আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
Offence is the best defence! শেখ হাসিনা এই নীতিতে খুবই পারদর্শী! তা বাংলাদেশ কেন পুরো বিশ্বে তোলপাড় হয়ে গেলেও তাকে কেউ কথায় আটকাতে পারবে না। কি বিভ্রান্তিকর কি বিকৃত কথাতো কোন ব্যাপারাই নয় বরং দিনের পর দিন, মাস, বছর এবং যূগ যূগ ধরে চরম-নগ্ন মিথ্যা কথা বলতে পরাঙ্গম! আধুনিক যূগের গোয়েবেলস বললেও অনেক কম হবে। ৪৩তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়রও ইরাক দখল করে স্বীকার গেছেন যে ইরাকে WMD ছিল না। কিন্তু হাসিনা ও তার বাকশালী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তি-গোষ্ঠীরা বলছে ১০ টাকা/কেজি চাউল খাওয়ানোর ওয়াদা নাকি করেন নি। চাউল সহ নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যর মূল্য কম-স্থিতিশীল তথা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রাখার শক্তিশালী জোড়-প্রচার চালানো হয় ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে।
বস্তুত ২০০১এর নির্বাচনে ভরাডুবি হয়ে হাসিনা ও তার বাকশালী গং দিশেহারা হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে হেরে শেখ হাসিনা বলেছিল যে বিএনপি সরকারকে একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দিব না। এই একই কাজ ২০০১-০৬ মেয়াদে করা হয়েছে। জোট সরকারের আমলের শুরু হতেই যত না সত্য তারচেয়ে বিকৃত ও মিথ্যার মাধ্যমে বলা হতে থাকে হাওয়া ভবনের সীমাহীন ঘুষের কারণে নাকি চাল-ডাল-তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসিনা ২০০১ সালে যে চালের দাম ১০ টাকা রেখে গেছিল সেটা নাকি ২০ টাকা কেজি! অথচ হাসিনা প্রথম আমালে ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক্কালে মোটা চালের দাম ছিল ১৪টাকা/কেজি(সুত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ ১০ই অক্টোবর ২০০৫ইং)।
আর ২০০১ সালে ৯/১১ ও আফগান এবং ইরাকে মার্কিনিদের যুদ্ধ জড়ানোর কারণে হাসিনার সময়কার বিশ্ব বাজারে যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ২২ ডলার/ব্যারেল ছিল সেটা জোট আমলে দাড়ায় ৭৫-৮০ মার্কিন ডলার। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বে ঐ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কারণে সারা বিশ্বেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। আওয়ামী-বাকশালী গংতো কথাই নেই সুশীল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলেই চলত র্দূনীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এই দেশের সিংহভাগ মানুষ সীমিত আয়ের যা হাতে-মুখে অবস্থার মত। আর বিএনপি ও জোটের প্রচার শক্তিশালী না থাকায় একটি বিষয় জেকে বসে যে তারেক রহমান ও তার হাওয়া ভবন ঘুষ-র্দূনীতি করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
হাসিনা ও বাকশালীদের রাস্তাঘাট-ময়দানের মিথ্যা রাজনৈতিক বক্তৃতাকে পরিসংখ্যানের তথা দালিক সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বহুলাংশে সমর্থ হয়। এই সেই হাসিনা যে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার ওয়াদা করে বলছিল "স্বৈরাচার এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে যাবে সে জাতীয় বেঈমান"। কিন্তু পরে ঠিকই দেখা গেল হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গেল। অনেকে বলে ঐ সময়ে ১০ কোটি টাকা এরশাদ হতে নিয়ে হাসিনা মত পাল্টে ছিলেন। হাসিনার জাতীয় বেঈমান থিউরি তৎকালীন আওয়ামী-বাকশালীদের মুখপাত্র দৈনিক সংবাদ, বাংলার বাণী এরা ফলাও করে প্রচার করলেও হাসিনা কেন নির্বাচনে গেল এই প্রশ্নতো দূর তাদের নেত্রী কোন কালে এই কথা বলেছিল সেটাও তারা আর বলে না।
মনে হয় হাসিনা কোনদিনও এই কথা বলেনি। তখনই বোঝা গেল কোন রীতিনীতির বালাই নেই ক্ষমতায় যাওয়াই হাসিনা ও তার অনুসারীদের প্রধান লক্ষ্য। খালেদা জিয়া ও তার বিএনপি সহ এরশাদ বিরোধীদের অনেকেই বলেছিল যে ম্যাডাম এই স্বৈরাচারের অধীনে নির্বাচনে আপনি কোনদিনও জয়ী হতে পারবেন না। পরে হাসিনা ১৯৮৬র জাতীয় নির্বাচনে ফেল মেরে বলল "মিডিয়া ক্যু হয়েছে"। তো তাকে বলা হল একেতো জাতীয় বেঈমান থিউরি আউড়িয়ে নির্বাচনে গেলেন এখন যখন বুঝতে পারছেন যে এটা সাজানো ছিল তাহলে এটা বয়কট করে চলে আসুন! কিন্তু এরশাদের থেকে সেই সময় ১০ কোটি টাকা ও নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন সুবিধাদি অব্যাহতি রাখার লক্ষ্যে ২ বছর সংসদে থেকে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করল হাসিনার আলীগ।
সম্ভবত এরশাদ হতে আর তেমন সুবিধা পাচ্ছিল না। একেতো এরশাদ অবৈধ ক্ষমতা নিলে অখুশী হননি তার উপর ১৯৮৬ সালে হাসিনার ডিগবাজীর কারণে স্বৈরাচারের অবস্থান আরো শক্ত হয়ে তার মেয়াদ দীর্ঘ হয়েছিল। ঘটনার বিশ্লষণে দাড়ায় বিরোধী শিবিরে থেকেও যারা স্বৈরাচার ও র্দূনীতিবাজদের থেকে অবৈধ সুবিধাদি নেয় তারা আর যাই হৌক দেশের মানুষের সঠিক উন্নয়নতো করবেই না বরং কোন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস অথবা দূর্বল করে দিবে। ঠিক যেমন হাসিনার পিতা মুজিব আমলে ১৯৭২-৭৫তে হয়েছিল। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির খেতাব পেয়েছিল।
একই মানসিকাত দেখা গেল হাসিনার প্রথম ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। জুন মাসে ক্ষমতায় এসে তার দলের মন্ত্রী, নেতা-ব্যাবসায়ীরা কৃত্রিম ভাবে শেয়ার বাজারের লেনদন অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি করতে লাগল। হাসিনার আগে বিএনপির সময় ১৯৯১-৯৬ সালে যেখানে কালে ভদ্রে একদিনের সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোটি টাকার উপর যেত সেখানে হাসিনার আমলে জুলাই মাস হতে এর গড় লেনদেন হয়ে উঠল ৩০-৩৫ কোটি টাকা। ঐ সময় খালেদা জিয়া সহ অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন এভাবে কৃত্রিম শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি বেশী দিন টিকে না কারণ রাঘব-বোয়ালরা কারসাজি করে অতিরিক্ত মূল্যর অর্থ নিয়ে কেটে পড়ে। হলোও তাই।
প্রায় ৪০-৬০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হল। কিন্তু হাসিনার প্রথম আমলের অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া বললেন শেয়ার বাজার কি জিনিস উনি তা বুঝেন না। তারপর বিভিন্ন চাপে বেক্সিমকো সহ কেলেংকারীতে জড়িত ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত দূর্বল ভিত্তিতে মামলা হল। এভাবে ধানাই-পানাই করে ১৯৯৯ সালে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন SECর তৎকালীন চেয়ারম্যান বললেন জড়িতদের বিরুদ্ধে যেভাবে শক্তিশালী মামলা হওয়া উচিত ছিল সেভাবে হয় নি। ঐ ১৯৯৭ সালের মামলা আজ পর্যন্ত না পাড়ছে কাউকে শাস্তি দিতে না সম্ভব হচ্ছে নতুন মামলা করা।
কারণ একই অপরাধে একাধিক মামলা হয় না এবং সালমান দরবেশদের পক্ষে বাঘা-বাঘা আইনজীবি আছেন যারা এগুলোকে হাইকোর্টে সহজেই হয়রাণি মূলক বলে বাতিল করাতে পারবে। ঠিক এই মেয়াদেও;
শেয়ারবাজারে চাঙাভাব শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। তবে ওই সরকারের দুই বছরে বাজারের সূচক বাড়ে স্বাভাবিক গতিতে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বাজারের উল্লম্ফন।
এ সময় সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন মহল রীতিমতো আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসেছে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে।
রাতারাতি ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় এসব বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে ধরে নেয়। আর এ সুযোগটাই নেয় কারসাজিকারীরা। এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বাজারে নামে বড় ধস।
তিন বছরে শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। উত্থানের সময়েও তাঁরা ছিলেন ব্যর্থ, পতনেও ছিলেন ব্যর্থ।
ফলে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
Click This Link
কিন্তু মুজিবের বেটী হাসিনা বলে "বিএনপির সময় শেয়ার বাজার নড়েও না চড়েও না"। হাসিনার ভাবখানা এমন যে তার আমলে শেয়ার বাজার হতে দেড় লক্ষ কোটি টাকার উপর লুটে দরবেশ, লোটাস, ফারুক খানরা লাভবান হয়েছে মানে সবাই লাভবান হয়েছে। বাস্তবতা হল ৩০ লক্ষের উপর বিনিয়োগকারী পথে বসেছে তথা তাদেরকে ফুসলিয়ে পথে বসানো হয়েছে। কিন্তু কার সাধ্য আছে হাসিনাকে চাণক্য বিবৃতির রুখার!
বাংলাদেশে যে পরিমাণ গ্যাস-কয়লা আছে তা মোটামুটি ভালই।
সেই পাকিস্তান আমলে গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হলে ১৯৯৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত মোট ১২ টি বিভিন্ন ক্ষেত্র হতে দেশে গ্যাস সরবারাহ করা হত। এর মধ্যে এরশাদের সময় সর্বপ্রথম ইটালীর সিমিটারকে প্রথম বিদেশী কোম্পানীকে গ্যাস উত্তোলন করতে দিয়ে বিদেশী কোম্পানী গুলোকে লোভের দৃষ্টি ফেলতে সাহায্য করে। পরে খালেদার প্রথম আমলে অক্সিডেন্টাল, হেলিবার্টনকে গ্যাস উত্তোলনে লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু হাসিনার প্রথম আমলে ১৯৯৬-২০০১ সালে ১১টি ক্ষেত্রর সব কয়টিই বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়া হয়। তার উপর ফুলবাড়ী কয়লা খনি এশিয়া এনার্জির কাছে রাষ্ট্রের ৬% কয়লা মালিকানা রেখে ১৯৯৮ সালে চুক্তি করা হয়।
যা হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী এতে মূখ্য ভূমিকা নেয়। এরশাদ ও খালেদার আমলে গ্যাস-কয়লা ক্ষেত্রে যতনা র্দূনীতি হয়েছে তার শত গুণ হয়েছিল হাসিনার প্রথম আমলে। এই কারণে ২০০১ মেয়াদে আভ্যন্তরীন গ্যাসের দাম ১৯৯৬ এর তুলনায় ৬০-৭০% বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ঐ সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পায় নি। আর হাসিনা পরীক্ষার নামে নাইকো, শেভরন, শেল, টাল্লো, কেয়ার্ন কোম্পানীর সাথে এমন ভাবে চুক্তি করে যায় যার কুফল ভোগ করে বিগত জোট সরকার।
ঠিক ২০০৬ সালে ফুলবাড়ী ট্রাজেডির মত। ৬-১০ মানুষ প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আওয়ামী-বাকশালী সহ বেশীর ভাগ মিডিয়া গর্জে উঠে যে জোট সরকার এর জন্য দায়ী। কিন্তু হাসিনার চুক্তির ধারাবাহিকতা এটা সেটা তারা চেপে গেল। তারপরেও জোট আমলে নাইকো, ইউনিকল, শেভরন ইত্যাদির সাথে শক্ত দেন দরবারের কারণে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছিল ২০-৩০%। আর হাসিনার মহাজোট এসে দ্রুত বাপেক্সকে দিয়ে সাগর বক্ষতো দূর মূল ভূখন্ডের গ্যাস কিভাবে ঘুষ নিয়ে বিদেশী কোম্পানী গুলোকে দিয়ে উঠাবে তার জন্য প্রায় আড়াই বছর সময় নিল।
২০১১ সালে মার্কিন কানকো ফিলিপসকে বাপেক্সের কয়েক চড়া মূল্যে ৮০% গ্যাসের মালিকনা দিয়ে সাগরের ব্লক লিজ দিল। এখন আবার মূল ভুখন্ডের গ্যার রুশ গ্যাজপ্রমকে চড়ামূল্যে দেওয়ার জন উঠে পড়ে লেগেছে। আর রাষ্ট্রীয় বাপেক্সকে কিছু দিবে তা নিয়ে দিব-দিচ্ছি ইদুর বিড়াল খেলছে। আর ঐ দিকে সময় মত গ্যাস-কয়লা উত্তোলনে চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় ২০০৯-১০ সময়ে নতুন কোন স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয় নি। আর বিদ্যুৎ ঘাটতি হ্রাসে ডিজেল ভিত্তিক কুইক রেন্টাল কেন্দ্রর জন্য সরকার বছরে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশী ভর্তূকী দিচ্ছে।
উপরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সহ যোগাযোগ, ব্যাবসা-বাণিজ্য, দেশে ও প্রবাসে কর্মসংস্থান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খাতে র্দূনীতি, সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যার্থ হওয়াতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকার উপর অপচয় ঘটে সব লেজে গোবড়ে হয়ে গেছে। নতুন রাস্তা, সেতু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নির্মিত হয়ই নি বরং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক রক্ষাবেক্ষণ নিয়ে চড়া মূল্যে কাজ করলেও কয়েক মাসের মধ্যেই তা আবার ভেঙে পূর্বের চেয়েও জঘণ্য রুপ নিচ্ছে। ১৬কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের পূর্বেই র্দূনীতির জন্য বিশ্বব্যাংক তার কথা দেওয়া ঋণ স্থগিত করায় এর মূল কাজ শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক স্পষ্ট করে বলছে যে সাবেক যোগযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের(বর্তমানে টেলিমন্ত্রী) সাকো ইন্টারন্যাশনাল এই ঘাপলায় জড়িত কিন্তু হাসিনা জোর গলায় বলছে যে বিগত জোট সরকার নাকি এই র্দূনীতি করে গেছে। দেশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ সমস্যায় কি দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ যথাযথ হয় নি বিধায় বেশীর ভাগই পড়াশোনা শেষে চাকুরী পেতে ব্যার্থ হচ্ছে।
ঐ দিকে লিবিয়াতে সাময়িক গৃহযুদ্ধে ৫০ হাজার বাংলাদেশী ফিরে এলেও সৌদি, আমিরাত, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রডলালের দেশ হতেও আশংকাজনক ভাবে চলে আসছে। দেখা গেছে ২০১০ ও ২০১১ সালে যতনা বাংলাদেশী ঐ অঞ্চলে নতুন চাকুরী নিয়ে গেছে তার চেয়ে বেশী ফিরত আসছে। ভারত-পাকিস্তানতো বটেই সার্কের নেপাল ও শ্রীলংকার যেখানে এই সমস্যা নেই সেখানে বাংলাদেশে এই ঘটনা ঘটলেও সরকারের যথাযথ উদ্যোগ নেই। তার উপর ২০১০ হতে ২০১১র মাঝামাঝির পর বিশ্বমন্দার জন্য রপ্তানি কমে গেছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যায় দিনকে দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১০০ কোটি ডলারের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৯৬০এ নেমে এসে আরো কমতির পথে।
যদিও রপ্তানি ও বিদেশে কর্মসংস্থান আমাদের পূর্ণ আয়ত্বে নেই কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে সীমাহীন প্রচন্ড র্দূনীতি, অনিয়ম, অব্যাবস্থাপনা, সঠিক ও সময়ত সিদ্ধান্ত নিতে বেশীর ভাগ ব্যার্থতার জন্যই দেশের মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য ঘাটতি বেড়ে গেছে ও বেড়ে চলছেই। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক গুলোরতো কথাই নেই বেসরকারী ব্যাংক গুলোও ঋণ দিতে দিতে ভেঙে পড়ার অবস্থা। এখন বিশ্বব্যাংক, আই.এম.এফ সহ কোন দাতা সংস্থাই আর কঠিন শর্তেও ঋণ দিতে চাচ্ছে না। অবস্থা এমন পর্যায়ে যাওয়ার আশংকা যে হাসিনার মহাজোট সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার সক্রিয় চিন্তা করছে;
Click This Link
এই অবস্থা বাংলাদেশে স্বৈরাচার যাকে বিশ্ব বেহায়া বলা হয় তার সময়ও কল্পনা করা যায় নি। তারপরেও হাসিনার গর্জন যে আমার বাপ মুজিব যদি ডলার ছাড়া দেশ চালাতে পারে আমিও পারব।
দেশের মানুষের নাকি তিন গুণ আয় বেড়েছে তাই তারা ৪ বেলা পেট ভরে খাচ্ছে। দেশের সিংহভাগ সাধারণ জনগণ কেমন আছে তা আর উল্লেখ করলাম না। মুজিব ও হাসিনার আমল সমূহকে এক পক্ষ ধরলে অপর পক্ষদ্বয় হচ্ছে বিএনপি ও জাপা। পৃথিবীর তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত বাংলাদেশ রাতারাতি নিউজিল্যান্ড অথবা ফিনল্যান্ডের মত ১০০% র্দূনীতি মূক্ত হবে এটা কেউ বলবে না। তৃতীয় বিশ্বে কম-বেশী র্দূনীতিগ্রস্থ দেশ আছে।
তাই বলে যে দেশে মোটামুটি র্দূনীতি যখন বিশাল আকার তথা হরিলুটের অবস্থায় পৌছে তখন সে র্দূভিক্ষপীড়িত, গৃহযুদ্ধ তথা ব্যার্থ-অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত। হয় মুজিব ও হাসিনার উভয় আমল পূর্বের অবস্থার থেকে যেখানে আরো অগ্রগতি হওয়ার কথা সেখানে আরো পিছিয়ে পরে। বাংলাদেশের মানুষকে হাসিনা সীমাহীন আকাশ-কুসুম(যা ১-২ মেয়াদে সম্ভব নয়) আশা, আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেয় সেটা ২০ কেন ৩০ বছরেও সম্ভব কিনা তা যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ থাকে। আর ক্ষমতায় এসে সীমাহীন র্দূনীতি, অদক্ষতা, ব্যার্থতা দিয়ে পূর্বের অর্জন ধ্বংস করে উন্নতি ঋণাত্নক হয়। কি বিএনপি ও জাপার সময় কম-বেশী র্দূনীতি হয়েছে।
গাছের সাথে সাথে তলারও সব খাবে এই নিয়ে তাদের সময় কোন তৎপড়তা দেখা যায় নি বরং সামান্য অথচ স্বাভাবিক উন্নতিই ঘটেছে। আর হাসিনার আমলে সীমানী উচ্চভিলাসী আশ্বাস-ওয়াদাতো পূরণ হয়ই না বরং সোনার ডিম দেওয়া হাসকে জবাই করে সব কিছুর লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়।
২০০৮ সালে কোন প্রকার ব্যাখ্যা ও সূনির্দিষ্ট বক্তব্য ছাড়াই হাসিনা ও বাকশালী গং বলে বেড়য়া যে তারা এশিয়া অন্তত আঞ্চলিক পর্যায়ে ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটি এমন ভাবে গড়ে তুলবে যে দেশ রাতারাতি মানে ৫ বছরেই সিাঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এখানে ভারতকে ট্রানজিটের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান ও চীনকেও দেওয়ার কথা। এখন চীনতো স্বপ্নেও নয়ই বরং ভুটান ও নেপালও কোন ট্রানজিট পাচ্ছে না এবং ভারত কোন মাশুল দিতে নারাজ! আমাদের নদীতে উজান হতে প্রাপ্য ন্যায্য পানির শুস্ক মৌসুমে যথাযথ প্রাপ্তির কোন খবরতো নেই বরং ভারতকে বিনামূল্যে করিডোর দিয়ে ভারতীয় যানবাহন গুলোকে রীতিমত ভর্তূকি দিচ্ছে;
Click This Link
আপনি ভারত হতে করিডোরের জন্য আমাদের ১৬ কোটি মানুষের ন্যায্য লেভী দাবী করবেন তখন হাসিনার উপদেষ্টা মসিউর বলে এটা নাকি অসভ্যতা।
জিয়ার ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘে ফারাক্কা নিয়ে কথা বলাতে নাকি ভারতকে অপমান করা হয়েছে। মানে আপনি পানি না পেয়ে মরে যান কিন্তু প্রভু ভারতকে বকা যাবে না। আরেক উপদেষ্টা গওহের রিজভী মোহনা টিভিকে এক স্বাক্ষাৎকারে বলছেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যূগোপৎ গিভ এন্ড টেক নাকি ঠিক না। এর কারণে নাকি বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক অগ্রগতি হয় নি;
http://www.youtube.com/watch?v=O3I-p-eBAJE
রিজভীর ভাবখানা এমন যে ভারতের একতরফা লাভ না হওয়ায় নাকি দুই দেশের সম্পর্ক আগায় নি। তারমানে বাংলাদেশ স্রেফ ভারতকে দিয়ে নিজের লাভের আশা যূগ নয় শতবর্ষ ধরে অপেক্ষা ও ভদ্র ভাবে আবদার করবে।
তাতে ভারত স্রেফ মিষ্টি হাসি হেসে আশ্বাস দিবে সেটাকেই তথা তিলকে তাল মনে করে খুশীতে গড়াগড়ি খাবেন। মসিউর ও রিজভী যারা প্রকৃতপক্ষে দিল্লীর সাউথ ব্লক তথা ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা তাদের মতে বিএনপি ভারতের সাথে গিভ-টেক একই সাথে করার জন্য শক্ত দেন দরবার করবে এটা অন্যায়। ঐ মোহানা টিভিরই অপর এক অনুষ্ঠানে আরেক বাকশালী দালাল বলে ভারত আমাদের উপর দিয়ে ট্রানজিট নিচ্ছে এটা নাকি বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার;
http://www.youtube.com/watch?v=MI1ybSHDeac
অথচ সেই ২০০৩ সালেই জানি যে কোলকাতা হতে আসামে একট্রি মালপত্র বোঝাই ট্রাকের ভাড়া হল ৩২ হাজার রুপি এবং ত্রিপুরা ৩৫ হাজার রুপি। আর বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই খরচ হবে ৮ হাজার রুপি। ভারতকে ১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র ৬ মাসের জন্য কোলকাতা সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহারে অনুরোধ করলে তারা জবাব দিয়েছিল ঐ সময় কেন ৬ ঘন্টার জন্যও দেওয়া যাবে না।
আর আমরা এখন নদী, সড়ক সহ দুই বন্দর ভারতকে বিনা পয়সায় ব্যাবহারের সুযোগ দিচ্ছি। আর হাসিনা ও তার বাকশালী অনুসারীদের মত দালাল পেলে ফকির, অভূক্ত ও চরম র্দূনীতিগ্রস্থ ভারত কেন এবং কোন দুঃখে বাংলাদেশকে ন্যায্য করিডোর ফি দিবে? সেই ১৯৯৭-৯৮ সালে একবার এক খবরে পড়েছিলাম জাতিসংঘের খাদ্য অধিদপ্তর এক গবেষণায় বলে যে পৃথিবীর যত লোক দৈনিক অভূক্ত তথা প্রায় না খেয়ে থাকে তার অর্ধেকই নাকি ভারতে থাকে। আর এই বছর জানা যাচ্ছে যে সেই দেশে বর্তমানে ২৫ কোটি ভারতীয় দৈনিক অভূক্ত থাকে;
Click This Link
ভারতের এই অবস্থান বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ। আমাদের অবস্থান ৪৮তম ও ভারতের ৬৭। এমনকি সার্কের পাকিস্তান ও নেপলাও ভারত হতে ভাল অবস্থায় আছে।
আর ভারতের লেখিকা অরুন্ধতী রয় লিখেছেন সে দেশের ৮০ কোটি মানুষের আয় মাত্র ২০ রুপি;
Click This Link
ভারতে বিগত ১৫ বছরে লক্ষাধিক কৃষক ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে আত্নহত্যা করেছে। ভারত যেখানে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিজ দেশের সীমাহীন বোঝা বহনে অক্ষম সেখানে সে সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে কেন করিডোর ও সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহারের জন্য টোল দিবে? তাদের দালালরাতো আছেই। কোন বাংলাদেশী ভারত হতে এই সমস্ত সূনির্দিষ্ট বিষয়ে দাবী তুললেই তাকে ভারত বিরোধী, জামাতি ও পাকিস্তানী আই.এস.আই এর কানেকশন বেড় করে ফেলবে। আমাদের দেশের সুশীল মিডিয়া গুলোও এই নিয়ে যথাযথ হাসিনার সমালোচনাতো দূর এই নিয়ে খবরও তেমন প্রকাশ করে না। পাছে যদি হাসিনা ও ভারতের শ্যেন দৃষ্টিতে পড়ে।
আর অনেকেতো নিয়মিত ভারত হতে খাদ্য হিসেবে হাড্ডিও পায়। তার ওৎপেতে থাকে কখন ভারতের বিমাতা সুলভ আচরণ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে রুখে দেওয়া।
বাংলাদেশের অবস্থা এখন একটু নোংরা ভাবেই বলতে হয়, এর জন্য আমি দুঃখিত! সেই ১৯৮৮ অথবা ১৯৮৯ সালে জগন্নাথ কলেজের নিকট ভিক্টোরিয়া পার্কে সাপুড়ের খেলা দেখছিলাম। সে ভুয়া কবিরাজ হলেও আরকি তাবিজ, সর্প ওষুধ নাম দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য বেচলেও তার একটি কথা আজও মনে আছে। তার বয়স ঐ সময় হয়ত ৪২-৪৫ হবে।
সবাইকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন বক্তৃতার মাঝে এটা বলল যে "রাইতভর শাবানা-ববিতার সাথে মৌজ কইরা সকালে দেখেন তারা কেউবি পাশে নাইক্কা, মাগার আপনের লুঙ্গি ঠিকই ভিজা গেছে..."। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পর্বতসম আশ্বাস এবং ওয়াদা করে তথা মূলা ঝুলিয়ে শেখ হাসিনা জনগণকে এমন নাচ নাচাচ্ছে তাতে জনগণের শরীরের ঘাম ছুটে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা বহমান হয়ে গেলেও জনগণতো যথাযথ উপকারতো পাচ্ছেই না বরং তার অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হতে চলেছে। তবে হাসিনার নিত্য নতুন চাণক্য কথার কোন অভাব নেই। এখন দেখা যাক জনগণ কত এই ডিজিবাকশালী দুঃশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হতে পারে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।