ধুসর এই পৃথিবীতে আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন খুজে বেড়াই উন্নত বিশ্বে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও সামরিক নিরাপত্তার জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছেই। আর এটার নিরপত্তা দিতে উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার প্রমান মিলে চেরোনবিল দূর্ঘটনা এবং জাপানের সুনামী, পরবর্তি পারমানবিক চুল্লিতে আগুন ধরে যাওয়ায়। আপাতত জেনে নেই রেডিয়েশনের কারনে কি কি রোগ হতে পারে, উপসর্গ ও প্রতিরোধের জন্য কি কি করা দরকার।
রেডিও ওয়েভ, মাইক্রওয়েভ, বিভিন্ন ধরনের আলোর তরঙ্গ মানব দেহের টিস্যু সিস্টেমে তেমন কোন ক্ষতি করে না। কিন্তু আয়নিক রেডিয়েশন অর্থাৎ তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গতএক্স রশ্নি, গামা রশ্নি সরাসরি মানবদেহের কোষের জৈবিক পরিবর্তণ আনে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে।
কোন একটি পরামানুতে নিউট্রন ও প্রোটন কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং ইলেক্ট্রন চার পাসে ঘূর্ণন অবস্থায় থাকে। পরমানুতে এদের আকর্ষণ শক্তির কারনে এ স্থিতিশীল অবস্থা বিদ্যমান থাকে। কোন কারনে স্থিতিশীল অবস্থা হারালে নিউট্রন বিম বা ইলেকট্রন বিম বিশাল পরিমান শক্তি নির্গত করে এবং আস পাসের অন্যন্য পরমানুতে আঘাত করে সেই পরমানুর রাসায়নিক অবস্থাকে সরাসরি পরিবর্তন করে ফেলে। সেই পরমানুও তেজস্ক্রিয় গুণ সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। এভাবে খুব সহজেই যে কোন পদার্থকে (জীব বা জড়) আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
কারনঃ
* পারমানবিক মোবা, চুল্লি অণ্য কোন কিছু থেকে পারমানবিক পদার্থের সারাসরি সংস্পর্শে আসলে
* মেডিকেল ট্রিটমেন্টে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে অধিক মাত্রায় রশ্নি ব্যবহার করলে।
উপসর্গঃ
* আয়নিক রেডিয়েশনের আক্রান্ত কোন ব্যক্তির প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
* নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়া
* ডিহাইড্রেশন ও ডায়রিয়া
* চুল পড়ে যাওয়া
* আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যাওয়া এবং রক্ত পড়া বা ত্বক পুড়ে যাওয়া
* বমি হওয়া
* আলসার হওয়া
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
* প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বাস ও রক্ত চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
* পোশাক খুলে ভিন্ন একটি নিরাপদ জায়গায় ফেলতে হবে এবং সেই পোশাক আর ব্যবহার করা যাবে না।
* পানি এবং সাবান দিয়ে সারা শরীর ভাল ভাবে ধুতে হবে।
* শরীর শুকিয়ে পরিষ্কার কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
* দ্রুত ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে হবে।
শতর্কিকরণ;
* যেখানে রেডিয়েশন আক্রমণ হয়েছে সেখানে অবস্থান করা যাবে না।
* পোড়া যায়গায় কোন তেল বা অয়েন্টমেন্ট দেওয়া যাবে না।
* রেডিয়েশনের সময় পরিধান করা পোষাক পরে থাকা যাবে না।
* দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রতিকারঃ
* রেডিয়েশন এর যন্ত্রপাতি সাবধানে নারাচারা করা।
* রেডিয়েশন এলাকাতে রেডিয়েশন বিরোধী পোষাক পরিধান করা এবং রেডিঙেশনের মাত্রার ব্যাজ পরিধান করা।
* রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ার আসঙ্কা থাকলে দ্রুত সেই অবস্থান ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়া
শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন
BGC TRUST MEDICAL COLLEGE
M.B.B.S 5th YEAR
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।