© এই ব্লগের সকল পোষ্ট,ছবি,থিম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোথাও বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করা নিষেধ । শুরুটা হয় প্রবর্তনা থেকে। প্রবর্তনা আসাদগেটে অবস্থিত ছিলও,যেটায় কিনা যেতে হলে কোন পুরুষের সাথে নারী থাকা আবশ্যক ছিলও। অনেকটা লগইন করতে হলে পাসওয়ার্ড চাওয়ার মত।
সেই সময়টায় আমার সঙ্গী ছিলও শুধু আমার ছায়াই।
বন্ধুরা ততদিনে এক যোগ এক দুই। তো সেই বন্ধুরা প্রায়ই আড্ডা দিত তাদের ছায়াকে নিয়ে প্রবর্তনার চারতলায়। একদিন এক বন্ধু তিরস্কার করে বলেই বসলো”কতদিন আর আমাদের সাথে আসবি?এবার নিজে কিছু কর। “গায়ে লেগে যায় কথাটা ।
শুরুর দিনটায়…বন্ধুদের আসার আগে গেলাম প্রবর্তনায়।
ঢুকতে পারবোনা পাসওয়ার্ড ছাড়া যেনেও। হঠাৎ দেখলাম একটি মেয়ে রিক্সা ওয়ালার সাথে বেজায় তর্ক। কাছে গিয়ে কারণ জিজ্ঞাস করতেই বলে বসে”আরে বলবেন না এই রিকশাওয়ালা এত আস্তে চালিয়েছে যে আমার এখানে আসার কথা ছিল বারোটা পনেরো মিনিটে। আর রিক্সা ওয়ালা কে সময় জিজ্ঞাস করতেই বলে ও কিনা আমায় সোয়া বারোটায় নিয়ে এসেছে। “আমি তখন বেশ জোড়ে হেসে উঠলাম।
সেটা দেখে সে বেশ হতভম্ব হয়ে গেলো। বলে উঠলো,”আপনি পাগলের মত হাসছেন কেন?”আমি বললাম সোয়া বারোটা মানে,ইটস টুয়েলভ ফিফটিন। “আমার ঘড়ি দেখার পর সে বেশ প্রশান্তির একটা হাসি দিয়ে বলল,”আরে বলবেন না আব্বু টাইমের ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস,তাই আমি এত ঝামেলা। “
প্রবর্তনার সামনের ফুটপাতের ক্ষণিক পরিচয়ের সিকোয়েন্স কি প্রকৃতি আগেই করে রেখেছিলো কিনা তার হিসেব কষতে কষতেই সে বলে উঠলো “আচ্ছা যাই”। আমি ও কিছু বললাম না।
ভাবলাম এটাই হয়তো শেষ। কিন্তু যেটা ভাবি নাই সেটা হলও এটাই শুরু।
কৃষ্ণচূড়া ফোটার মৌসুম চলে এসেছিলো ততদিনে। মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণ করার জায়গায় ততদিনে প্রায় এই স্মৃতি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। মেগাসিটির পেছনের সারির সিটি বসেছিলাম।
ধানমন্ডি ২৭ এর সাত মসজিদ রোডের ট্রাফিক সিগন্যাল এ আটকে ছিলাম। জানালার পাশে ডান দিকে বসে সামনের সিটে দু হাত দিয়ে মাথা রেখে তাকিয়ে ছিলাম বাইরের দিকে। হঠাৎ… একটু দূরের রিক্সা থেকে চিৎকার। এই এই এই…বলে। ভ্যাবাচেকা খেয়ে উঠলাম আমি সহ বাসের সবাই।
সেই মেয়েটি…ডাকছিলও আমায়। বাস থেকে নেমে কাছে যেতেই বলে” কানে কি কম শুনেন?এত ডাকলাম আর এখন উত্তর। গণ্ডার একটা। “কি বলব,কি করবো তখন এর উত্তর
আমার পৃথিবীতে ছিলও না। আমি শুধু তাকিয়ে সেই চাঞ্চল্য দেখছিলাম,দেখছিলাম চোখের পলক ফেলা,খোলা চুলের মৌনতার মাদকতা।
আরে মাছি ঢুকবে তো কি দেখেন?আর ঐ দিন অভদ্রের মত না বলে চলে গেলেন কেন। নামটা সে দিন জানলে তো আর এই এই করতে হতো না। তো আপনার নাম কি?
আমি রক্তিম।
ও আল্লাহ রক্তের গ্রুপ কি?
ও নেগেটিভ। আপনার নাম কি?
আমি অরিত্রী।
অরিত্রীর সাথে শুরুর গল্পটা এমনই রক্তিমের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।