অনেকেই দেখি অভিযোগ করেন, মাসের পর মাস ওয়াচে আছেন, সেফ হতে পারছেন না। নিতান্তই সহজ ব্যাপার সেফ হওয়া।
এতো এতো ঘটনা ঘটে গেল, আর ব্লগে সেফ হওয়া তো মামুলী ব্যাপার।
কি কি ঘটে গেল, আসুন ২-১টা সেম্পল দেখি।
দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে গেছে
ঢাকায় ৭নং রুটে আমার তিনটি বাস চলাচল করে।
প্রায়ই বাসগুলো অ্যাক্সিডেন্ট করতো, পুলিশ কেস হতো। দুর্ঘটনা এড়াতে ড্রাইভিং সিটের পাশে মাটির ব্যাংক রাখলাম। ড্রাইভারদের বলে দিলাম প্রথম ও শেষ ট্রিপের পর নির্দিষ্ট টাকা ব্যাংকে রাখতে। এতে করে দুর্ঘটনার পরিমাণ একেবারে কমে গেল। ক্ষতির পরিমাণ আগে ১০/১৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতো।
কিন্তু স্রষ্টার করুণায় এখন তা ১/২ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। বাসে রাখা মাটির ব্যাংকে এখন যাত্রীরাও দান করেন।
আফরোজা বেগম
নিয়তের বরকত বহুগুণ
১৯৯৮ সালে উত্তরার ফ্ল্যাটটি কিনেছিলাম ১৮ লক্ষ টাকায়। গত ২ বছর ধরে বিক্রির চেষ্টা চলছিলো। বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে না দেখে নিয়ত করলাম ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলে মাটির ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা দেবো।
৭ দিনের মধ্যে ফ্ল্যাটটি ৩৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে গেল এবং পুরো টাকা ক্রেতা একবারে পরিশোধ করলো। শুধু তা-ই নয়, ফ্ল্যাট বিক্রির ১৮ লক্ষ টাকা দিয়ে উত্তরায় ৩ কাঠার একটি প্লট কিনেছিলাম। বর্তমানে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা।
নাজমা বেগম
গৃহিণী
পাশ করেই চাকরি
ছোট মেয়ে বুয়েট থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে কানাডায় এমএস করেছে। সেখানকার এক প্রতিষ্ঠানে ৩ বার ইন্টারভিউ হলো কিন্তু আর কল করছে না।
মেয়েকে বললাম, নিয়ত কর, চাকরি পেলে বেতনের আড়াই ভাগ মাটির ব্যাংকে রাখবে। ৩ দিন পর আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে জয়েনিং লেটার এলো। পাশ করার দেড় মাসের মাথায় চাকরি এবং বেতন প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। মেয়েজামাইও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, পিএইচডি করেছে। মাটির ব্যাংকে তারও বেতনের আড়াই ভাগ মানত ছিলো।
কিছুদিন পর সে ২০০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে নির্বাচিত হলো, যোগদান করলো আইবিএম-এর টরেন্টো অফিসে।
অধ্যাপিকা হাসিনা ফেরদৌস বানু
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, অর্থনীতি, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ
চোখের অপারেশন করাতে হয় নি
দেড় বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। ডান চোখের নেত্রনালীর ছিদ্র প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। চক্ষু বিশেষজ্ঞ বললেন, একমাত্র সমাধান অপারেশন। কিন্তু এতে মন সায় দিচ্ছিলো না।
কারণ ডাক্তারের মতে, অপারেশনে ভালো হতে পারে, আবার না-ও পারে। আমার বিশ্বাস ছিলো যে, অপারেশন ছাড়াই নেত্রনালীর ছিদ্র খুলে যাবে। প্রতিমাসে জালালি হিলিংয়ে নাম দিতাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমার চোখ এখন সম্পূর্ণ ভালো।
ইব্রাহীম খলিল
ব্যবসায়ী, ১৩৯ ব্যাচের গ্রাজুয়েট
বোন রোগমুক্ত হলো
বাড়ি থেকে খবর এলো বোনের মেডিকেল রিপোর্টে যক্ষা ধরা পড়েছে।
ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু তারপরও বোনের স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। কর্মসূত্রে দূরে থাকায় প্রার্থনা করা ছাড়া আমার কিছু করার ছিলো না। ফাউন্ডেশন অফিসে এসে হিলিংয়ে নাম দিলাম। দাওয়া ও দোয়ার বরকতে আমার বোন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো।
নিরুপম সিংহ
সহকারী প্রকৌশলী, চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড, ২৪৩ ব্যাচের গ্রাজুয়েট
দূরদেশেও কাজ করে
কানাডা প্রবাসী বড় মেয়ে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বমি, ডায়রিয়া। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলো। ডাক্তাররা বাড়ি নিয়ে যেতে বললেন। কিন্তু শরীর খুব দুর্বল, বালিশ থেকে মাথা পর্যন্ত তুলতে পারছে না।
সেদিন মেয়ে জামাইয়ের পিএইচডি বিষয়ক একটি কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার কথা। আমাকে ফোন করে বললো হিলিংয়ে নাম দিতে। অপরপ্রান্তে শুনছি, ৫ বছর বয়সী নাতিও বলছে, তার পেটে ব্যথা। বাসায় আর কেউ নেই। দূরে থাকায় মা হয়েও আমি কিছু করতে পারছি না প্রার্থনা করা ছাড়া।
সাথে সাথে মাটির ব্যাংকে মানত করে হিলিংয়ে নাম দিলাম। রাতে জামাই আবার ফোন করে বললো, সকালে আমার সাথে কথা বলার ১০/১৫ মিনিট পরেই মেয়ে নাকি শোয়া থেকে উঠে বসেছে। নাতিও আর পেটে ব্যথার কথা বলে নি। তাদেরকে কিছুটা সুস্থ হতে দেখে সে-ও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছে।
শ্রীমতী আশা রানী দেবী
রাজশাহী প্যারামাউন্ট স্কুলের শিক্ষিকা, ১৮৭ ব্যাচের গ্রাজুয়েট
---------------------------------------------------------------------------
এই সেই মহা পরাক্রমশালী মাটির ব্যাংক।
আপনারাও নিশ্চয় একমত হবেন, সেফ হওয়ার জন্য মাটির ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
সেফ হওয়ার মানতে নিয়মিত মাটির ব্যাংকে ১০ টাকা করে জমা দিন। গুরুজী চাহে তো আপনি অতি সত্বর সেফ হবেন।
যদি সেফ না হোন, তবে ব্যাংক ভেঙে আপনার টাকা আপনিই ফেরত পাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।