ডুল্যান্সার বর্তমানে প্রযুক্তি প্রিয় বাংলাদেশীদের কাছে একটা বড় আকারের আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, কিন্তু অনেকেই জানে না যে এরা কিভাবে কাজ করায় এবং টাকা দেয়, অনেক বস পাবলিক হয়তো ভাবছেন যে এরা হয়তো গুগলের এ্যাড এ ক্লিক করিয়ে পয়সা দেয়। আমি আজ এই বিষয়টা যতটুকু জানি তা আপনাদের কে জানাবো, ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন!
ফাউ কিছু বয়ান:
আমি কিছুদিন আগে একটি কম্পিউটারে+স্টুডিও দোকানে গিয়ে উক্ত দোকানের মালিকের সাথে কথা বলতে বলতে একজন বলে উঠলো , ভাই, আপনি নাকি ফ্রিল্যান্সিং করেন, আমি বল্লাম যে মাঝে মাঝে করি. সেই ছেলে বল্ল ভাই, আমিও ফ্রিল্যান্সিং করি, তা আপনি ডুল্যান্সারে কবে জয়েন করেছেন?
আমি তো টাশকি খাইয়া কইলাম যে ভাই, আমি ওডেস্কে কাজ করি।
এই রকম অনেক ডুল্যান্সার এর সদস্য আমাকে অনেক জায়গায় এমন কথা বলেছে, কিছুদিন আগে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই তো ফ্রিল্যান্সারেদের নামে অনেক বাজে কথা বল্ল, বললো যে যারা ওডেস্কে কাজ করে তারা নিজেদেরকে অনেক বড় ভাবে,, আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি, কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ওদের থেকেও বেশী বড়লোক হয়ে যাব, উক্ত কথা শুনে আমার কিছু ক্লাসমেট রেগে গিয়ে ওকে মারতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি নিষেধ করলাম। যাইহোক অনেকেই জানেনে না ওদের আয়ের আসল উপায়। আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শুধু এই কথাটায় জানাতে চাচ্ছি যে ডুল্যান্সারে যারা কাজ করেন, তারা প্রকৃত পক্ষে কোন কাজই করে না।
এবং তারা সবাই একটা বড় বিপদে আছেন, শিঘ্রই তারা সবাই ধরা খাবে!
মূল কথা/আয়ের পদ্ধতি:
এরা(ডুল্যান্সারে যারা কাজ করে) আসলে পাবলিকের এ্যাড(যেমন গুগল এ্যাড) এ ক্লিক করে না. আমিও আগে ভেবেছিলাম হয়তো এরা গুগল এর এ্যাডে ক্লিক করে। কিন্তু পরে একজন সদস্যের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে ,এদের নিজস্ব একটা ক্লিক এপ্লিকেশন আছে, সেখানে বিভিন্ন লিংক আসে, ৩০-৬০ সেকেন্ড পরপর, তার পর সঠিক উত্তরে ক্লিক মারতে হয়।
যেমন: আপনি পেজ রিফ্রেশ করার পর একটা লিংক পেলেন, ৪৫সেকেন্ড পর একটা মাল্টিপল প্রশ্ন আসবে: সঠিক উত্তরে ক্লিক করলেন, পাবেন ০.০১ডলার। এভাবে ১০০টা করে প্রতিদিন ক্লিক মারতে হবে।
আসলে এটার মালিক বানিয়েছে এই জন্য যে পাবলিকের কাছ থেকে টাকা মারবে, তাই, যেমন প্রথমে যে জয়েন করলো ৭০০০টাকা দিয়ে সে একমাসের মধ্যে আরও ৫ জনকে জয়েন করাবে, ফলে কম্পানি পাবে ৩৫০০০টাকা, কিন্তু উক্ত একজনকে এক মাসে দিবে মাত্র 2100+(700×5)=5600টাকা, এখান থেকে কম্পানি লাভ করলো ১ মাসে ২৯৫০০টাকা।
এই ভাবে MLM পদ্ধতি ব্যবহার করে জনগনের কাছ থেকে টাকা আয় করছে এই প্রতিষ্ঠান,
প্রকৃত ভাবে যে কাজ এরা করায়, সেখান থেকে কোন আয় ই আসে না, কিন্তু ওদের মূল উপার্জনের পথ হলো MLM পদ্ধতি ব্যবহার করে পাবলিক জয়েন করিয়ে টাকা আয়।
এই ধরনের কোম্পানিতে যারা প্রথম দিকে জয়েন করে,তারা বেশ লাভবান হয়, কিন্তু যারা দেরিতে জয়েন করে তারা ধরা খায়। যেহেতু এরা MLM পদ্ধতি ব্যবহার করছে, সেহেতেু এদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির হার দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। ফলে দেখা যায় যে প্রায় ৮০% সদস্যই এখান থেকে ঠকে যায়, এবং ধরা খায়, বাকি যারা ২০% লাভ পেয়েছে, তাদের ও প্রায় ১০% পাবলিকের হাতে মার খায়। অথ্যাৎ এই ১০% পাবলিক কে নতুন জয়েনকৃত পাবলিক গন মার দিবে তাদেরএই চিটারী কাজের জন্য।
কিন্তু কম্পানি তো হাওয়া হয়ে যায়। ফলে বেশী মুনাফা অর্জন করে এই কম্পানির মালিক!
উপসংহার: যারা ডুল্যান্সার করছেন, একবার ভেবে দেখবেন, যদি সত্যিই আপনারা ওই শেষের ১০% পাবলিকের ভিতরে পড়ে যান, তাহলে কিন্তু খবর আছে
collected ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।