আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিভু নিভু সময় প্রথমাংশ (পরিমার্জিত)

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility শায়লা তার নিজের মাতা পিতা দেওয়ার নাম নয়, এটা তার পালক মা-র আদরের নাম । থাকে সে ইটালীর তুরিনো-তে । তার জন্ম পরিচয় সে নিজেও জানে না । পালক মা জেনিফা আলী একজন রেড ক্রস এর কর্মী । তিনি নিজেও সঠিক জানেন না, শায়লার সঠিক জন্ম পরিচয় ।

শুধু এতটুকুই জানেন যে তার মা-বাবা ভারতীয় কিংবা বাংলাদেশী । যদিও এই নিয়ে জেনিফা আলী কিংবা শায়লার তেমন মাথা ঘামায় । তাদের মধ্যে সম্পর্ক রক্তের মা ও সন্তানের মতই । শায়লার স্কুলে প্রথম প্রথম ভাষাগত সমস্যা নিয়ে জেনিফা আলী অনেক চিন্তিত থাকলেও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায় । শায়লা অনেক মেধাবী ।

এই নিয়ে জেনিফা আলীর গর্বের শেষ নাই । জেনিফা আগে খৃষ্টান ছিলেন । একসময় কোন এক বাঙ্গালীর প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন এবং ধর্মান্তরীন হন । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, বিয়ের কয়েকদিন পরেই তার স্বামী সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় । সে তাকে এতই ভাল........... বাসত যে ২য় বিয়ে বা সম্পর্কের কথা সে মাথাতেই আনতে পারছিল না ।

তাই নিজেকে মানব সেবায় নিয়োগ করার মনস্থির করায়, রেডক্রসে যোগ দিলেন । তার ইচ্ছা জীবনের শেষ পর্যন্ত মানবসেবাই করে যাবেন । স্কুল-কলেজের ধাপ শেষে যখন শায়লা ইউনিতে ভর্তি হল । তখনই জেনিফা শায়লাকে বাঙ্গালী ধারায় বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন । যদিও জেনিফা আলী নিজে কখনো বাংলাদেশে যাননি , শায়লাও নয় ।

কিন্তু এখনকার বাঙ্গালী কমুউনিটিতে জেনিফা আলী খুব শক্ত পোক্তভাবে পরিচিত । শায়লাও প্রায় বাৎসরিক অনুষ্ঠান এ অংশগ্রহন করে থাকে । শায়লার খুব ইচ্ছা বড় শিল্পী হবার কিন্তু বাধ সাধেঁ তার মা জেনিফা । তার পড়াশুনাটাই বেশী গুরুত্বারোপ করেন জেনিফা । শায়লা চায় ভৌগলিক ও বাস্তুবিদ্যার উপর উচ্চ শিক্ষা নিতে ।

কিন্তু এর উপর পড়াশুনার খরচটা বেশীই পড়ে যায় । এছাড়া অনেকটা আনকমন বিষয়ও । শায়লা সেই সুবাদে বন্ড ইউনি, অস্ট্রেলিয়াতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে । সেখানে দৈবক্রমে সুযোগ পেয়ে যায় ইটালীর একটি বেসরকারী মেধাবীদের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট থেকে । মা-কে একলা ছেড়ে যেতে তার অনেক কষ্ট হলেও, তার নিজের ও তার মার স্বপ্নকে পূরণ করতে, যেতে তাকে হবেই ।

তুরিনোতে থাকতে প্রেম নামক শব্দের সাথে পরিচিত হলেও, মোটেও কাউকে সে রকম মনে জায়গা দেওয়ার কথা ভাবে নাই । তার উপর মা -র কড়া নজর তো সর্বদা ছিলই । জেনিফা প্রথম প্রথম অত দূরে মেয়েক পাঠাতে না চেলেও পরে সিদ্ধান্ত নেন, মেয়ে যেহেতু বড় হয়েছে তাই তার সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শিখতে হবে । .......................... গল্পটি শেষ করতে পারলাম না আজ । কেন পারলাম না, আগামীতেই বলব না হয় ।

শেষাংশ Click This Link ছবি: গুগল + Click This Link উৎসর্গ : ব্লগার নাফিজ মুনতাসির সাহেব, এই পোষ্টকে কেন্দ্র করে Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।