বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে পাচটাকা দিলি ক্যান?এ্ইটাতো একটার দাম
কৃত্রিম অথচ উন্নত বক্ষদ্বয়ের প্রতি আমার এহেন অবিভাজন নীতি যে নিরপেক্ষতা হারিয়ে পক্ষপাতিত্বে রূপ নিচ্ছে তা উপলদ্ধি মাত্র আরো পাচটাকা খসাতে হলো। প্রতিটির জন্য পাচ টাকা। এরকম অযাচিত বিনোদনে যখন পাটুরিয়ার দীর্ঘ জ্যাম ভুলছিলাম তখন আবারও অযাচিত আক্রমনের শিকার, আবারো বিনোদন, তবে এবার অন্য গ্রুপ। ততক্ষনে গাড়ি ফেরিতে উঠে গেছে। চাহিবামাত্র বাহককে অর্থ প্রদান না করায় আমাদের ড্রাইভারের সাথে বচসার ফলস্বরূপ নিমাঙ্গের বস্ত্র উতপাটন পুরোটা উন্মোচিত হওয়ার আগেই আশে পাশের জনা বিশেক দর্শকের নির্মল বিনোদনে পানি ঢেলে পরিবেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলাম।
পাটুরিয়া ঘাটেতো একদলরে দিলাম। আবার কেন?
- হেরাতো তোগো ভাতার লাগে তাই দিছস, আমগো দে? সবকি খুইল্লা কমু....
- উরিব্বাস, দশটাকার সাথে আরো দশটাকা যোগ আপাত সমস্যার সমাধান করা গেল। নিচের দিকে রেট বেশি.....এবঙ সেটাই স্বাভাবিক
হাতিবাজ
খুলনার ফুলতলা অতিক্রমের সময় অতিকায় হাতির বামন সংস্করণটি দেখে লোভ সামলাতে পারলামনা। যেইনা ক্যামেরায় ক্লিক করতে যাব অমনি বনেটের উপর পেল্লাই এক বাড়ি। যার মর্মার্থ হল, তিনি চাদাবাজির মতো মহান কাজে ব্যস্ত, ক্যামেরার কারসাজি করতে গিয়ে অযথাই তার দেরি করিয়ে দিচ্ছি, দিলাম আরো দশ।
শ্রমিকবাজ
যশোরের অভয়নগরের কাছে দেখলাম ট্রাকের বিশাল লাইন। কেউ একজন প্রতি ট্রাক হতে গোলাপী রংয়ের একটা স্লিপের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন। ঢাকা টু খুলনার পথে প্রান্তরে এতবেশি টোল আর চাদাবাজির শিকার হতে হয়েছিল যে আমার ড্রাইভার আগেই বিশটাকা হাতে নিয়ে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছিল।
:ফাইজলামী করেন?
তব্দা লেগে গেল। চাদাবাজরা চাদা নিচ্ছেনা।
এ কোন মগের মুল্লুকে এসে পড়লাম। ড্রাইভার অবশ্য দ্রুত ধরায় ফিরে আসায় হুশ করে বের হয়ে গেল। এখনে শ্রমিকনেতারা শুধু ট্রাক থেকেই তোলা তুলছিলেন। আমাদের মতো মাইক্রো, প্রাইভেট কার অনারা গোনায় ধরেননা। তাই আমাদের টাকা প্রদান করাটা অনাদের আহতই করেছিল।
যাকা বাবা, চাদাবাজি করে বলে নীতিটাতো এখন বিসজর্ন দেয়নি।
পথে প্রান্তরে এভাবে নিজেরা এবং অন্যদের চাদাবজির শিকার হতে দেখেছি। কিন্তু একমাত্র শ্রমিক লীগ ছাড়া অন্য কাউকে রশিদ দিতে দেখেনি। শ্রমিকলীগের এই যে নিয়ম মানার চেষ্টা, গ্রাহককে তার প্রাপ্য রশিদ বুঝিয়ে দেয়া, এটা বেশ আশান্বিত করেছে। আহা কি স্বচ্ছতা, সবাই যদি এমনটি করতো তাহলে দেশ কোথায় এগিয়ে যেত? গ্রাহকের সেবার জন্য অর্থ নিব কিন্তু প্রাপ্তি স্বীকারপত্র অথবা রশিদ দিবনা এরকম অরাজকতা দেশে হরহামেশাই দেখা যায়।
ব্যাতিক্রম শুধু শ্রমিক লীগের ট্রান্সপারেন্ট ভাইয়েরা। হয়তো পুর্বসূরী শ্রমিকদলের ভাইদের কাছ থেকে এমন মধুর স্বভাব পেয়েছে। হারামজাদা হাতি আর মান্যবর হিজড়ারা কবে গ্রাহককে তার প্রদেয় অর্থের বিপরীতে রশিদ দেয়া শিখবে?
দেৌলতদিয়া ঘাটে আবারো তাদের খপ্পরে পড়লাম। এবার কোন ক্যাচাল না করে সরাসরি দশ টাকা দিয়ে দিলাম। তবে মিনমিনে কন্ঠে রশিদ চাইতেই ......রশিদতো নাই, রশিদের বদলে ্গা দেহাই.........
ধরণী দ্বিধা হয়।
এত বেশি স্বচ্ছতা না আবার গ্রাহকদের বিব্রত করে।
অ.ট.- হিজড়ারা দুমুঠো ভাতের জন্য নিন্দনীয় হলেও চাদা তোলার মতো খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ বা শ্রমিক নেতাদের তো সে সমস্যা নাই। তাহলে কেন তারা এরকম নিন্দনীয় পেশায়। এর উত্তর হতে পারে তারা হয়তো শারীরিকভাবে হিজড়া নয়, তবে মানসিকভাবে তারা হিজড়ায় পরিণত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।