জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ তে প্রচুর New Year Wish পেয়েছি, প্রায় সব গুলোই গতানুগতিক, সবাই যেমন পেয়েছে ঠিক তেমনি, অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে শেষে Happy New Year লিখা ছিল বিভিন্ন উপায়ে। কিন্তু একটা পেয়েছি একটু ব্যতিক্রম ছিল, সেটা হুবহু নিচে তুলা ধরলাম,
Dear muslim
have You ever seen.
=A chirstian fasting on the day of Ramadhan.
= A hindu slaughter Animal on Eid -ul-adha.
=A jew celebrating Eid-ul-fitr.
So why we muslims always celebrate chirstian calendar. New
year, valentine days, April
fools, Dipavils/,Holi (hindu
festivals) chirstmas and much more.
Please muslims Brother & sister. Just think
with open mind. Please think.
Share this message to All the muslim.
বিঃদ্রঃ ম্যাসেজটা দিছেন আমার অত্যন্ত প্রিয় এবং স্রদ্ধাবাজন একজন মানুষ। অত্যন্ত মেধাবী, এবং জ্ঞানী একজন ব্যক্তি, এখানে আমি তার নাম উল্লেখ করলাম না।
উনার কাছে মাপ চেয়ে নিচ্ছি কারণ উনাকে জিজ্ঞাস না করেই এইটা পাবলিশ করে দিলাম।
মেসেজটা পেয়ে প্রথমে একটু ধাক্কা খেলাম, নিজেকে সামলাতে একটু সময় লাগছিল। তার পর চিন্তা করলাম, কথাটা তো মিথ্যা কিছু বলেনি। ঠিকই তো তারা আমাদের মতো রোজায় উপোষ করে না, কিংবা কোরবানি করে না। তাহলে আমরা কেন করবো তাদের মতো?
আমি New Year, Valentine Days, April Fools, Dipavils/,Holi (hindu festivals) chirstmas এই অনুষ্ঠান গুলোতে সবাই মজা করার পেছনে কিছু যুক্তি অবশ্য পেয়েছি,
“ এটা আমাদের সবারই জানা যে, আমাদের দেশের মানুষগন সবসময় বিভিন্ন চাপের মধ্যে থাকে।
আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক সব দিক দিয়েই আমরা কোণঠাসা। তাই মাঝে মাঝে এর মধ্যে থেকে একটু মুক্তি কে না চায়? তাই মানুষজন কোন একটা ছুতা পেলেই সেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করে। কোন উৎসবের একটা উপলক্ষ পেলে আর সেটা হারাতে চায় না, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আনন্দে মেতে উঠে। “
এতে তো আমি খারাপ কিছু দেখি না। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয় এতো দ্বীন নয়, যে তার সৃষ্টিরা একটু আনন্দ করলেই তিনি মাইন্ড করে বসবেন।
তিনি নিশ্চয় চান যে তার সৃষ্টিগুলো সুখে থাকুক। আর এই উৎসবগুলো কি কেও কোন ধর্মীও মনোভব মাথায় রেখে করে? আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় ইংরেজি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি, আমার একবার ও মনে হয়নি যে এটা তো ক্রিশ্চিয়ানদের সৃষ্টি অথবা ইংরেজরাও ব্যবহার করে যারা সারাজীবন আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্বালিয়েছে করেছে। এটা ব্যবহার করি কারণ এটা সব জায়গায় প্রচলিত।
অবশ্য সবার নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধ বাজায় রাখা উচিত, কারণ কোন ধর্মই কাওকে খারাপ হতে প্ররোচিত করে না। সব ধর্মের মূল মন্ত্র একটাই, সেটা হচ্ছে শান্তি ও স্রিঙ্কলা।
তাই আমার মনে হয় না কোন ধর্মই তার লোকদের বলে যে তোমরা মদ খাও, গাঁজা খাও, ব্রোথেলে যাও। আমি ছোট মানুষ তাই আর বেশী কিছু বললাম না, বাকী কি কি রয়েছে তা নিশ্চয় কারোরই অজানা নয়। আমাদের লাগাম লাগাতে হবে, নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলতে হবে তবেই একমাত্র শান্তি-স্রিংখলা বজায় রাখা সম্ভব।
*** N.B. লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে আহবান নেটওয়ার্কে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।