আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নায়কের পর এবার ব্যবসায়ী মারলেন ডা. ফাতেমা

ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগমের হাতে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এসএম আসলাম তালুকদার মান্নার মৃত্যুর পর এবার মারা গেলেন ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান অপু (৪৭)। শুক্রবার গভীর রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপুর মৃত্যু হয়। স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আমিনুর রহমানের ছেলে অপুর বাসা গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর রোডে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। জানা গেছে, বুধবার অপুর হার্ট অ্যাটাক হলে ইউনাইডেট হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়।

পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ডা. ফাতেমা বেগমের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় এক ঘণ্টার মধ্যেই তার হার্টে রিং পরান ডা. ফাতেমা। অপুর স্ত্রী রণক জাহান মিষ্টির বরাত দিয়ে তার বোন বাসসের সাংবাদিক অজান্তা বলেন, অপুকে ইউনাটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে ডা. ফাতেমা আমার বোনকে বলে, ‘এ বিষয়ে কাউকে বলতে হবে না। আমি তোমার মায়ের মতো। আমার ওপর ভরসা রাখো।

বেশি লোক জানানোর দরকার নেই, তারা চিকিৎসায় সমস্যা করে। এখনই তাকে রিং পরাতে হবে। আমেরিকান রিংয়ের দাম ২ লাখ টাকা। ’ এসব বলে তিনি তাড়াহুড়া করে এক ঘণ্টার মধ্যেই রিং পরিয়ে ফেলেন। পরদিন তাকে স্যুপ খেতে দেওয়া হয়।

এতে রাতে তার প্রচণ্ড খিঁচুনি হয়। বিষয়টি ডাক্তারকে জানানো হলে তিনি কর্ণপাত করেননি। অজান্তা বলেন, ‘শুক্রবার রাতে রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাই ছিল দুলাভাইয়ের প্রথম স্ট্রোক।

তাছাড়া তার হার্টে মাত্র একটি ব্লক পাওয়া গেছে। ’ অজান্তা জানান, ডা. ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি স্পেশালিস্ট ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘অনেক রোগীর হার্টে রিং পরানো হলেও ধারণ মতা না থাকায় এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। ’ এদিকে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্র“য়ারি ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. ফাতেমাসহ ৬ ডাক্তারের অবহেলায় নায়ক মান্নার অকাল মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেন মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে এই মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরদিনই তারা হাইকোর্টে জামিনের জন্য গেলে আদালতের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিু আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্মপণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বার করে জামিন লাভ করেন।

২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ ফিরোজ আলম। এরপর এক, দুই ও তিন নভেম্বর স্যাগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। স্যা গ্রহণের জন্য ধার্য থাকা দিনেই সংশ্লিষ্ট বিচারক বদলী হয়ে যান। থেমে যায় স্যা গ্রহণ। এরপর আসামিপরে আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

কিন্তু সেই রিট আবেদনের শুনানিও শুরু করছেন না আসামিপরে আইনজীবীরা। প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা ইউনাইটেড হাসপাতালে অহরহই ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলানিউজ Click This Link আলমগীর: ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগমের হাতে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এসএম আসলাম তালুকদার মান্নার মৃত্যুর পর এবার মারা গেলেন ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান অপু (৪৭)। শুক্রবার গভীর রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপুর মৃত্যু হয়। স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আমিনুর রহমানের ছেলে অপুর বাসা গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর রোডে।

পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। জানা গেছে, বুধবার অপুর হার্ট অ্যাটাক হলে ইউনাইডেট হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ডা. ফাতেমা বেগমের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় এক ঘণ্টার মধ্যেই তার হার্টে রিং পরান ডা. ফাতেমা। অপুর স্ত্রী রণক জাহান মিষ্টির বরাত দিয়ে তার বোন বাসসের সাংবাদিক অজান্তা বলেন, অপুকে ইউনাটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে ডা. ফাতেমা আমার বোনকে বলে, ‘এ বিষয়ে কাউকে বলতে হবে না।

আমি তোমার মায়ের মতো। আমার ওপর ভরসা রাখো। বেশি লোক জানানোর দরকার নেই, তারা চিকিৎসায় সমস্যা করে। এখনই তাকে রিং পরাতে হবে। আমেরিকান রিংয়ের দাম ২ লাখ টাকা।

’ এসব বলে তিনি তাড়াহুড়া করে এক ঘণ্টার মধ্যেই রিং পরিয়ে ফেলেন। পরদিন তাকে স্যুপ খেতে দেওয়া হয়। এতে রাতে তার প্রচণ্ড খিঁচুনি হয়। বিষয়টি ডাক্তারকে জানানো হলে তিনি কর্ণপাত করেননি। অজান্তা বলেন, ‘শুক্রবার রাতে রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

পরে রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাই ছিল দুলাভাইয়ের প্রথম স্ট্রোক। তাছাড়া তার হার্টে মাত্র একটি ব্লক পাওয়া গেছে। ’ অজান্তা জানান, ডা. ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি স্পেশালিস্ট ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘অনেক রোগীর হার্টে রিং পরানো হলেও ধারণ মতা না থাকায় এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।

’ এদিকে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্র“য়ারি ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. ফাতেমাসহ ৬ ডাক্তারের অবহেলায় নায়ক মান্নার অকাল মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেন মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে এই মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরদিনই তারা হাইকোর্টে জামিনের জন্য গেলে আদালতের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিু আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্মপণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বার করে জামিন লাভ করেন। ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ ফিরোজ আলম। এরপর এক, দুই ও তিন নভেম্বর স্যাগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। স্যা গ্রহণের জন্য ধার্য থাকা দিনেই সংশ্লিষ্ট বিচারক বদলী হয়ে যান।

থেমে যায় স্যা গ্রহণ। এরপর আসামিপরে আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। কিন্তু সেই রিট আবেদনের শুনানিও শুরু করছেন না আসামিপরে আইনজীবীরা। প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা ইউনাইটেড হাসপাতালে অহরহই ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলানিউজ Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।