আজগর হোসেন (ছদ্মনাম) একসময় পোশাকশ্রমিকের কাজ করতেন। গার্মেন্টে চাকরি করাকালীন জড়িয়ে পড়েন এমএসএমে (মেল হ্যাভিং সেঙ্ উইথ মেল)। বছর না ঘুরতেই তিনি হয়ে যান 'রত্না হিজড়া'। বিনা পরিশ্রমে রোজগার করতে পেশা হিসেবে নেন 'চল্লা' (হিজড়ারা চাঁদা তোলাকে 'চল্লা' বলে)। শুধু রত্না নন, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং জেলায় রয়েছেন এ ধরনের শতাধিক কথিত হিজড়া।
তারা হিজড়া রূপ ধারণ করে চালাচ্ছেন বেপরোয়ারা চাঁদাবাজি এবং অপদস্থ করছেন সাধারণ মানুষকে। এমনকি কথিত এসব হিজড়ার কাছে অসহায় আসল হিজড়ারাও। চট্টগ্রামের হিজড়াদের মধ্যে এইডস সচেতনতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ডা. প্রশান্ত দেওয়ানজী। তিনি জানান, "চট্টগ্রামে শতাধিক 'হিজড়া' আছেন, যাদের বাবা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যাদের বাবা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তারা কখনো হিজড়া হতে পারেন না।
কিন্তু তারা হিজড়ার রূপ ধারণ করে চাঁদাবাজি করছেন। " বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নোঙ্গর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ এস এম জামালউদ্দিন রানা বলেন, অনেক পুরুষ 'এমএসএম' হয়েও সহজে আয় করার জন্য হিজড়াদের দলে যোগ দিচ্ছেন। কারণ প্রতিদিন হিজড়ারা প্রচুর চাঁদা উত্তোলন করেন। টাকার লোভে অনেকে হিজড়া রূপ ধারণ করছেন। কথিত এ হিজড়াদের কারণে আসল হিজড়ারা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে আনুমানিক ৩০০-৩৫০ জন হিজড়া রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আসা-যাওয়া করেন এ রকম হিজড়ার সংখ্যাও কমপক্ষে ১০০। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীতে মোট হিজড়ার সংখ্যা ছিল ২০০-২৫০ জন। চার বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়েছে গাণিতিক হারে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নির্মল ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শাহ তামরাজুল আলম জানান, "হিজড়াদের অধিকার আদায়ের জন্য 'কর্ণফুলী হিজড়া সংঘ' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এ সংঘের মাধ্যমে হিজড়াদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি আসল হিজড়া নির্ণয়ের কাজ করা হবে। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।