হাকিম মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি বরাবর লিখিত এ অভিযোগ করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইনছান আলী রাজু।
বুধবার বিকালে আবেদনটি ডাকযোগে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হয় বলে রাজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
এ আবেদনের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এবং আইন সচিবকেও পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
আবেদনে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থানার একটি অপহরণ মামলার আসামি শাহীন হোসেন বাবুর জামিন বাতিল করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শাহীন এর আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবারো জামিন পান।
এরপর থেকে তিনি এ আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। জামিনের কোনো শর্তও তিনি ভঙ্গ করেননি। মামলার অপর আসামিরাও জামিনে রয়েছেন।
কিন্তু ওইদিন হাকিম মো. তাজুল ইসলাম শুনানি শেষে ওই আসামির জামিন বাতিল করেন এবং পরদিন হেফাজতের আবেদন শুনানির তারিখ রাখেন।
আবেদনে আরো বলা হয়, সেদিন এ আদেশের পর শাহীনের জামিন কোন যুক্তিতে বাতিল করা হল তা এজলাসেই ওই হাকিমের কাছে জানতে চান আসামির আইনজীবী রাজু।
“উত্তরে বিচারক তাজুল ইসলাম বলেন, মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) স্যার আমাকে এ ধরনের আদেশ দিতে বলেছেন। এজন্য আমি দিয়েছি। এর বাইরে আর আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারব না।
“আর আপনারা এ ধরনের প্রশ্ন করার সাহস কোথায় পেলেন? আপনার চাইতে অনেক বড় বড় আইনজীবীও তো এ ধরনের প্রশ্ন করার সাহস পান না। আপনারা এখনই এজলাস ত্যাগ করেন।
নইলে পুলিশ ডেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেব। ”
এ কথা বলে ওই বিচারক অ্যাডভোকেট ইনছান আলী রাজুর ভিজিটিং কার্ড চান এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বলে আবেদনে ওই আইনজীবী বলেন।
আদালতের এ কথায় ‘বিস্মিত ও হতভম্ব’ হয়ে ওই আইনজীবী ভিজিটিং কার্ড দিয়ে আদালত থেকে চলে যান।
এর কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোন থেকে রাজুকে এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, “তাজুল স্যার আপনাকে দেখা করতে বলেছেন। ”
পরে স্বয়ং তাজুল ইসলাম নিজের পরিচয় দিয়ে রাজুকে ফোন করে তার কক্ষে যেতে বলেন বলে জানান এই আইনজীবী।
ফোন কলটি পেয়ে আরো দুজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাডভোকেট রাজু বিচারক তাজুল ইসলামের খাস কামরায় ঢোকেন।
সেখানে তাজুল বলেন, “আপনাদের মামলার অর্ডার চেঞ্জ করা যাবে। আমাকে খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। ”
ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের বর্তমান সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হীরুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনাটি আমি জানি। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা উচিৎ।
”
এছাড়া বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।