অনেক আগে Oldboy মুভিটি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আজ ঐ মুভির মতই আরেকটি নির্মম, বীভৎস আর গা শিউরে ওঠা মুভি নিয়ে লিখবো। Oldboy মুভির সাথে এই মুভিটাও রিলেটেড!
কারন Oldboy এর নায়ক Min-sik Choi এই মুভির সাইকো ভিলেন! :O সেইসাথে গা শিরশির করা আর মনে ভয় ধরানো রিভেঞ্জ তো আছেই!
আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে Oldboy এর স্টোরিলাইন এটার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী, কিন্তু Oldboy থেকে এটার স্নায়বিক চাপ অনেক বেশি! সারাক্ষন একটা মেন্টাল স্ট্রেসের মধ্যে থাকতে হয়!
বরাবরের মতই Min-sik Choi এর অভিনয় ভাল লেগেছে, সেইসাথে মুভির নায়ক Byung-hun Lee এর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
আগেই বলে রাখছি এটা ১৮+ক্যাটাগরীতে পড়ে। যাদের হার্ট দুর্বল এবং ভায়োলেন্সে এলার্জি আছে, তাদের এই মুভিটি না দেখাই ভাল।
এই মুভিটি দেখতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় আমি মনিটর অফ করে দিয়েছি; দৃশ্যের ভয়াবহতা, বীভৎসতা আর নৃশংসতা সহ্য করতে না পেরে!
১৪১ মিনিট রানটাইমের এই মুভিটি IMDB রেটিং এ 7.8 পেয়েছে। রিলিজের আগে কোরিয়ান মিডিয়া রেটিং বোর্ড ভায়োলেন্সের কারনে মুভির পরিচালক Jee-woon Kim কে মুভিটি রিকাট করতে বাধ্য করে। তা না হলে তারা এই মুভিটিকে “রেস্ট্রিক্টেড” রেটিং দিত এবং সিনেমা হলে রিলিজ পাবার সুযোগ পেতনা! তবে আমেরিকাতে আনকাট অবস্থাতেই রিলিজ দেওয়া হয়।
অনেক প্যাঁক প্যাঁক করলাম অথচ মুভির নামটাই বলা হয়নি!
“I Saw The Devil”
Choi Min-sik ভয়ংকর এক সাইকো কিলার। যে একের পর এক অল্পবয়সী এবং তরুণী মেয়েদের ধরে এনে রেপ করে ঠান্ডা মাথায় নির্মম, নিষ্ঠুর আর বিকৃত উপায়ে হত্যা করে কোন কারন ছাড়াই! এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছিলো অনেকদিন ধরে কিন্তু পুলিশ তাকে ধরতে পারছিলনা অনেক চেষ্টা করেও।
নির্জন অন্ধকার রাস্তায় এক মেয়ের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। Choi Min-sik মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় তার আস্তানায়। তারপর বিভিন্নভাবে টর্চারের এক পর্যায়ে মেয়েটি বলে, প্লীজ আমাকে মেরোনা। আমি প্রেগন্যান্ট! মুহুর্তের জন্য সাইকো কিলার বিহ্বল হয়ে যায়। কিন্তু না...পর মুহুর্তেই খন্ড খন্ড করে মেয়েটিকে মেরে ফেলে।
তবে এবার ই প্রথম সবচেয়ে বড় ভুল করে বসে Choi Min-sik। কারন যে মেয়েটিকে সে খুন করে, সে ছিল এক সিক্রেট এজেন্ট Soo-hyun এর ফিয়াসে এবং ঐ শহরের ই সাবেক পুলিশ চীফের মেয়ে!
Soo-hyun প্রতিজ্ঞা করে খুনীকে খুজে বের করে নিষ্ঠুর ভাবে শাস্তি দিবে। দুই সপ্তাহের ছুটি নেয় অফিস থেকে। পুলিশের আগেই খুনীকে ধরে শাস্তি দিতে চায় সে।
অবশেষে Soo-hyun খুনীকে খুজে পায়।
প্রচন্ড মারের এক পর্যায়ে সে খুনীকে ছোট ক্যাপসুলের মত একটা জিপিএস ট্রাকিং ডিভাইস (সাথে মাইক্রোফোন এ্যাটাস্ট) গিলে খেতে বাধ্য করে। এবং আহত অবস্থায় রেখে চলে যাবার সময় সে খুনীর কাছে অনেক টাকা রেখে যায়, যাতে সে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সুস্থ্য হতে পারে।
ভাবছেন রিভেঞ্জ শেষ! কেবল শুরু হল! প্রবাদে আছে, “revenge is a dish best served cold”!
আক্ষরিক প্রতিফলন দেখা যায় এর পর থেকে। শিকারী পরিণত হয় শিকারে।
প্রতিটা শিকারকে ধরার কিছুক্ষনের মধ্যে Soo-hyun পৌছে যায়, খুনীর কাছ থেকে শিকারকে কেড়ে নিয়ে আচ্ছামত ধোলাই দিয়ে মুমুর্ষু অবস্থায় আবারো ছেড়ে দেয়!
একটা পর্যায়ে না পেরে সাইকো খুনীটা স্বগতোক্তি করে ওঠে-“He’s a fucking Pschycho”!!!
যদি ভেবে থাকেন সিনেমাটি আয়েশ করে বসে দেখবেন আর উপভোগ করবেন, মস্তবড় ভুল করবেন!
অসহনীয় রক্তপাত, গা শিরশিরানি রিভেঞ্জ, গা গুলিয়ে ওঠা ভায়োলেন্স...আপনাকে আরামে বসে মুভিটি উপভোগ করতে দিবেনা!
যদিও ভায়োলেন্সে ভরপুর, হ্যাপি এন্ডিং নেই, মুভিটির স্টোরীলাইনে বেশ কিছু গলদ আছে কিন্তু সিনেমাটোগ্রাফি তার অনেকখানিই পুষিয়ে দিয়েছে।
নেগেটিভ দিকগুলি নিয়ে এখনই বলতে চাইছিনা!
আশা করি মুভিতেই বাকিটুকু দেখে নিবেন।
ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। সাবটাইটেল মুভির সাথেই এমবেডেড করা আছে তাই আলাদাভাবে ডাউনলোড করতে হবেনা।
ফাইল সাইজঃ ৭৫০মেগা/ব্লুরে রিপ/MKV
পার্ট ১-
পার্ট ২-
পার্ট ৩-
পার্ট ৪-
পার্ট ৫-
***বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ বেশ আগে কয়েকটি মুভি নিয়ে প্রিয় ব্লগার নাফিজ মুনতাসির ভাই ছোট ছোট রিভিউ দিয়েছিলেন, তারমধ্যে এটিও ছিল। আমার হার্ডিতে মুভিটি পড়েছিল অনেকদিন, উনার রিভিউ পড়েই দেখা হল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।