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন! বার্ষিক আয়ের দিক থেকে ২০১১-১২’র হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ২০ ক্লাবের মধ্যে ইপিএল’র ৭টি দল জায়গা পেয়েছে, সিরি-আ’র ৫টি, বুন্দেসলিগার ৪টি আর লা-লিগার মাত্র দুইটি দল কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই যে লা-লিগার দুইটি দলই আবার আয়ের দিক থেকে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে।

রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সিলোনা ক্লাবদ্বয়ের সম্মিলিত বার্ষিক আয়ের হিসাব যেকোনো ক্লাবের জন্য ঈর্ষার কারন হতে বাধ্য কিন্তু লা-লীগার অন্য দলগুলির কি খবর? মৌসুম শেষে এই দুই দলের সাথে লীগ টেবিলে তাদের প্রতিপক্ষের যেরূপ পয়েন্টের পার্থক্য থাকে তেমনি আয়ের বিশাল পার্থক্যও আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে ঐ লীগের সব ক্লাবের শক্তিমত্তা সমান না! আধুনিক ক্লাব ফুটবলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সফলতা লাভের চাবিকাঠি আর এমনি পরিস্থিতিতে লা-লিগার অন্য দলগুলির ম্যাড়ম্যাড়ে অবস্থা লীগটাকে আনাকর্ষণীয় করে রেখেছে বলা যায় অন্তত পক্ষে ইপিএল’র তুলনায়। দেশের ভিতরে ও বাইরের টিভি স্বত্ব বাবদ ইপিএল আগামী তিন বছর আয় করবে প্রায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার কোটি টাকা যা বুন্দেসলিগার ৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ হাজার কোটি টাকার তুলনায় দিগুণেরও বেশী। এইক্ষেত্রে সিরি-আ অনেক পিছিয়ে আছে আর স্পেনিশ লা-লিগার দলগুলি সমষ্টিগত টিভি-স্বত্ব ব্যাবস্থাপনার বিপরীতে ক্লাব ভিত্তিক সমঝোতার চর্চা করে থাকে। আর এর জন্যই লা-লিগার নিচু সারির দলগুলির এমন হতচ্ছিরি রোগা-পাতলা অবস্থা! টিভি স্বত্বের ব্যপারে ইপিএলের ক্লাবগুলি দলীয় চুক্তির বদলে লীগ কর্তৃপক্ষের সমষ্টিগত ব্যাবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল এতে নিচু সারির দলগুলি ইউরোপের অন্যান্য লীগের দলগুলির চেয়ে সামর্থের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। এই বছর চ্যাম্পিয়নশিপে (প্রথম বিভাগ) অবনমিত হওয়া উইগান এথলেটিক কিন্তু ইপিএল’র তাবৎ ক্লাবগুলিকে পানি খাইয়ে এফ.এ কাপ জিততে পেরেছে যা পাঠকদের ইপিএলে খেলা নিচু সারির দলের শক্তিমত্তা বোঝতে সহায়তা করবে বলে মনে করি।

মাঠে বসে সবচেয়ে বেশী খেলা দেখে বুন্দেসলিগার দর্শক যার ম্যাচ প্রতি গড় প্রায় ৪২,৬৭৩ জন, ইপিএল ৩৫,৩৫৩ জন, লা-লিগা প্রায় ২৮ হাজার ও সিরি-আ’তে প্রায় ২৭ হাজার জন! কিন্তু ইপিএল’র ক্লাবগুলির সম্মিলিত জনপ্রিয়তা টক্কর দিতে পেরেছে কেবল আমেরিকা ভিত্তিক খেলা এন.এফ.এল(আমেরিকান ফুটবল), মেজর লীগ বেইসবল আর এন.বি.এ(বাস্কেটবল)! ব্র্যান্ড ডাইরেক্টরির তৈরিকৃত এক হিসাবে দেখা যায় শীর্ষ দশের ম্যানইউ, ম্যানসিটি, আর্সেনাল, চেলসি, ও লিভারপুল’র(সবগুলি দলই ইপিএল’র) সম্মিলিত ব্র্যান্ড ভ্যালু ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার বা ১৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সার সম্মিলিত ভ্যালু প্রায় ১.১৯ বিলিয়ন ডলার বা ৯ হাজার ৫২০ কোটি টাকা, বায়ার্ন আর বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড’র সম্মিলিত ভ্যালু ১.১২ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা, ২৬৩ মিলিয়ন ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে সিরি-আ’র একমাত্র দল হিসাবে শীর্ষ ১০এ আছে এসি মিলান। বিশ্বের ব্যাবসা সফল ৫০টা ক্লাবের মধ্যে ইপিএল’র আছে ১৪টা, বুন্দেসলিগার ৮টা, সিরি-আ’র ৬টা আর মাত্র ৫টা ক্লাব আছে লা-লিগার! বিশ্বায়নের হাত ধরে রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিছের চেলসির কর্তৃত্ব নেয়ার মাধ্যমে ইপিএল তথা ইউরোপিয়ান ফুটবলে এক অন্য যুগের সূচনা হয়েছে। তিনিসহ, আমেরিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো-ডলারে ভরপুর আরব শেখরা ইপিএলের মাধ্যমে পৃথিবীকে দেখিয়ে দিলেন জৌলুশ আর গতিময় ফুটবলের এক চোখ ধাঁধানো যুগলবন্দী। আনঝি থেকে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন সব ক্লাবই এখন এই মডেলের অনুসারী। হুলিগানিজম, অবৈধ বাজি আর ম্যাড়ম্যাড়ে প্রদর্শনের বদলে দর্শকদের ভালবাসায় পরিপূর্ণ জমজমাট ইপিএল’র বদৌলতে এখন হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে এমিরেটস থেকে ইষ্টল্যান্ড পর্যন্ত।

ইপিএলের ২০টি দলই প্রতি সপ্তাহে যে পর্যায়ের খেলা খেলে থাকে তা অন্য কোন লীগে পাওয়া দুস্কর তাইত বিশ্বব্যাপী ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের কদর ও জনপ্রিয়তা দুই বেড়ে চলেছে আর এর সাথে আমরাও প্রতিনিয়ত ফুটবল বিনোদনে ভাল সময় কাটাচ্ছি। তথ্যসুত্রঃ Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link ছবিসুত্রঃ http://www.tsmplug.com মোঃ জাকারিয়া জামান তানভীর সুনামগঞ্জ, জুলাই ৩,২০১৩ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.