আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিনাক্সে স্থায়ী হতে পারছিনা শুধুমাত্র লিনাক্স প্রেমীদের জন্যই

বিশ্বাস করেন, আমি আপনাকে ভালবাসি :) প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারন শিরোনামে লিনাক্সপ্রেমীদের প্রতি যে দোষারোপ করেছি তা একান্তই অভিমান থেকে বলা। অভিমান করার যথেষ্ট কারন আছে। গুগল সার্চ দিয়ে পুরনো অনেক টপিক ঘেটেঘুটে দেখলাম ওপেনসোর্স নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা সবাই অনেক হেল্পফুল। লিনাক্সকে ভালবেসে এর প্রচারনা করছেন এবং সবাইকে ওপেনসোর্স জগতে আসতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাদের কথায় উতসাহিত হয়ে আমিও লিনাক্সের জগতে আসাতে আগ্রহী হই এবং চলেই আসি।

কারন উইন্ডোজের পাইরেসির ব্যাপারটা আমারও পছন্দ না। আমি সাধু না কিন্তু আসলেই এ পাইরেসি জিনিসটা আমার পছন্দ না। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা এত পরিশ্রম করে ডেভেলপ করে অথচ সেটা আমরা ব্যাবহার করছি চুরি করে! তারা খুশি হয়ে ফ্রি দিলে সেটা ভিন্ন কথা। আমার এসব সফটওয়্যার কেনার টাকা নাই তাই আমি লিনাক্সে আসতে চাই। কারন এখানে প্রায় সবই ফ্র এবং ওপেনসোর্স।

আমার ল্যাপটপের মডেল HP Pavilion dv6-6c02tx Entertainment Notebook PC . এটাতে প্রিইনস্টলড উইন্ডোজ হোম প্রিমিয়াম দেয়া ছিল। এতদিন ওটাই ব্যাবহার করেছি কিন্তু বারবার রিস্টার্ট,ব্লুস্ক্রীন এবং ক্র্যাশের জ্বালায় ক্লান্ত। তাই উবুন্তু ইনস্টল দিলাম উইন্ডোজের পাশাপাশি। প্রথম দিকে পার্টিশন করে উবুন্তু ইনস্টল করা জানতাম না তাই উইন্ডোজের সাথে alongside ইনস্টল দিলাম। বেশ ভাল লাগল গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসটা এককথায় দারুন লাগল।

আর ছোটখাটো কমান্ড দিয়ে কাজ করতে মজাই লাগত। এগুলা শিখে নেয়াটাও বেশ কঠিন কিছু না। কিন্তু সমস্যাটা অন্যজায়গায়। আমার ল্যাপটপে যে গ্রাফিক্স কার্ড দেয়া আছে তার মডেল AMD Radeon HD 7690M XT কিন্তু উবুন্তুতে এর ড্রাইভার ইনস্টল হয় না। অনেকে বলেন যে লিনাক্সে ড্রাইভার লাগে না, অটোমেটিক ডিটেক্ট করে ওপেনসোর্স ড্রাইভার ইনস্টল করে।

তবে আমি গ্রফিক্স কার্ডটার ব্যাপারটায় কনফিউজড। বড় করে দেখতে ১.এখানে উপরে দেখা যাচ্ছে যে একটা ড্রাইভার ব্যাবহার করছে। অর্থাৎ আমার গ্রাফিক্স কার্ডটা চালু আছে। নয়ত ১৫.৬ ইঞ্চি ল্যাপটপে এত ভাল রেজিল্যুশন পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু আমার বিল্টইন গ্রাফিক্স Intel(R) HD graphics 3000 কি উবুন্তু পেয়েছে? ২. উবুন্তুতে ব্রাইটনেস কমানোর কোন উপায় দেখছিনা।

ব্রাইটনেস সেটিং এ গিয়ে ব্রাইটনেস কমাচ্ছি ঠিকই কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। যা ছিল তা-ই। হট কি দিয়ে কমালেও যা ছিল তা-ই থাকে। এরকম ব্রাইটনেস দিয়ে ল্সযাপটপের সামনে বসে থাকা ত কোনমতেই সম্ম্ভব না। চোখে অসম্ভব জ্বালা করে।

৩. আরেকটা সমস্যা হল উবুন্তুতে ল্যাপটপ অসম্ভব গরম হয়ে যায়। কারনটা ঠিক বুঝতেছিনা। উবুন্তু উইন্ডোজের চেয়ে অসম্ভব কম রিসোর্স ব্যাবহার করে তবুও এত গরম হওয়ার কারন কি? অবশ্য উইন্ডোজে HP Coolsense নামে একটা সফটওয়্যার আছে সেটা ব্যাবহার করছি। ঠান্ডা যদি এটার কারনেই থেকে থাকে তাহলে উবুন্তুতে এটা ব্যাবহার করার উপায় কি? ৪. আরেকটা সমস্যা হল চার্জ না থাকা। উবুন্তুতে ল্যাপটপের ব্যাটারী দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

উইন্ডোজে যেখানে চর পাঁচ ঘন্টা ব্যাকাপ দেয় সেখানে উবুন্তুতে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘন্টা ব্যাকাপ !! এর কারন কি? আমার ল্যাপটপে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নামে একটা হার্ডওয়্যার আছে। মনে হচ্ছে এটা উবুন্তুতে চালানো সম্ভব হবে না। এই জিনিসটা এতই উপকারী যে বলে শেষ করা যাবে না। তবুও উবুন্তুর জন্য এটা বিসর্জন দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু উপরের উপরের গুরুত্বপূর্ন চারটা সমস্যা সমাধান না করা পর্যন্ত কিছুতেই উবুন্তু ব্যাবহার করা সম্ভব হবে না।

এতদিন অরিজিনাল উইন্ডোজ থাকার কারনে তেমন একটা উচ্চবাচ্চ্য করি নি। অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছি কিন্তু কেউ সমাধান দিতে পারে নি। একারনেই লিনাক্সপ্রেমীদের প্রতি আমার এ অভিমান। কিন্তু আমার উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে এ ব্যাপারটা সমাধান করা জরূরী। বড় কথা হল উবুন্তু ইনস্টল দিতে গিয়েই আমার অরিজিনাল উইন্ডোজ খেয়ে ফেলেছি এখন পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যাবহার করছি কিন্তু একদমই শান্তি পাচ্ছিনা।

সত্যি কথা বলতে নিজেকে আসলেই চোর চোর লাগছে। কিন্তু উইন্ডোজ কেনার মত পয়সা আমার নেই। একারনে উবুন্তুতে স্থায়ী হতে চাইছি। আর এজন্য উপোরোক্ত চারটি সমস্যা সমাধান করা দরকার। লিনাক্স প্রেমী কেউ আছেন সাহায্য করার জন্য? আমিও আপনাদের সঙ্গি হতে চাই।

এত টেকনিকাল জ্ঞান না থাকলেও প্রয়োজনীয় বেসিকটুকু শিখে নিতে পারব ইনশাল্লাহ। আপডেটঃ ব্যাটারির ব্যাকআপ এবং গরম সমস্যার একটা সমাধান পেয়েছি। আর সেটা হল আমার এ এমডির গ্রাফিক্স কার্ড ডিজেবল করে দেয়া। আর তার জন্য এই লিংক বিশেষ সহযোগিতা করেছে। ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল গ্রাফিক্সকে পাওয়ার সেভিং মোডে নিয়ে ব্রাইটনেস কমানোর উপায়ও আছে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান আগেই পেয়েছিলাম প্রজন্ম ফোরামের অরিহন্ত ভাইয়ের কাছে।

সারিম ভাই,জাহিদ ভাই এবং শিপলু ভাইও অনেক সহযোগিতা করেছেন। লিংক গুগলে সার্চ মেরে পোস্টে আসা কারো হয়ত কাজে লাগতে পারে তাই আপডেট করে দিলাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.