থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
আজকের পত্রিকায় জানা গেল [ Click This Link ] সরকার প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করার জন্য যে তদন্ত কমিটি সরকার গঠন করছিল, তারা যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে পরোক্ষভাবে কোচিংকেই উত্সাহিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে,
১। এক ব্যাচে সীমিত আকারে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষক নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন।
২।
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বা দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে পারবেন এবং এজন্য প্রতি ঘণ্টার জন্য শিক্ষক প্রতি ১৭৫ টাকা অতিরিক্ত সম্মানি পাবেন।
২ক। শিক্ষকরা এক ব্যাচে ১০ জন ছাত্র পড়ানো মনিটরিং করার কোনো সুপারিশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
৩। কোনো শিক্ষক নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ
৩ক। এরপরও কেউ এ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩খ। এক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বদলি এবং বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে বলে হুশিয়ারি করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে হঠাত কোচিং বন্ধ করে দিলে পাবলিক পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হতে পারে।
এই বিপর্যয় এড়াতে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এ জন্য শিক্ষকদের বাড়তি পারিশ্রমিকও দেয়া হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি স্কুলে শিক্ষকরা পিছিয়ে পড়া এবং দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাস নেন, তা হলে কেন প্রাইভেট পড়া চলবে?
আর আমাদের মনে রাখা দরকার, যে বছরে এহসানুল হক মিলন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে সারাদেশের পাবলিক পরীক্ষায় নকল বন্ধ করার জন্য নেমেছিলেন, সেই বারেও কিন্তু ফলাফল বিপর্যয় হয় নাই।
মানুষ ভালোটা হোক সেইটাই চায়। খারাপটা মানুষ চায় না, কিন্তু বাধ্য হয়ে মেনে নেয়।
সরকার যদি প্রাইভেট পড়া এবং কোচিং বন্ধ করে দেন, তা হলে কিন্তু আমাদের স্কুল-কলেজের পড়ার মান অনেক বাড়বে। আর ওই লেভেলের শিক্ষকদের স্বৈরাচারি মনোভাবও অনেক কমে আসবে।
কিন্তু সরকার কি পারবে এমন একটা ভালো করতে? ব্যর্থ হলে সরকারকে এই দায় অনেক দূর পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে। যেমন নকলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে মিলন সাহেব জিতেছিলেন, তেমনি নাহিদ সাহেব কি কোচিং-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে চান না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।