মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এক তরুন বাংলাদেশের সংবিধানের কি কোথাও উল্লেখ আছে যে বাংলাদেশ একটি ইসলামিক রাষ্ট্র?
উত্তরঃ না।
তাহলে কেন ইসলামের সথে সনাতন, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ধর্মকে অবমাননা করলে সরকার কথা বলে না। স্পষ্টত যে একজন হিন্দু কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের মানুষ এমনকি নাস্তিক যদি কোন ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করে কিংবা ধর্মের অবমাননা করে সেটা যেমন অনৈক এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ড বলে বিবেচিত হবে, পক্ষান্তরে অন্যের ধর্মের ব্যপারে কেন একই নিয়ম কেন হয় না? সরকার কয়জনকে রামু ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিকে শস্তি দিয়েছেন? সরকার কয়জনকে মসজিদ এবং মন্দির ভাঙার অভিযোগে শাস্তি দিয়েছে? আমি বলবো এবিষয়ে সরকারের সদইচ্ছার অভাবেই এই ধরণের কর্মকান্ডের পূনরাবৃত্তি ঘটে থাকে।
অনেকে আবার দ্বিমত পেষণ করতে পারেন যে সরকার তো পরিবর্তনশীল।
সরকার পরিবর্তনশীল হলেও কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন হয় নি।
কাজেই উক্ত সরকার উক্ত কর্মকান্ডকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে।
কোন ব্লগ সরকারের সম্পত্তি নয়, যে সরকার তা চাইলে কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া ব্যান করতে পারে। কিন্তু সরকার এটুকু করতে পারে যে তাদের কিছু প্রোটোকল দিতে পারে। অথবা ব্লগের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে যদি কোন ব্লগার কোন ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে থাকেন তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে পারেন। আর যখন কতিপয় কিংবা সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার কিংবা কোন ব্লগ ব্লক করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে তাহলে কি প্রমাণিত হয় না যে এখানে সরকারের ব্যর্থতা??
তাহলে কি ধরে নিতে পারি না যে আজ সরকার তার নিজের ব্যর্থতার কারনে এই কাজগুলো করেছেন??
এবার আসি সরকারের ধর্মানুভূতির স্পর্শকাতরতা নিয়ে-
আমি যদি বলি ধর্ম নিয়ে যে ক্যাচালটা শুরু কিন্তু আজ বা কয়েকদিনের না।
এটা অনেকদিন ধরে গুটিকয়েক মানুষের চিন্তা চেতনার ফসল। সরকার কেন তাদের বিষয়ে নিরব আর যারা এগুলোর বাইরে তাদের বিষয়ে সরব?? তাহলে কি সরকারের উক্ত মহলে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা কি উক্তগ্রুপের নিকট বিক্রি হয় নি? তার নিশ্চয়তা কে দিবে?
আর যখন বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল অন্যদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এবং অনলাইনে মওদুদীবাদ দর্শনকে প্রচারের চেষ্টা করে, তখন কোথায় থাকে সরকারের এই ধর্মনুভূতি? নাকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো শিথীলযোগ্য?
যখন উক্ত রাজনৈতিক দল সমাজে প্রকাশ্যে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয় ভেঙে ফেলে এমনকি মসজিদে আগুন দেয়, তখন কি সরকার ধর্মানুভূতির ঘুমিয়ে থাকে?
যখন একটি রাজনৈতিক দল অন্যান্য ধর্মালম্বীদের কাফের বলে গালি দেয়ে বিভিন্ন মিডিয়েকে ব্যবহার করে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করে, তখন কেন সেগুলো বন্ধ করে না? স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম একটি ব্লগকে বন্ধ করা হয়?
আমার প্রশ্ন- আসলে কি এতোগুলো ভূল সরকার নিজেই করছে, নাকি সরকারের কোন একটি মহলকে দিয়ে এই কর্মকান্ডগুলো করানো হচ্ছে?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।