ভালোবাসি ফুল, চাঁদ, শিশু আর বাংলাদেশ। রাজাকার-মৌলবাদীরা ১০০ হাত দূরে থাকুন। নিজস্ব মতিবেদক
চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধকালে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, এ দেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধী নেই। যে দুইজন মানবতাবিরোধী অপরাধী ছিলো, তাদের দেশছাড়া করা হয়েছে। তাদের একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের সন্তান তারেক জিয়া এখন লন্ডনে ফুর্তি করছে।
অপরজন বেগম খালেদা জিয়ার অপর সন্তান আরাফাত কোকো বেংককে গেংবেং করছে। দেশ তাই মানবতাবিরোধী অপরাধীমুক্ত।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুল কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
তিনি আবেগঘন গলায় বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম একজন অধ্যাপক। তিনি অধ্যাপনা করতেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি টিক্কা খানের শিশুপুত্র খালিদ খানকে আমপারা অধ্যাপনা করতে টিক্কা খানের বাসভবনে যেতেন। অথচ বাকশালীরা গুজব রটিয়েছে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিলেন। টিক্কার ছেলেকে আরবী শেখান কেন মানবতাবিরোধী অপরাধ হবে?
কাদের সিদ্দিকী বলেন, অনেকেই বলে টিক্কার সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের অবৈধ যৌন সম্পর্ক আছে। তারা ভুল বলে। এ কথা মোটেও সত্য নয়।
টিক্কা খান অনেক জোরাজুরি করলেও অধ্যাপক গোলাম আযম কখনও টিক্কার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হননি। তিনি তখনও পাক ছিলেন, এখনও পাক আছেন।
আবেগঘন গলায় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাকে অস্ত্র সমর্পনের আদেশ দিয়েছিল। আমি তাদের বলেছিলাম, তুমাদের আমি চুদি না। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাকে অস্ত্র সমর্পনের আদেশ দিয়েছিল।
আমি তাদের বলেছিলাম, তুমাদেরও আমি চুদি না। এরপর ১৯৭৮ সালে অধ্যাপক গোলাম আযম দেশে ফিরে আমাকে অস্ত্র সমর্পনের আদেশ দেন। আমি তখন বলেছিলাম, হুজুর আমি আপনাকেই শুধু চুদি। আপনারা সঙ্গে পরে আমার মহব্বত হবে।
কাদের সিদ্দিকী দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, “অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং জমা দেই নাই।
অধ্যাপক গোলাম আযমের ডাকে দরকার হলে আবার আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ব। পাক সার জমিন সাদ বাদ। ”
(মতিকণ্ঠের রিপোর্ট সংকলিত)
মূল হেডলাইন: অধ্যাপক গোলাম আযম যে ইস্কুলের মাষ্টার, আমি সে ইস্কুলের চানাচুরওলা: কাদের সিদ্দিকী ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।