আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টিভের মৃত্যুশয্যায় বিলের চিঠি!

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম) অ্যাপল স্রষ্টা স্টিভ জবস নেই। তবে আলোচনা থেমে নেই শতাব্দী সেরা এ দূরদর্শী উদ্ভাবককে নিয়ে। মৃত্যুর সময় মাইক্রোসফট বন্ধু খ্যাত বিল গেটসের লেখা শেষ চিঠি তাই ছিল স্টিভের কাছেই। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। উদ্ভাবনী জীবন এবং ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই স্টিভ আর বিল গেটস ছিলেন সব সময়ের বন্ধু।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে পাওয়া বিল গেটসের পাঠানো চিঠি ছিল স্টিভের মৃত্যুশয্যায়। ব্যক্তি জীবনে টানাপোড়েন আর প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা থাকলেও বন্ধুত্বের জায়গার তাঁরা ছিলেন অটুট জুটি। স্টিভের মৃত্যুর পরে প্রকাশিত জীবনীতে বিল গেটসকে নিয়ে করা স্টিভের বৈরী এক মন্তব্য ব্যাপক আলোচনার ঝড় তোলে। এ বইয়ের জন্য দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ বিল গেটসকে ‘কল্পনাশক্তিহীন’ ব্যক্তি বলেও মন্তুব্য করেন। আর বিল গেটস অন্যের মেধার ওপর নির্ভরশীল এ কথাও বলেন স্টিভ।

তবে স্টিভের মৃত্যুর পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস এ প্রসঙ্গে পাল্টা কোনো মন্তব্য না করে স্টিভকে ‘অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান’ বলেই অখ্যায়িত করেন। ‘ম্যাকিনটোশ’ পিসি তৈরি করে স্টিভ তাঁর উদ্ভাবনী শক্তির প্রথম প্রমাণ দেন। এরপর বনিবনা না হওয়ায় স্টিভ মাইক্রোসফট ছাড়েন। নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বজয়ী অ্যাপল। আর দু বন্ধুর মধ্যে মেধার লড়াইটা শুরু হয় এখানেই।

দ্য টেলিগ্রাফে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেন, আইফোন আর আইপ্যাডের অবয়ব ভাবনা স্টিভকে অনবদ্য উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত করে তোলে। এতে শুরু হয় মাইক্রোসফট-অ্যাপল লড়াই। তবে এ প্রতিযোগিতায় কখনই বন্ধুত্বে কোনো ফাটল তৈরি হয়নি। গত পাঁচ বছরে অ্যাপলের বিশ্ব বাজারমূল্য মাইক্রোসফটকে রাতারাতি টপকে যায়। একে একে ম্যাক, আইফোন এবং আইপ্যাড তৈরি করে স্টিভ নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে।

তবে স্টিভ আর আমি (বিল গেটস) একে অপরের কাজকে দারুণ উপভোগ করেছি। মাইক্রোসফট ছাড়ার পর থেকে স্টিভ পুরোটা সময় আমার (বিল গেটস) সঙ্গে প্রতিযোগিতাই করে গেছে। কিন্তু স্টিভ যখনই কোনো প্রকট সমস্যায় পড়ত তখনই আমাকে (বিল গেটস) ফোন করত। আমাদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার জায়গাটা ছিল খুবই স্বচ্ছ। তবে শেষমুহূর্তে স্টিভ খুবই মুষড়ে পড়েছিল।

আমাকে পাঠানো শেষদিকের প্রায় প্রতিটি চিঠিতেই ছিল প্রার্থনার সরল সুর। স্টিভের মৃত্যুর মাত্র ক’মাস আগে আমি (বিল গেটস) স্টিভের বাসায় গিয়েছিলাম কুশল বিনিময় করতে। সেখানে দু বন্ধুতে কেটেছে কয়েক ঘণ্টা নিবিড় সময়। এ সময় স্টিভ কীভাবে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা পেল আর অ্যাপলের ভবিষ্যৎ ভাবনা এসব নিয়েই বেশি কথা বলেছেন। নিশ্চিত মৃত্যুতেও তাই স্টিভের পুরো ভাবনাজুড়েই ছিল অ্যাপল আর শুধুই অ্যাপল।

মৃত্যুর ঠিক কয়েকদিন পরে স্টিভের স্ত্রী লরেন বিল গেটসকে ফোন করে জানান, মৃত্যুশয্যায় স্টিভের খুব কাছেই ছিল বন্ধু বিল গেটসের পাঠানো শেষ চিঠি। আর মৃত্যুর কদিন আগে এ চিঠি স্টিভ তার স্ত্রীকে পড়েও শুনিয়েছিলেন। স্রষ্টা না থাকলেও সৃষ্টি থেমে থাকে না। তবুও শতাব্দী সেরা উদ্ভাবক হিসেবে স্টিভ এখন শুধু আলোচনার পাত্র নন। বরং তার ভবিষ্যৎ ভাবনার আরও কী ছিল তা নিয়েই গবেষণা করছে বিশ্বসেরা প্রযুক্তি নির্মাতারা অনেকেই।

এখান থেকে---- Click This Link সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.ক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।