আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়ন্কর সুন্দর প্রকৃতি।

প্রকৃতির আকাশ,বাতাস,সমুদ্র সবজায়গাতেই মাঝ মাঝে অদ্ভুত ভয়ন্কর সুন্দর কিছু জিনিস দেখা যায় যা দেখলে মনে হয় এই প্রকৃতি আসলেই বড় রহস্যময়। প্রকৃতির এই রকম কিছু জিনিসের ছবি দিলাম ছবি দেখুন এবং ভাবুন প্রকৃতি কতই না সূন্দর। সুপার সেল (Super Cell):এক ধরনের বজ্রঝড় যা এর চরিএগত কারনে একে মধ্যবর্তী ঘূর্নিঝড় বলে। এবং এটি অনবরত নিজের উপর ঘুরপাক খেতে থাকে,এবং কিছু কিছু সময় এটি ঘূর্নায়মান বজ্রঝড়ে পরির্বতীত হয়। এই রকম চার ধরনের ঝড় আছে, 1.squall line, 2.multi-cell, ও 3.single-cell।

এর মধ্যে সুপার সেল সামগ্রিকভাবে তীব্র এবং প্রচন্ড শক্তিশালী,সুপার সেল প্রায়ই অন্যান্য বজ্রঝড় থেকে শক্তি সংগ্রহ করে এবং স্হানীয় আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে। ভূ-পৃস্ঠের 32 কিঃমিঃ (22 মাইল) উপরে সুপারসেলকে দুই ধরনের শ্রেনী বিভাগ করা যায় 1.Low-precipitation (LP), এবং 2.High-precipitation (HP).এলপি সুপার সেল জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এবং অনুকুল আবহাওয়ায় এটা বিশ্বের যেকোন স্হানে সৃস্টি হতে পারে,তবে সাধারনত যুক্তরাস্ট্রে এটি বেশী দেখা যায়। অরোরা (Aurora Borealis):এটি উর্ধআকাশে প্রাকৃতিক আলোর খেলা একে বাংলায় মেরু জ্যেতি বলে দুই রকমের মেরুজ্যেতি আছে উওর মেরুর জ্যেতিকে বলে অরোরা বোরিয়ালিস,আর দক্ষিনমেরুর জ্যেতিকে বলে অরোরা অস্ট্রালি aস (Antarctic & Arctic )। উচ্চবায়ুমন্ডলে সূর্য থেকে আগত আধান যুক্ত কনিকা পৃথিবীর দুই মেরুর চৌম্বক ক্ষেএ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বাতাসের অনূরসাথে সংর্ঘষ ঘটায় এবং তখন আকাশ জুড়ে শুরু হয় অদ্ভুত আলোর খেলা।

বেশীর ভাগ অরোরা একটি স্হান থেকে সংঘটিত হয় একে অরোরাল জোন বলে। অরোরাগুলো পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেএ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং এটি চৌম্বকক্ষেএের 10 থেকে 20 ডিগ্রীর মধ্যে থাকে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেএ যখন অস্হির হয়ে উঠে তখন অরোরা গুলি অনেক নিচ পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে। অনেক সময় বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু অরোরা বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পরে,যা খালিচোখে দেখা যায় না। বিক্ষিপ্ত অরোরাগুলো অনেক উজ্জল হয়,এতটাই উজ্জল যে অন্ধকার রাতে এর আলোতে খবরের কাগজ ও পড়া যায়।

আগুন ঝড় (Fire Tornado):একে আগুনের আর্বতন,আগুন শয়তান,বা আগুন ঘূর্নিঝড় বলে। এটি বাতাসের নির্দস্ট তাপমাএা এবং ঘূর্নন গতির কারনে এই রকম আগুন ঘূর্নিঝড় সৃস্টি করে। এটি উলম্বাভাবে ঘূরতে থাকে,এটি জন্গলে দাবানলের সময় মাঝে মাঝে দেখা যায়। এটি ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় নির্দিস্ট এলাকার বাইরে লোকালয়ে চলে আসে,এবং প্রচুর ক্ষতি করে। এইরকম একটি উদাহরন হল 1932 সালে সংঘটিত জাপানের কিন্টো ভূমিকম্প (1923 Great Kantō earthquake in Japan)।

এই ভূমিকম্পের সময় বিশাল একটি আগুন ঝড় সৃস্টি হয়েছিল,এবং মাএ 15 মিনিটের মধ্যে 38,000 মানুষ মারা গিয়েছিল। এই ঝড়ের বিস্তৃতি ছিল জাপানের একটি বড় শহরের সমান,এটি ঘটেছিল টোকিওর হাইফোকুশো আটো,Hifukusho- Ato) এলাকায়। 1926 সালের 7ই এপ্রিল আমেরিকার ক্যালির্ফোনিয়ার সান লুইস এলাকায় একটি তেলের ডিপোতে এই রকম আর একটি আগুন ঝড় সৃস্টি হয়েছিল। এতে দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল,এই আগুনের উপ্তাপে অনেক দুরের বড় বড় গুরত্বপূর্ন স্হাপনা ও ধংস হয়েছিল। ডেথ ভ্যালি (Death Valley ):এটি পূর্ব ক্যালির্ফোনিয়া মোজাভ মরূভূমির মধ্যে অবস্হিত এটি উওর আমেরিকার সবথেকে গরম,এবং শুস্কতম স্হান।

এটি অনেকটা গামলা আকৃতির এটি সমুদ্র পৃস্ট থেকে 282 ফুট (86.0মিটার) নীচে,অবস্হিত (এটি উওর আমেরিকার সবথেকে নীচু ভূমি এর অবস্হান (36° 15' N 116° 49.5' W) । এখানে আমেরিকার পার্শবর্তী সবচেয়ে উচু পর্বত মাউন্ট হুইটিনি (14,505 feet (4,421 m)অবস্হিত। পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে বেশী তাপমাএা রের্কড করা হয়েছিল 1913 সালের 10ই জুলাই তখন তাপমএা রেকর্ড করা হয়েছিল 134 °F (56.7 °C) তখন সেই সময় এটি ছিল বিশ্বরেকর্ড। এখানে অবস্হিত ডেথ ভ্যালি ন্যাশলাল পার্ক এখানে বাতাসের এত জোর যে বড় বড় পাথরকে ঠেলে একস্হান থেকে অন্য স্হানে নিয়ে যায়। ম্যাম্যাটাস মেঘ (Mammatus Cloud):ম্যাম্যাটাস মেঘ আবার একে বলে ম্যাম্যারি মেঘ বা ব্রেস্ট (mammary cloud" or "breast cloud) মেঘ।

এই মেঘে প্রচুর ঝড়বৃস্টি হয়,এগুলো আসলে পূন্জ পূন্জ মেঘের সমস্টি এগুলোকে altocumulus, altostratus, stratocumulus, and cirrus clouds মেঘের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। আবার আগ্নেয় ভস্ম থেকেও এর সৃস্টি হতে পারে। এই মেঘ দেখতে মসৃন অসমান বা পিন্ডময় এবং অসচ্ছ এগুলি একসাথে দলভূক্ত অবস্হায় থাকে। এই মেঘের ব্যাস 1 থেকে 3 কিঃমিঃ এবং লম্বায় প্রায় 0.5 কিঃমিঃ। এর আয়ু 10 মিনিট থেকে 15 মিনিট আবার কোন কোন সময় কয়েক ঘন্টা হতে পারে।

রেড টাইড:এটি দেখতে খুব সূন্দর সাগরের পানি বিশাল এলাকা নিয়ে লাল রং ধারন করে। এটি আসলে মারাক্তক বিষাক্ত,1980 সালে পরিক্ষা করে এটি জানতে পারেন বিন্গানীরা,এটি বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য দ্বারা এগুলো প্রভাবিত হয়। এই রেড টাইডে পৃথিবীর বহু দেশ যেমন-: Argentina, Australia, Brazil, Canada, Chile, Denmark, England, France, Guatemala, Hong Kong, India, Ireland, Italy, Japan, the Netherlands, New Zealand, Norway, New Guinea, Peru, the Philippines, Romania, Russia, Scotland, Spain, Sweden, Thailand, the United States, and Venezuela এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্হ। রেড টাইড শেওলা জাতীয় উদ্ভিদ এবং এগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই বিষাক্ত,এটা এখনো জানা যায়নি কোথা থেকে এই বিষ আসে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।