কেএফসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই তারা ধারালো ব্লেড দিয়ে একটি তাজা মুরগির ঠোঁট কেটে ফেলে! এরপর জীবন্ত মুরগিটি একটি গরম পানির ড্রামের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়! এই স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক গরম পানির ড্রামটি মুরগির পালক, নাড়ি ও অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করে। এ সময় মুরগি গরম পানির মধ্যে সাঁতরায় বাঁচার জন্য। মান ধরে রাখতে কেএফসির সব আউটলেটে একই প্রক্রিয়ায় মুরগি হত্যা করা হয়। পরিবেশবাদীদের দাবি, একটি জীবন্ত মুরগিকে যখন গরম পানির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তখন পর্যন্ত মুরগিটির প্রাণ থাকে। এটা নির্মম।
পশু বা পাখিকে এভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা অন্যায়। উল্লেখ্য, কেএফসি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান পশু অথবা মুরগিকে খাদ্য তৈরির জন্য এভাবে প্রস্তুত করে না। যোগাযোগ করা হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর বলে জবাই না করলে সেই মুরগি খাওয়া হালাল হবে না। গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, পশু-পাখি সুন্নত তরিকায় জবাই করতে হবে। ধর্মীয় বিধান মেনে জবাই না করলে তা খাওয়া হারাম হবে।
রামপুরা মুহাম্মদীয়া দারুল উলুম জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুতীউর রহমান বলেন, জবাই সম্পর্কে ইসলামী বিধান রয়েছে। তা অনুসরণ করা ছাড়া জবাই হালাল হবে না। আর যা হালাল হবে না তা ভক্ষণ করা সর্বাবস্থায় হারাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।