হট নিউজ বর্তমানে আওয়ামিলীগ জনগনের ভোগান্তির রাজনীতি করে লক্ষ লক্ষ সাধারণ কে পথে বসিয়ে দিয়েছে। নিজেদের দলের মন্ত্রী-মিস্ত্রীরি ক্যাডার ফ্যাডারদের পকেট ভারীর রাজনীতি করে। জনগনকে মুলা ঝুলিয়ে বোকা বানানোর রাজনীতি করে। বিরোধীদল নিধনের জন্য রাজভান্ডার শুন্য করার রাজনীতি করে।
পাকিস্তান থেকে নতুন দেশ বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন জাতীয় ঐক্যের বিমূর্ত প্রতীক। ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে কখনো ভুটান ও সিকিমের মতো ভারতের নতজানু স্যাটেলাইট রাষ্ট্র বানাতে চাননি। তাই বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় ভারতীয় বিমানের পরিবর্তে বৃটিশ কমোট বিমানে চড়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। পরে ভারত ও সোভিয়েত ব্লকের প্রবল আপত্তির মুখেও তিনি পাকিস্তানে ও আই সি সম্মেলনে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
বঙ্গবন্ধু হয়তো বুঝেছিলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
তাই আব্রাহাম লিংকন, চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা, জওহরলাল নেহেরু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো তিনি হাঁটলেন জাতীয় ঐক্যের পথে। তাই তিনি জাতীয় ঐক্য নির্মাণের তাগিদেই স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছিলেন। শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর দালাল আইন বাতিল করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত হিসেবের লাভ-লোকসান এখানেই শেষ। শত্রু আর নেই।
এখন সবাই মিত্র। সবাই একযোগে দেশপ্রেমিক। স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের দ্বনদ্ব ও সংঘাতের যবনিকা এখানেই শেষ।
কেন নতুন করে আজ এ শ্লোগান উঠেছে। নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছে? ৪০ বছর পর বিষয়টি সত্যিই ভাবিয়ে তুলছে।
স্বাধীনতার একক দাবিদার আ'লীগের রীতি-নীতি আদর্শের বিরুদ্ধে গেলে তখন সে হয়ে যায় রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, তথাকথিত জঙ্গি। '৯৬ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে অতীতের সকল ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমনকি ইন্দিরা রোডের এক বাড়িতে গিয়ে জামাত নেতা গোলাম আযমের দোয়াও চেয়ে আসেন। তা সত্ত্বেও উক্ত নির্বাচনে আ'লীগ একক গরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়। জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন।
আশা করেছিলাম আ'লীগের রাজনীতিতে হয়তো বা প্রতিহিংসার অবসান হবে। বন্ধ হবে সব অতীত রেকর্ড। তাই কি হয়? গ্রামীণ প্রবাদে বলে-কম পড়লে খালু হয় বেজার। এ যেন মাংনা পেলে খিদে বাড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।