পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! বামপন্থির বিপরীত বলতে সচরাচর ডানপন্থি শব্দটি ব্যবহার করা হলেও মূলত ডানপন্থি নামে প্রচলিত কোন গ্রুপ নেই। তবে ডানপন্থি বলতে যা বুঝানো হয় তাহল সত্যপন্থি বা সত্যেরসন্ধানী। বামহস্ত/বামহাত/বাঁহাত=যা ব্যবহৃত হয় শৌচাকরণে বামহাতের আয়= যাকে ঘুষ বা উপরি আয় বলা হয়ে থাকে তাহলে বামপন্থি কি? ‘ব’ ব–বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জনার্থক ত্রয়োবিংশ, অল্পপ্রাণ ওষ্ঠ্য স্পৃষ্ট ‘ব্’-ধ্বনির বর্ণরূপ। এটি শব্দের শুরুতে, শেষে অথবা মধ্যে বসে বিভিন্ন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে। তবে গঠনকৃত শব্দের বেশীরভাগই এইরুপঃ বকবক, বকবকানি, বকলম, বকুনি, বক্র, বজ্জাত, বজ্জাতি, বধির, বধিরতা, বধিরত্ব, বনাশ্রিত, বনাশ্রয়, বন্ধ্, বমি, বরখান্তি, বরখাস্ত, বরখেলাপ, বরদাস্ত, বরবাদ, বর্জ, বলাত্কার, বহির্ভূত, বাউণ্ডুলে, বাজে, বদ,বদমেজাজী, বদনাম, বদমাইশ, বলি, বাধা, বানর, বেবাক, বেমানান, বেখবর, বেয়াদব, বুদ্ধিহীন, বিবেকহীন, বলদ, বেঈমান, বাদর, বাসি, বাউল, বামুন, বাকর, বাসটার্ড, বিভ্রাট, বিদ্রোহী, বখাটে, বুরজর্গ, বিলীন, বিমার, বেসমান, বেজায়, বিক্রি, বলদকার, বলি, বুহ্য, বেকার, বিকৃত, বিস্মৃত, বিদারক, বেহায়া, বিকারগ্রস্থ,বহিরাগত, বহিস্কৃত, বিহার,বাতিল, বাতুলতা, বিলাসিতা, বশীকরণ, বৈপরীত্য ইত্যাদি। (তাহলে কি এসবই বামফ্রন্ট বা বামপন্থির মূলমন্ত্র?) গুণবাচক শব্দঃ বুদ্ধি-বিনম্র-বিনয়-বিশাল-বৃহৎ-বদান্যতা-বিজ্ঞান-বিজ্ঞানী-বৈজ্ঞানিক-ইত্যাদি। বামপন্থি বলে যে দু'একটা ভাল গুণ থাকবে না তা তো হতে পারে না। চরিত্রের মধ্যে এমন দু'একটি গুণাবলী না থাকলে তাদের আর উহাদের (যারা জঙ্গলে বাস করে) মধ্যে পার্থক্য কোথায়? এই দু'চারটে গুণের কারণেই এখনো মানুষ শ্রেণীর মধ্যে গণ্য করা হয় নয়ত হোমোস্যাপীয়ান গোত্র থেকে বহিস্কৃত করে হিউম্যানিটির হিউম্যার উচ্ছেদ করে স্বগোত্রের সান্নিধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।